ভারতের নতুন দিল্লি থেকে সুভাষ চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘‘ওয়েবসাইটের ‘বিজ্ঞান পরিবেশ' পাতায় জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী মেধাবী ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা এর ফলে জার্মানির আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হবে৷ বিদেশি উচ্চশিক্ষার্থী এবং যোগ্য কর্মপ্রার্থীদের জন্য জার্মানির দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়ার এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়৷''
তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘ভালো লাগছে খেলার পাতাটি থেকে অনেক তথ্য পেয়েও৷ সাত ম্যাচ বাকি থাকতেই বায়ার্ন মিউনিখের ২৪তম বুন্ডেসলিগার শিরোপা নিশ্চিত করে নেওয়ার খবর বেশ অবাক করার মতোই৷ অভিনন্দন জানাই বায়ার্ন মিউনিখকে৷ নিয়মিত ওয়েবসাইটের মধ্য দিয়ে আমি আছি ডয়চে ভেলের সাথে৷''
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
৫০ জন সেরা শিক্ষার্থী
জার্মানির মিউনিখ শহরের কেন্দ্রস্থলে বাভেরিয়ার রাজ্যসভা ভবনে ৫০ জন সেরা শিক্ষার্থী বিলাসবহুল জীবনযাত্রার সুযোগ পাচ্ছেন৷ এঁদের মধ্যে এই দু’জন ভাগ্যবান শিক্ষার্থীও রয়েছেন৷
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
বিশাল প্রাসাদ
বিশাল প্রাসাদের লোহার গেট দিয়ে ঢুকছেন কালো ব্রিফকেস বগলে নিয়ে স্যুট পরা কোনো এক রাজনীতিবিদ৷ তাঁর গাড়ির পাশেই সাইকেল দাঁড় করিয়ে মাথায় বেসবল ক্যাপ পরে কোনো একজন ছাত্র প্রাসাদের ঐ একই গেট দিয়ে ঢুকছেন নিজের থাকার ঘরে৷
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
রাজকীয় ব্যাপার
প্রাসাদের ঝকঝকে মেঝেতে লাল কার্পেট, দেয়ালে সব বড় বড় পেইনটিং আর লম্বা করিডোর পেরিয়ে ছাত্রদের যেতে হয় নিজেদের ঘরে৷
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
দ্বিতীয় রাজা মাক্সিমিলিয়ন
১৮৫২ সালে বাভেরিয়ার দ্বিতীয় রাজা মাক্সিমিলিয়ন ছাত্রদের জন্য একটি ফাউন্ডেশন গঠন করেন৷ তাঁর লক্ষ্য ছিল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া৷ ছাত্ররা বাবা-মায়ের আর্থিক সাহায্য ছাড়া এবং পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা রোজগারের কোনো চিন্তা না করে পুরো মনোযোগ যেন লেখাপড়ায় খরচ করতে পারে৷
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
‘এক্সক্লুসিভ’ ছাত্রদের হোস্টেল
এই লক্ষ্য নিয়েই দ্বিতীয় রাজা মাক্সিমিলিয়ন সেরা ছাত্রদের জন্য এই বৃত্তির সুযোগ করে দেন৷ এটা জার্মানির ‘এক্সক্লুসিভ’ ছাত্রদের হোস্টেল৷ ছাত্র আন্দ্রেয়াস বলেন, ‘‘কারো প্রতিভা থাকলে এখানে তারা তাদের সে চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়৷’’
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
বৃত্তি পাওয়ার প্রধান শর্ত
সংসদ সদস্যদের পাশে থেকে নিজেদের যোগ্য মানুষ হিসেবে তৈরি করার সুযোগ পাওয়ার জন্য এই ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ পাওয়া একেবারে সহজ ব্যাপার নয়৷ ‘‘এখানে বৃত্তি পাওয়ার প্রধান শর্ত, আবিট্যুর, অর্থাৎ স্কুল ফাইনালের ফলাফল হতে হবে ১,০ গ্রেড এবং নিজ স্কুল থেকে সুপারিশ করা চিঠি৷
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
চেয়ারম্যান হান্সপেটার বাইসার
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছেও ছাত্রদের প্রমাণ করতে হয় যে, তাঁরা শুধু স্কুলে মেধাবী ছাত্রই নন, তাঁরা অন্য ছাত্রদের চেয়ে ব্যক্তিত্ব সম্পন্নও৷ এছাড়া, থাকতে হবে সামাজিক সচেতনতাবোধ এবং বিভিন্ন কর্মতৎপরতায় নিয়োজিত করার মানসিকতা’, বলেন এই ছাত্রাবাস কমিটির সম্মানিক চেয়ারম্যান হান্সপেটার বাইসার৷
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
বিশাল ডাইনিং হল
হান্সপেটার বাইসার নিজেও একসময় এই বৃত্তি পেয়ে এই হোস্টেলেই ছিলেন৷ তিনি প্রতিদিন ঠিক দুপুর একটায় প্রাসাদের বিশাল ডাইনিং হলে বসার পর, ছাত্ররা যাঁর যাঁর আসন নেন৷ সবাইকে যে প্রতিদিন খাবার টেবিলে হাজির হতে হবে, তেমন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই৷ প্রতিবছরই কয়েকজন করে নতুন ছাত্রকে এই বিশেষ ছাত্রাবাসে থাকার জন্য বৃত্তির সুযোগ দেওয়া হয়৷
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
লোভনীয় লাইব্রেরি
ছাত্রী ইভা মনে করেন, ছাত্রাবস্থায় এমন রাজকীয়ভাবে থাকা খাওয়া বা জীবনযাপন অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো৷ তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার আগে বেশিরভাগ সময়ই লাইব্রেরিতে কাটে, এখানেই অন্যদের সাথে আলোচনা হয়৷
-
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
মিউনিখের ম্যাক্সমিলেনিউম স্ট্রিট
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যেমন ফ্রান্স ইয়োসেফ স্ট্রাউস, যিনি দীর্ঘদিন বাভারিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনি এবং পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ী ভ্যার্নার হাইসেনব্যার্গ-ও এই বিশেষ ধরণের বৃত্তি পেয়ে ছাত্রাবস্থায় এই বিলাসবহুল হোস্টেলে থাকতেন৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
পরের ই-মেলটি লিখেছেন বন্ধু রাজীব কুমার মন্ডল, হাসিমপুর, সালামপুর, লালপুর, নাটোর থেকে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও প্রার্থীদের মোবাইল এসএমএস! – সত্যিই তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন সুবিধার পাশাপাশি এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সম্মুখীনও করে তুলছে৷ এরই বাস্তব প্রমাণ বর্তমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় মোবাইল এসএসএম ব্যবহার করা৷ একের পর এক প্রার্থীর অসংখ্য এসএমএস মোবাইলে আসতেই থাকছে৷ বেশিরভাগ সিম অপারেটর এ সার্ভিস বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না আর গ্রামীণফোন রাখলেও নিচ্ছে বাড়তি চার্জ৷ আমি মনে করি, সরকার কর্তৃক এ পদ্ধতি বন্ধ করা উচিত৷ আশাকরি আমার এ পরামর্শ ডয়চে ভেলেতে প্রকাশ পাবে এবং জনমতে সচেতনা বাড়বে৷''
- লেখার জন্য ধন্যবাদ দু'জনকেই৷ অন্য বন্ধুরাও লিখবেন, কেমন? সবার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ