মানুষকে ‘প্রকৃত তথ্য’ দিতে চ্যানেলটি চালু করেছেন বন্যা আহমেদ এবং ইমতিয়াজ সামস৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এ বিষয়ে পাঠক আবির আহমেদ লিখেছেন, ‘‘বন্যা আহমেদের চ্যানেলটা আমি শুরু থেকেই ফলোআপ করছি৷ উনাদের কন্টেন্ট অনেক সাজানো গোছানো৷’’ তবে তিনি মনে করেন ‘চ্যানেলটি যে সাড়া জাগিয়েছে’- ডয়চে ভেলের এ দাবি ঠিক নয়৷
আর পাঠক রেজাউল জানিয়েছেন, বন্যা আহমেদের লেখা ‘বিবর্তনের পথ’ বইটা তার আসাধারণ লেগেছে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সুযোগ পেলে বাঙালি নারীও যে বিজ্ঞান চর্চা করতে পারে বন্যা আহামেদ তার উদাহরণ৷’’
‘‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক ও সঠিক তথ্যসমৃদ্ধ ইউটিউব চ্যানেল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি ৷ ইউটিউবের বেশিরভাগ বাংলা চ্যানেল ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করে থাকে৷ বাংলায় উন্নত মানের ও তথ্য সমৃদ্ধ সম্প্রচার অবশ্যই প্রয়োজন৷ ‘থিংক’-এর ভিডিওগ্রাফি এবং সম্প্রচার ভালো লাগছে দেখতে’’ এই মন্তব্য পাঠক মাহমুদুল হসান শুভর৷
থিংক বাংলা সম্পর্কে সজল মন্ডলের ছোট্ট মন্তব্য, ‘‘প্রশংসনীয় উদ্যোগ৷’’
থিংক বাংলার তথ্যগুলো ডয়চে ভেলে ফেসবুক পাতায় প্রকাশ করায় পাঠক গোলাম রব্বানী ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘বাংলাভাষী মানুষের চিন্তার দেয়াল ভেঙে ফেলার সাথে, মুক্ত চিন্তা করতে পারার ভয়টাকে মুখোমুখি হতে ডয়চে ভেলে চিরদিন রয়েছে এবং থাকবে৷’’
পাঠক নিরঞ্জন থিংক-এর শুভকামনা করছেন৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা:আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন
ভুয়া তথ্য ও খবর দ্রুত খুঁজে পাবার উপায় জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট ‘ফুল ফ্যাক্ট’৷ ফেসবুকে কিছু শেয়ারের আগে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷
-
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
প্রথম প্রশ্ন
খবরটি কে দিয়েছে? প্রথমে নিজেকে এই প্রশ্নটিই করুন৷ সূত্র বিশ্বস্ত না হলে সেটা শেয়ার করবেন না৷ আর সূত্র নতুন হলে তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন৷
-
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন
কি যেন নেই? লিংকে ঢুকে পুরো খবরটা পড়ুন৷ ছবি, ব্যবহার করা নম্বর, কারও মন্তব্য এসব খেয়াল করুন৷ অনেক সময় সূত্রের উল্লেখ না করে মন্তব্য ব্যবহার করা হয় কিংবা কনটেক্সট ছাড়াই মন্তব্য দেয়া হয়৷ খবরের সঙ্গে থাকা ছবি কিংবা ভিডিও ভুয়া হতে পারে৷ ভিডিওতে ব্যবহৃত কণ্ঠ পরিবর্তিত থাকতে পারে৷
-
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
তৃতীয় প্রশ্ন
খবরটি পড়ার পর আপনি কেমন অনুভব করছেন? যারা ভুয়া খবর ছড়ায় তারা মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলতে চায়৷ তারা জানে আপনাকে রাগিয়ে তুলতে পারলে কিংবা চিন্তিত করতে পারলে আপনি খবরটিতে ক্লিক করবেন৷ তাই শেয়ারের আগে নিজের অনুভূতিটা জানার চেষ্টা করুন৷ ভাল অনুভব করলে শেয়ার করুন৷ আর খটকা লাগলে অন্যান্য সূত্র দেখে যাচাইয়ের চেষ্টা করুন৷ ছবিতে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের শেয়ার করা একটি ভুয়া খবর দেখা যাচ্ছে৷
-
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট
ভারতের ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট ‘বুম লাইভ’কে বাংলাদেশের ফেসবুক কমিউনিটিতে বিদ্যমান ছবি ও ভিডিওর যথার্থতা পর্যালোচনার দায়িত্ব দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ৷ ২০২০ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে৷ www.boombd.com/ ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকেও (https://www.facebook.com/Boombangladeshnews) তাদের কাজ দেখা যায়৷
-
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
বিডি ফ্যাক্ট চেক
২০১৭ সালে কাজ শুরু করে এই ওয়েবসাইট (https://bdfactcheck.com/)৷ ফেসবুকেও তাদের একটি পাতা (https://www.facebook.com/bdfactcheck/) আছে৷ আলোচনা সভা, সংবাদ সম্মেলন, জনসভা ও গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করে বিডি ফ্যাক্ট চেক৷ এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে যেসব ভুয়া সংবাদ, ছবি কিংবা ভিডিও ভাইরাল হয় সেগুলোরও ফ্যাক্টচেক করে তারা৷
-
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
Fact খুঁজি
এটি বাংলাদেশের আরেকটি ফ্যাক্ট-চেক করা ওয়েবসাইট৷ http://factkhuji.org/ ওয়েবসাইটের পাশাপাশি তাদের একটি ফেসবুক পাতাও (https://www.facebook.com/factkhuji/) আছে৷
-
ভুয়া তথ্য বা খবর বুঝব কীভাবে?
সতর্ক হন
করোনা ভাইরাস নিয়ে ছড়ানো ভুয়া তথ্যের কারণে ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসেই বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ৮০০ জন বা তার চেয়েও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে ‘অ্যামেরিকান জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে৷ ফলে সামাজিক মাধ্যমে খবর বা তথ্য শেয়ারের আগে সবার একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন৷
লেখক: জাহিদুল হক