আবু তালিব ভিডিওটি দেখার পর তাঁর অনুভূতির কথা লিখেছেন এভাবে, ‘‘অসাধারণ! চোখে প্রায় পানি চলে আসছিলো৷ আর আসবে না-ই বা কেন, এটাতো কোনো নাটক না, সত্য ঘটনা৷'' তারপর তিনি ভিডিওটি প্রকাশের জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন৷
‘পূর্ণমিলনের অনুভূতিটা অনেকে ভালো লেগেছে'-মন্তব্য আবদুল বারেকের৷
আর শামীম আহমেদও লিখেছেন, ‘‘সত্যিই দারুণ অনুভূতি !''
‘‘তিন বছর পর পারিবারিক মিলনের মুহূর্তটি সত্যিই খুব সুন্দর''- এই মন্তব্য শাহীন কামালের৷ আর বিজু তোহা বলছেন, ‘‘এ ধরনের গল্পগুলো সবসসময়ই চোখের কোণটা সিক্ত করে দেয়৷''
‘‘পুণর্মিলনের মুহূর্ত খুবই স্পর্শকাতর'', ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্য পাঠক রাজীব, আক্তার হোসেন, শহীদ ইসলাম, খান ফিরোজ, জান মোহাম্মদসহ আরো অনেকের৷
আর মোহাম্মদ সোলায়মানর মতে, ‘‘এক কথায় হৃদয়গ্রহী''৷
প্রায় একই অনুভূতি মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘এই ভিডিওর অনুভুতিটা লিখে জানানো সম্ভব না৷''
-
মোসুলে লড়াইয়ের মাঝেই বেহালা বাজালেন তিনি
ধ্বংসের মাঝে শান্তির সুর
বোমা বিস্ফোরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত মোসুলের এক প্রাচীন স্থাপনার মধ্যেই বুধবার এক ছোটখাট কনসার্টের আয়োজন করেন বেহালা বাদক আমিন মুকদাদ৷ অতীতে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর হাত থেকে বাঁচতে এলাকা ছেড়েছিলেন তিনি৷
-
মোসুলে লড়াইয়ের মাঝেই বেহালা বাজালেন তিনি
গোপনে তৈরি সুর
মুকদাদ বুধবার বেহালায় যেসব সুর তুলেছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল আইএস-এর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে থাকার সময় ‘কম্পোজ’ করা৷ এমনকি বুধবার তিনি যখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন, তখন মোসুলের কিছু অংশ মার্কিন সমর্থিত ইরাকি বাহিনী এবং আইএস-এর মধ্যকার গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল৷
-
মোসুলে লড়াইয়ের মাঝেই বেহালা বাজালেন তিনি
‘দায়েশের সবকিছুই ভুল’
ইতোমধ্যে মোসুলের কিছু অংশ আইএস-মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে ইরাকি বাহিনী৷ ফলে নিজের এলাকায় ফিরতে পেরেছেন মুকদাদ৷ তিনি বলেন, ‘‘এই জায়গা সবার, কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়৷ দায়েশ (ইরাকে আইএসকে এই নামে ডাকা হয়) কোনো ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং এটি এমন এক মতাদর্শ যা মানুষের স্বাধীনতা দমন করে৷’’
-
মোসুলে লড়াইয়ের মাঝেই বেহালা বাজালেন তিনি
আইএস তার বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গিয়েছিল
২০১৪ সালে একদিন মুকদাদের বাড়িতে হানা দেয় আইএস জঙ্গিরা৷ সেসময় তাঁর বাদ্যযন্ত্রগুলো নিয়ে যায় তারা, কেননা আইএস মনে করে সুন্নি ইসলামে সংগীত হারাম বিষয়৷ সেই ঘটনার পর নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মসুল ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান মুকদাদ৷ এরপর বুধবার প্রথমবারের মতো নিজের এলাকায় ফেরেন তিনি৷
-
মোসুলে লড়াইয়ের মাঝেই বেহালা বাজালেন তিনি
মসজিদে বেহাল বাজানো
মুকদাদ বুধবার কনসার্টের জন্য বেছে নেনন ‘টম্ব অফ জোনস’ বা নবী ইউনিসের মসজিদকে৷ বোমার আঘাতে সেই মসজিদের অধিকাংশই ধসে গেছে৷ কিন্তু আমিন মুকদাদের কাছে এই মসজিদ হচ্ছে ঐক্যের প্রতীক৷ তাই সেখানেই বেহালা বাজান তিনি৷
-
মোসুলে লড়াইয়ের মাঝেই বেহালা বাজালেন তিনি
কড়া নিরাপত্তা
মুকদাদের কনসার্টে অল্প কিছু মানুষ জড়ো হলেও, নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ আসলে মোসুলে এখনো আইএস-এর উপস্থিতি রয়েছে৷ তাই যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী