‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতিকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা’ | পাঠক ভাবনা | DW | 22.03.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতিকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা’

রাষ্ট্রপতি মো.জিল্লুর রহমানকে নিয়ে ছবিঘরটি ভাল লাগলো৷ ধন্যবাদ জানাই এই সম্মান দেখানোর জন্য৷ ওয়েবসাইটের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন পড়লাম৷ দারুণ লাগলো বিজ্ঞান বিষয়ক ছবিঘরটি৷

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আমার ভালবাসা ও শুভেচ্ছা নেবেন৷ আশা করছি সবাই ভাল আছেন৷ আমি এবং ক্লাবের সবাই ভাল আছি৷

মাসিক ধাঁধা বন্ধ না করলে হতো না? আমার রেডিওটি এখনও পেলাম না৷ অন্যদের পাওয়ার খবর পাচ্ছি৷ যারা পেয়েছেন সবাইকে শুভেচ্ছা৷ ভাল থাকবেন৷ বেশ কয়েকদিন পর আবার

ই-মেলে মো. সোহেল রানা হৃদয়, ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব, ভিউয়ার/পরিদর্শক আই জি এস এন্ড সি, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা থেকে তার মতামত জানিয়েছেন এভাবে৷

গতকাল আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পরলোকগমনের সংবাদ পেলাম৷ ‘আজীবন গণতন্ত্রী' এই রাষ্ট্রনায়কের অমর আত্মার শান্তিকামনা করে আজকের এই চিঠি লিখছি৷ রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের ছবিঘরটি সুন্দর হয়েছে৷ ‘সংকট নিরসনে নতুন রাষ্ট্রপতি', ‘মধ্যপ্রাচ্যে ওবামা' ‘সাইপ্রাসকে নিয়ে টানাহেঁচড়া', ইত্যাদি সব প্রতিবেদনগুলিই যথাযথ৷

শেষোক্ত প্রতিবেদনটি আগ্রহ নিয়ে পড়লাম৷ শেষ পর্যন্ত সাইপ্রাস সমস্যার কী সমাধান বেরোয় সেদিকে তাকিয়ে থাকলাম৷ ‘বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের সাজা'র খবরে দুঃখিত হলাম৷ কিন্তু একই সঙ্গে দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থাও ফিরে এল৷ যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হন না কেন, দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে, এটা আবার প্রমাণিত হল৷ ভারতে রাজনৈতিক নেতাদের মামলাগুলির পরিণতি দেখে দেখে তো বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস ক্রমেই টলে যাচ্ছিল৷ প্রতিবেদনটির জন্য ধন্যবাদ৷ অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নেবেন৷ নমস্কারান্তে সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত৷

বাংলাদেশের সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি পরবর্তী নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সাংবিধানিক নিয়ম কানুন, রাষ্ট্রপতির পদের সম্ভাব্য দাবিদার, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকের মতামত নিয়ে বিস্তারিত পরিবেশনা ভালই লাগলো৷

‘জার্মানি ইউরোপ' শিরোনামের পাতাটি পড়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকি৷ এই পাতার জার্মানি সহ ইউরোপের অনেক খবর পেলেও ইউরোপের উত্তরাঞ্চলের বৈচিত্রময় ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে গঠিত স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলির খবর খুব একটা চোখে পড়ছে না৷

একটি প্রাপ্তি সংবাদ জানাচ্ছি, ডয়চে ভেলের মাসিক ধাঁধা প্রতিযোগিতার বিজয়ীর পুরস্কার হিসাবে ‘আইপড' আজ অফিসে এসে পেলাম৷ পুরস্কারটি পেয়ে খুবই খুশি হলাম৷ এই খুশি আমার বিভাগের সহকর্মীদের সাথে ভাগ করে নিলাম৷ সকলের কৌতূহলের জবাব দিতে গিয়ে ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটটি সকলকে দেখিয়ে দিলাম৷ আমার সেকশনে কোনো বাঙালি সহকর্মী নেই, তাই তাঁদের হিন্দী ওয়েবসাইটটি দেখিয়ে দিলাম৷ যদিও আমার মিনিস্ট্রিতে দুই জন বাঙালি সহকর্মী আছেন, তাঁদের আমি অনেক আগেই ডয়চে ভেলের বাংলা ওয়েবসাইট দেখায় আগ্রহী করে তুলেছি৷ নিয়মিত না দেখলেও মাঝে মধ্যেই তাঁরা বাংলা ওয়েবসাইট দেখে থাকেন৷ খুব তাড়াতাড়ি পুরস্কারটি পাঠানোর অনেক ধন্যবাদ৷ শুভেচ্ছান্তে, সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি৷

সালাম ও শুভেচ্ছা জানবেন৷ আমার বিশ্বাস মনের দিক থেকে আমরা কেউ মোটেই ভাল নেই৷ কারণটা সবার জানা৷ ১৯৭৫ সালের ১৫ই এপ্রিল যার শুরু আর ৮ই মার্চ ২০১৩ তে সমাপ্তি৷ এতগুলো বছর বাংলা অনুষ্ঠান শ্রোতাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে ছিল৷ এখন নেই, আমাদের একটা বিবর্তন হয়ে গেছে আমরা শ্রোতা থেকে পাঠক বনে গেছি৷ ১৩ই এপ্রিল থেকে হবো দর্শক৷ অপেক্ষায় আছি দেখি দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে কিনা৷

আপনাদের পাঠানো ফেসবুক প্রতিযোগিতার পুরস্কার ছোট রেডিওটি গতকাল হাতে পেলাম, ধন্যবাদ৷ তবে দুঃখ একটাই এটাতে ডয়চে ভেলের বাংলা অনুষ্ঠান শুনতে পাবো না৷ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, উথালী বাজার, চুয়াডাঙ্গা৷

প্রিয় ডয়েচে ভেলে, ২০শে মার্চ ডয়েচে ভেলের ওয়েবসাইট খুলতে গিয়ে দেখলাম প্রচুর প্রতিবেদন৷ প্রতিটি প্রতিবেদনই চিত্তাকর্ষক! কাকে ছেড়ে কাকে ধরি, সেটাই ছিল সমস্যা, তাই সবগুলোই পড়ে ফেললাম৷ সমস্ত প্রতিবেদন সম্বন্ধে আমার ভালো লাগা বা না লাগার কথা লিখতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে৷ তাই দু'একটি সম্বন্ধেই লিখছি৷

‘সমাজ সংস্কৃতি' বিভাগে ‘ভারতীয় ধনকুবেরদের দাতব্য কাজে অনীহা' প্রতিবেদনটি যথেষ্ট তথ্যপূর্ণ ও একই সাথে আকর্ষণীয়৷ এটা সত্যিই ভাববার বিষয় যে, বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যে দেশটির স্থান পঞ্চম সেই দেশটিতেই প্রচুর মানুষের দৈনিক রোজগার ২৬ টাকারও কম৷ গ্রামাঞ্চলে সরকার নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমা ২৬ টাকা আর শহরাঞ্চলে ৩২ টাকা৷ ভারতের বিপুলসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন৷

একই সাথে ধনগর্ব আর দারিদ্র্যের অসহায়তার অদ্ভুত এক সহাবস্থান আমাদের এই দুর্ভাগা দেশে৷ স্বাভাবিকভাবেই ‘হ্যাভ নট'দের কল্যাণে ‘হ্যাভ' দেরই এগিয়ে আসা উচিত৷ টাটা বিড়লার মতো কিছু সংস্থা কিছু দাতব্য করলেও সেটা সিন্ধুতে বিন্দুবৎ৷ আমেরিকার ধনীদের দাতব্যের হার যেখানে ৯.১ শতাংশ সেখানে ভারতে এই হার মাত্র ৩.১ শতাংশ – এই পরিসংখ্যান মোটেই আশাপ্রদ নয়৷

এই প্রসঙ্গে ‘এশিয়ার সবচেয়ে উদার ব্যক্তি' আজিম প্রেমজীকে ধন্যবাদ৷ তাঁকে অনুসরণ করে ভারতের অন্যান্য ধনীরাও এগিয়ে এলে দেশের মঙ্গল৷ তবে আমার মনে হয় ভারতের বড়লোকেরা মোটা টাকা দাতব্য করতে বাধ্য হন রাজনৈতিক দলগুলির জন্য, যে টাকার প্রকৃত হিসাব দাতা বা গ্রহীতা, কেউই প্রকাশ করতে আগ্রহী নন৷ বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনটি সুন্দর হয়েছে৷

‘ফেসবুকে ‘হরতাল' পালন করবে তরুণ প্রজন্ম' প্রতিবেদনটিও মনে দাগ কেটেছে৷ হরতালের প্রতিবাদে এক অনন্যসাধারণ পথ আবিষ্কারের জন্য বাংলাদেশের নবচেতনায় উদ্বুদ্ধ যুবসমাজকে জানাই অভিনন্দন৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন আমাদের নতুন পত্রলেখক কেকা প্রধান, বিপিএইচএন, পাথরডিহি বিপিএইচসি, পাথরডিহি, বাগমুন্ডী, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷

সত্যের সংগ্রামে ফোটা ফুল

এনে দিল জীবনের শত ভুল৷

স্মৃতি বিজড়িত করে

নব অনুভূতি জাগ্রত করে৷

এই কবিতাটি লিখে পাঠিয়েছেন ডা.এসএমএ হান্নান. পাছশুয়াইল রেডিও শ্রোতা ক্লাব, হরিপুর পাবনা থেকে৷

আজ আবারও বেশ কয়েকটি সুন্দর লেখা ‘পাঠক ভাবনা'য় তুলে ধরতে পরে আমরাও আনন্দিত৷ সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷ এভাবেই বন্ধুরা মতামত জানাবেন প্রতিদিন, কেমন?

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

নির্বাচিত প্রতিবেদন