সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলের দায়িত্ব পেয়েছে মন্ত্রীরা | পাঠক ভাবনা | DW | 25.08.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলের দায়িত্ব পেয়েছে মন্ত্রীরা

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন কি হিন্দু সম্পত্তি দখল করেছেন? বিষয়টি নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা রিপোর্টগুলো পড়ে এবং তদন্তের ফলাফল নিয়ে পাঠকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন আর সন্দেহ৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় হিসেবে পরিচিত খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি তদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ সরকারমন্ত্রী সত্যিই একটি হিন্দু পরিবারের সম্পদ দখল করে নিয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্যই গঠন করা হয়েছে এই তদন্ত কমিটি৷

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক বন্ধু মন্ডল রতনের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ ব্রাহ্ম দাসও অনেকটা সেরকমই ভাবছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘যে লাউ সেই কদু৷ এটা সবাই জানে, যে সরিষা ভূত তারানোর জন্য জোগার করা হয়েছে, ঐ সরিষার মধ্যেই ভূত আছে৷ অতএব বুঝতেই পারছেন...৷''

বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডের ওপর ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু মিলন সেনের মোটেই আস্থা নেই, নেই কোনো বিশ্বাস৷ তিনি তাই তাঁর মতামত জানিয়েছেন অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে, ‘‘এই সরকার খুবই চালাক, পুলিশকে লাগিয়েছে জামাত শিবির দমন করতে আর বিএনপিকে ফাঁসিয়েছে মামলার গেরাকলে৷ এছাড়া তাদের পার্টির নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা পর্যন্ত দায়িত্ব পেয়েছে সংখালঘুদের সম্পত্তি দখল করার৷ অতি চালাকের ভবিষ্যত ভালো হয় না৷ আর এক মাঘে সব শীত যায় না, এদের কপালে দুঃখ আছে৷ সামান্যতম দেশ প্রেম থাকলে এই বির্তকিত মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতো, যাতে তদন্ত সঠিক হয়৷''

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি তদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ এ প্রসঙ্গে মো.খালেদ আহমেদের মন্তব্য, ‘‘আরে এটা তো শুধু মাত্র লোক দেখানো, বুঝলেন?'' হাবীব মোল্লা, পলাশ মাহমুদ, সিদ্ধার্থ রায়ও খালেদ আহমেদের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন৷

অন্যদিকে দুঃখ করে বন্ধু সুবীর মম প্রশ্ন করেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগের রির্জাভ ভোট বলা হয় হিন্দু ভোটারদের, আর তাঁদের সম্পদ যদি দখল করে ঐ দলের মন্ত্রীরা, তবে হিন্দুরা যাবে কোথায়?'' বন্ধু সুবীরও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷

বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে কিনা – তা নিয়ে সন্দীহান পাঠক জাভেদ হোসেন৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘মিথ্যা উপর যেখানে মূলনীতি গঠিত, সেখানে কি আর সত্য বলা যায়? সত্য বলাটা এখন অপরাধ৷ গণতন্ত্রটা কী?'' জাভেদ হোসেনের এই মন্তব্যকে আশরাফ হোসেন সমর্থন করে বলেছেন, ‘‘মামা তোমার বুদ্ধি আছে৷''

সরকারমন্ত্রী একটি হিন্দু পরিবারের সম্পদ সরকারমন্ত্রী সত্যিই দখল করে নিয়েছেন কিনা – তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানার পর গৌতম মুখার্জির মন্তব্য, ‘‘গরু মেরে জুতা দান...! বিচিত্র বাংলাদেশ৷''

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু নাজমুল লিখেছেন, ‘‘হাসিনাই অবৈধ সরকার, তাঁর চেলাপেলা এমন কাজ করবে না তো কে করবে?'' আর অমিত শর্মা অমি তো বলেই ফেলেছেন, ‘‘কিছু হবে না, শুধু নতুন করে আর একটি ফাইল ওপেন করা হলো মানুষকে দেখানোর জন্য !

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন