১৫ই এপ্রিল ডয়চে ভেলের বাংলা অনুষ্ঠানের বয়স হল ৩৫ বছর৷ এর মাত্র এক দিন আগে এ অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতারের সাহচর্যে যাত্রা করল এফএম তরঙ্গে৷ এই পঁয়ত্রিশটি বছরের নানা পর্যায়ে অনুষ্ঠান এগিয়ে গেছে শ্রোতাবন্ধুদের হাত ধরেই৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের কর্মীদের একাংশ ...
কী সহজ আর সরলই না ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই এপ্রিল আমাদের যাত্রার শুরুটা৷ ছোট্ট এক কর্মীদল৷ তাদের মাথার ওপর বটবৃক্ষের মত এক মানুষ - আহমেদ রফিক৷ সেই ছোট দল সময়ের সাথে একটু একটু করে বড় হয়েছে৷ নতুন কর্মী এসেছেন - ঢাকা থেকে, কলকাতা থেকে, দিল্লি থেকে৷ পুরনো কর্মীদের কেউ কেউ আবার স্বস্থানে ফিরে গেছেন৷ অনুষ্ঠানে এসেছে বৈচিত্র্য৷ যুক্ত হয়েছে নিত্য নতুন বিষয়৷ কখনও থেমে থাকা নয়৷
বাংলা বিভাগের ৩৫ বছর উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখছেন ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস, সঙ্গে আছেন বাংলা বিভাগের প্রধান আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
যুগের হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে ডয়চে ভেলের বাংলা অনুষ্ঠানও শুধু রেডিওর মাঝে সীমিত থাকতে পারেনি৷ তার ওপর পড়েছে অনিবার্য মাল্টিমিডিয়ার ছাপ৷ তাই অনলাইন, মোবাইল, আইপড এমনকি ফেসবুক টুইটারেও আমাদের উপস্থিতি৷ অনুষ্ঠানে সাময়িক ঘটনার পাশাপাশি গুরুত্ব পাচ্ছে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য, লাইফ স্টাইল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উচ্চশিক্ষার মত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো৷
ঠিক ৩৫ বছরে এসে বাংলা অনুষ্ঠান শুরু করলো বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সমিটারে তার এফ এম যাত্রা৷
প্রাথমিক পর্বে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে আমাদের অনুষ্ঠান এখন শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশ সময় সকাল আটটটায় ও রাত আটটায় ৯৭.৬, ১০৫.৪ এবং ১০৫ মেগাহার্তসে৷ শীঘ্রই এফএম'এ অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে রাজশাহী, রংপুর আর খুলনা থেকেও৷ বাংলাদেশের শ্রোতাবন্ধুদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত৷ আমাদের দীর্ঘ যাত্রাপথে সঙ্গে থেকেছেন বাংলাভাষাভাষী শ্রোতাবন্ধুরা৷ তাঁদের সবাইকে জানাই আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা৷
প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন