যাই হোক, বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার ভিত্তিক পরিবেশনাটি ভালো লাগলো৷ মুক্তিযুদ্ধে সর্বহারা, নির্যাতিতা এক নারীর অসাধারণ জীবন সংগ্রামের কথা, সবকিছু হারিয়েও বিলাসিতা উপভোগকে দূরে সরিয়ে সবাই মিলে দেশটাকে গড়ার কথা হৃদয় ছুঁয়ে গেলো৷
জার্মানি-ইউরোপ পেজে এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকা নাৎসি অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের লক্ষ্যে ‘অপারেশন লাস্ট চান্স' ক্যাম্পেইন সম্পর্কে নতুন তথ্য জানতে পারলাম৷ স্বাধীনতা বজায় রেখে, নিঃসঙ্গতাকে দূরে সরিয়ে বৃদ্ধ বয়সে একা বাস করা বা কোনো বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার বিকল্প উপায় হিসাবে বন শহরের ‘আমারিলিস' প্রকল্প কিংবা ফ্রাইবুর্গের ‘আলবার্ট-রিয়া-বৃদ্ধনিবাসের' মতো প্রবীণদের জন্য আবাসিক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেলাম এই বিষয়ের ওপর আলোকপাত থেকে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
বিশাল কর্মযজ্ঞ
জার্মান সেনাবাহিনীর সাড়ে চার হাজারের মতো সেনা সদস্য, সতের শত যান এবং ছয় হাজারের মতো কন্টেইনার রয়েছে আফগানিস্তানে৷ ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক বাহিনী আইসাফ এর কর্মকাণ্ড শেষ হওয়ার আগেই জার্মান সেনাবাহিনীর অনেক সম্পদ ফিরিয়ে আনা হবে৷ এই সম্পদের মধ্যে মেশিনগান থেকে শুরু করে পঞ্চাশ টন ওজনের ট্যাংক রয়েছে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
ট্রাবজন হাব
হিন্দুকুশ থেকে বিভিন্ন পণ্য ফিরিয়ে আনতে জার্মানি যে দুটি হাব ব্যবহার করছে তার একটি তুরস্কের ট্রাবজন৷ এই বন্দর হয়ে জার্মানিতে পৌঁছাবে বুন্ডেসভেয়ার-এর বিভিন্ন পণ্য৷ তবে আফগানিস্তান থেকে ট্রাবজন পর্যন্ত পণ্য পৌঁছানোর প্রক্রিয়া সহজ নয়৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার
গত এগারো বছরের বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে অবস্থান করছে জার্মান সেনাবাহিনী৷ তাদেরকে মূলত সেদেশের উত্তরে মোতায়েন করা হয়েছিল৷ ইতোমধ্যে অনেক ক্যাম্প খালি করা হয়েছে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
সবাই সম্ভবত ফিরছেন না
২০১৪ সালের শেষ নাগাদ সম্ভবত সকল জার্মান সেনা ঘরে ফিরবেন না৷ জার্মানি আইসাফের ম্যান্ডেট মেনে আটশো সেনা আরো দীর্ঘ সময়ের জন্য আফগানিস্তানে রাখতে পারে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
সব পণ্য ফিরবে না
আফগানিস্তানে পাঠানো কিছু জার্মান পণ্য ফেরত আনা হবে না৷ কিছু পণ্য বিক্রি অথবা ধ্বংসে করে ফেলা হবে৷ তবে অস্ত্রশস্ত্র কন্টেইনারে ভরে নিয়ে আসা হবে৷ ইতোমধ্যে এসব পণ্য জমা করা শুরু হয়েছে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
আরেক হাব: মাজার-ই-শরিফ
আফগানিস্তান থেকে জার্মান সেনাবাহিনীর পণ্য ফিরিয়ে আনার আরেকটি হাব হচ্ছে মাজার-ই-শরিফ৷ সে দেশের চতুর্থ বড় এই শহর থেকে অধিকাংশ পণ্য বিমানে পরিবহন করা হচ্ছে৷ তবে পাকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজাকিস্তান হয়ে সড়ক পথেও কিছু পণ্য ফেরত আনা হবে৷ তবে নিরাপত্তার কারণে বেশি পণ্য এভাবে পরিবহন হবে না৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
রক্ষণাবেক্ষণ এবং জীবাণুমুক্তকরণ
জার্মান সেনাবাহিনীর এসব পণ্যের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে কোন জীবাণু যাতে জার্মানিতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য এসব পণ্য জীবাণুমুক্ত করা হবে৷ জার্মানিতে এসব পণ্য প্রবেশের আগেই এটা করা হবে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
বিমানে আফগানিস্তান ত্যাগ
বড় এবং ভারি যানবাহন পরিবহনের মতো বিমান জার্মান সামরিক বাহিনীর নেই৷ ফলে ছবির এই বিশাল সামরিক যান পরিবহনের জন্য একটি ইউক্রেনীয়-রাশিয়ান কনসর্টিয়ামের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে৷ এই ব্যবস্থায় প্রত্যেক উড়ালে ৩৭ মিটার দীর্ঘ জায়গায় ১৫০ টন পণ্য পরিবহন সম্ভব হচ্ছে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
সরাসরি জার্মানিতে ফেরত
অস্ত্র এবং কারিগরিভাবে সংবেদনশীল বিভিন্ন পণ্য বিমানে আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ থেকে সরাসরি জার্মানিতে ফেরত আনা হচ্ছে৷ ছবির ট্যাংকটি এই সুবিধা পাচ্ছে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
বাকি পণ্য আসছে তুরস্ক হয়ে
অস্ত্রবিহীন গাড়ি, রেডিও এবং তাঁবুর মতো পণ্য সরাসরি জার্মানিতে আনা হচ্ছে না৷ আফগানিস্তান থেকে বিমানে এগুলো তুরস্কের ট্রাবজন বন্দরে আনা হচ্ছে৷
-
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
জাহাজে প্রত্যাবর্তন
ট্রাবজন বন্দরে জার্মান সেনাবাহিনীর জন্য কাজ করছেন ১৭০ ব্যক্তি৷ এই বন্দর থেকে ত্রিশ হাজার বর্গমিটার পণ্য জাহাজে জার্মানিতে পাঠাতে কাজ করছেন তারা৷ সমুদ্রপথে বিভিন্ন পণ্য ট্রাবজান থেকে জার্মানিতে পোঁছাতে সময় লাগে দুই সপ্তাহের মতো৷
লেখক: স্ভেন প্যোলে / এআই
ছবিঘরের উপস্থাপনায় জার্মান সেনাবাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগ করা নিয়ে তথ্য সহ বিস্তারিত পরিবেশনা বেশ ভালো লাগলো৷
জার্মানির ‘ডুইসবুর্গের আন্তঃসাংস্কৃতিক গ্রন্থাগার – একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ' শীর্ষক প্রতিবেদনটি পড়লাম এবং বেশ ভালই লাগলো৷ যে শহরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ অভিবাসী, সেই শহরের অভিবাসীরা যাতে সেই দেশের সাহিত্য, কলা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারে ও সেখানকার মানুষদের সাথে একাত্ম হতে পারে সেই সুবিধাটুকু তাঁদের দেওয়ার একটা নৈতিক দায়িত্ব তো থাকেই৷ বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির মধ্যে মিলন ঘটানোর লক্ষ্যে ডুইসবুর্গের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি থেকে লিখেছেন৷
চোরাচালানের স্বর্গভূমি এখন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি শীর্ষক প্রতিবেদনটি পড়ে বেশ অবাক হলাম৷ বহু বছর ধরে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বই ছিল চোরাচালানের আখড়া৷ এখন মুম্বইকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি৷ এর অন্যতম কারণ নেপাল, বাংলাদেশ, চীন, মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের অসুরক্ষিত সীমান্ত৷
রক অ্যান্ড রোল জগতে ৫১ বছর ধরে উন্মাদনার নাম ‘চিরতরুণ' মিক জ্যাগার৷ এই প্রতিবেদনটি বেশ ভালো লাগলো৷ ‘বিজ্ঞান পরিবেশ', ‘সমাজ সংস্কৃতি, ‘খেলার পাতায়' নতুন প্রতিবেদনগুলিও পড়েও ভালো লাগলো৷
‘পজিটিভ লাইট', ‘রহস্য ঘেরা দেশ', ‘নেলসন ম্যান্ডেলা' ও ‘সিরিয়ার নারী যোদ্ধাদের কথা' শীর্ষক ছবিঘর দারুণ হয়েছে৷ হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিময় ‘ছবিঘরটি' আমাকে মুগ্ধ করলো৷
মাহে মাহে রমজানের আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা নেবেন৷ ডয়চে ভেলের বাংলা ওয়েব পেজ আমি নিয়মিত দেখি৷ মহ. হাফিজুর রহমান, চুপী, পূর্বস্থলী, বর্ধমান তেকে লিখেছেন৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন