‘‘আন্দোলনের জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করা উচিত ছিল৷ তাছাড়া আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা বা জনদুর্ভোগ কিছুতেই কাম্য নয় ''- এই মন্তব্য ডয়চে ভেলের পাঠক সাখাওয়াত বাবনের৷
তবে অপূর্ব রাজ-এর ধারণা প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা না দিলে হয়তো ছাত্রলীগ এভাবে অত্যাচার করতে পারতো না৷ তিনি সকলকে একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চান যে, সারাজীবন কেউ ক্ষমতায় থাকে না৷
অন্যদিকে নজরুল ইসলামের ধারণা, ছাত্রলীগ নাকি ৭১-এর হানাদার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে৷ তাঁর প্রস্তাব, সকল ছাত্র-ছাত্রী মিলে সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগকে বহিস্কার করে দিক৷
ছাত্রলীগই যদি মারামারি করে, তাহলে সরকার থাকার কী দরকার? এই প্রশ্ন আলমগীর খানের৷প্রায় একইরকম প্রশ্ন হান্নান মুন্সির, ‘‘দেশে আইন থাকতে ছাত্রলীগ কেন?''
‘‘সরকারের বিরোধিতা নয়, তবে এটা একটা সার্বজনীন ব্যাপার৷ আন্দোলনকারী ছাত্ররা কোনো দলের নয়৷কোটা ব্যবস্থা সংস্কার সময়ের দাবি৷ মেধাবী বেকারদের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে-'' এই মতামত পাঠক নাদিমের৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
পদযাত্রা
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে নানা কমর্সূচি পালনের পর রোববার পদযাত্রার কর্মসূচি দেয় ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
অবস্থান কর্মসূচি
পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনরতরা৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
দিনব্যাপী বিক্ষোভ
রোববার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলতে থাকে৷ এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদেরকে বেশ কয়েকবার উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা অনড় থাকে৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
পুলিশের অ্যাকশন
রাত ৮টার দিকে লাঠিপেটা ও রাবার বুলেট-কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের উঠিয়ে দেয় পুলিশ৷ অবরোধকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির দিকে পিছু হটলে তাঁদের উপর ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
সংঘাত
শাহবাগ ছাড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন এলাকায় রাতে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ চলে; পুলিশও তাঁদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে৷ দু’পক্ষের সংঘাত ছড়িয়ে পরে৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
উপাচার্যের বাড়িতে ভাংচুর
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে ভাঙচুর হয়৷ বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুরের পাশাপাশি দুটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ ভাংচুর শুরুর আগে সব সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলা হয়৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
উপাচার্যের অভিযোগ
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর প্রাণনাশের জন্যই বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে৷ তবে তিনি আরো বলেন, এমন হামলা সাধারণ ছাত্ররা চালাতে পারে তাঁর কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
সমঝোতা
সোমবার যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সরকারের একটি প্রতিনিধি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ মীমাংসাও হয়৷ ফলে আলোচনায় অংশ নেয়া নেতারা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন৷ তবে আন্দোলনকারীদের একাংশ আন্দোলনে থাকে৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
নারী অংশগ্রহণ
সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ নারী কোটা থাকলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রচুর নারী অংশ নেন৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
স্থবিরতা
ঢাকা তো বটেই পুরো দেশের অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানই একে একে অচল হয়ে পড়ে৷ রাস্তা বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের আন্দোলন শুরু করেন৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
দুই মন্ত্রীর মন্তব্য
জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে অভিহিত তরেন৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও আন্দোলনকারিদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
প্রত্যাখ্যান ও প্রতিবাদ
দেশব্যাপী আন্দোলনের তীব্রতা বেড়ে যায়৷ আন্দোলনরতরা ছাত্রলীগের একাংশের নির্যাতন এবং সরকারের দুই মন্ত্রীর ‘আপত্তিকর’ বক্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ ও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
হেনস্থার শিকার পুলিশ ও সাংবাদিক
আন্দোলন চলার সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও পুলিশ হেনস্থার শিকার হন৷ এখানে এক পুলিশ কর্মকর্তার আন্দোলনকারীদের হাতে নাজেহাল হতে দেখা যাচ্ছে৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
অপেক্ষা
কোটা বৈষম্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দাবি করে আন্দোলনকারীরা৷ বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী সংসদে এ বিষয়ে কথা বলছেন জানালে শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর৷
-
একনজরে কোটা সংস্কার আন্দোলন
অবশেষে অপেক্ষার অবসান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে সব কোটা তুলে দেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলনরতরা তাঁর এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে আনন্দ মিছিল করে৷
‘‘আমি সবার কাছে প্রশ্ন রাখি, ছাত্রলীগ কি, আর তাদের কাজ কী? আরও সহজ ভাষায়, একটা ছাত্র সংগঠনের প্রকৃত দায়িত্ব কী?'' আনোয়ার হালদার সকলের কাছে এই প্রশ্নই রেখেছেন৷
‘‘অবশ্যই, যোক্তিক এবং ন্যায্য দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা মাঠে নামতেই পারি৷'' এই মন্তব্য ফরহাদ একরামের৷ তাঁর প্রশ্ন, ছাত্রলীগ এতে বাধা দেওয়ার কে? ফারহাদ দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘মা-বাবা অনেক আশা নিয়ে ভার্সিটিতে পাঠিয়েছে, কিন্তু কোটায় সব শেষ৷''
পাঠক জিয়াউর রহমানের মতে, ‘‘ ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য এই দেশে নতুন কিছু নয়৷''
‘‘পুলিশ প্রটেকশন নেয় না কেন? আর কোটা থাকলে চাকরিহবে তার কোন নিশচয়তা আছে?'' সিরাজুর রহমান কিছুটা হতাশা নিয়েই এসব প্রশ্ন রেখেছেন৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী