নিজের দেশে আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নিয়ে অত্যন্ত হতাশ ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু অনিন্দিতা শহিদ৷ তাই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বাংলাদেশে বিচার বলতে কিছু আছে নাকি?''
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়ত সাধারণ জনগণের তেমন কিছুই করার নেই৷ তবে এ ধরনের বিষয় যে তাঁদের কষ্ট দেয়, ভাবায়, এতে কোনো সন্দেহ নেই৷ আর সেকথাই বুঝিয়েছেন পাঠক সোহেল মিয়া তাঁর মন্তব্যের মধ্য দিয়ে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘তনু হত্যার পেছনে তাদের হাত, যারা এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ এ জন্য আমি সব বিচারের ভার আল্লাহকে দিলাম৷ আল্লাহ যেন বিচার দ্রুত গতিতে করেন৷''
বন্ধু তরিরও লিখেছেন, ‘‘আমি বাংলাদেশে তনু হত্যার বিচার পাওয়ার আশা করি না৷ আর এ জন্য আমি সব বিচার আল্লাহকে দিলাম৷''
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
যেখানে হামলার শিকার অভিজিৎ, বন্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার ফুটপাথ৷ লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নিহত হবার এই জায়গাটা নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রেখেছে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ হামলায় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
বেঁচে গেছেন বন্যা
হামলার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা৷ দুষ্কৃতিকারীরা তাঁকে কুপিয়ে জখম করলেও প্রাণে বেঁচে যান অ্যামেরিকায় বসবাসকারী এই ব্লগার৷ বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
নির্বাক অজয় রায়
ছেলের মৃত্যুর খবরে নির্বাক নিহত অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়৷ আজয় রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
ভালোবাসার ফুল
লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়ের রক্তে মাখা ফুটপাথে ভালোবাসার ফুল৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
প্রতীকী প্রতিবাদ
অভিজিৎ রায়ের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি-র সামনের রাজু ভাস্কর্যের চোখগুলো কালো কাপড়ে বেধে দেয়া হয়৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
ছাত্র-শিক্ষকদের মানববন্ধন
লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা এবং তাঁর স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে ছাত্র-শিক্ষকদের মানববন্ধন৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
অবস্থান কর্মসূচি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি-র সামনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের অবস্থান কর্মসূচি৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
মানববন্ধন
লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের মানববন্ধন৷
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তনুর লাশ পাওয়া যায়৷ ঘটনার রাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী নিহত সোহাগী জাহান তাদের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরেই আরেকটি বাসায় ছাত্র পড়াতে গিয়েছিলেন৷
এ সম্পর্কে ইব্রাহিম হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ যে একসময় পাকিস্তান ছিল, তনুর ধর্ষিত হওয়ার মাধ্যমে তার প্রমাণ আবার পেলাম৷ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর ক্যাম্পে আমাদের মেয়েরা ধর্ষিত হয়েছে আর এখন স্বাধীন দেশের স্বাধীন সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আবারো সেই আমাদের মেয়েরাই ধর্ষিত হচ্ছে৷ এ যেন বড় ভাইয়ের দেখানো পথে ছোট ভাইয়ের পথ চলা...৷''
নারী দিবসেই শুধু ‘নারী অধিকার' নিয়ে মাতামাতি করা হয়৷ এ কথাই বলতে চেয়েছেন ডয়চে ভেলের পাঠক বক্তিয়ার মানিক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘নারী দিবসে আমরা চিৎকার করে বলি, নারীর ন্যায্য অধিকার চাই আর নারী লাঞ্ছিত হলে বলি তার বিচার নাই৷''
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
ছবিতে বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্তিতে এই প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে সাগর-রুনির পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীরা৷ প্রদর্শনীটি চলবে ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
স্থান পেয়েছে কবরের ‘এপিটাফ’
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্তিতে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দুই দরজায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির কবরের এপিটাফ-এর একটি আলোকচিত্র৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’
‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করি’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীটিতে সাংবাদিক দম্পতির কর্মস্থলের পরিচয়-পত্র৷ ঢাকায় মাছরাঙা টেলিভিশনে যোগ দেয়ার আগে সাগর সরওয়ার কাজ করতেন ডয়চে ভেলেতে আর মেহেরুন রুনি কাজ করতেন বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’-এ৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
ছোটবেলার সেই দিনগুলো...
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির পরিচয়-পত্রের পাশে রুনির ছোটবেলার আলোকচিত্র৷ মেহেরুন রুনির পারিবারিক অ্যালবামের এ সব ছবিও স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
‘আজও বড় ভালোবাসি তোমায়’
সাগর-রুনি ও তাঁদের একমাত্র শিশুপুত্র মেঘের একটি মর্মস্পর্শী ছবি৷ ছবিটির বামদিকে মেঘের আঁকা বাবার ছবি আর ডানে মায়ের ছবি৷ কোনো এক ‘মা দিবসে’ ছবিটি এঁকেছিল মেঘ, যার পাশে কাঁচা হাতে লেখা – ‘‘ভালোবাসি মা’’৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
চঞ্চল মেঘের প্রশ্নবিদ্ধ চোখ
প্রদর্শনী জুড়ে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে মাহির সরওয়ার মেঘের চঞ্চলতা৷ পুরো গ্যালারি জুড়ে আপন মনে খেলে চলা ছোট্ট এই শিশুটির দু’চোখেই যেন বাবা-মা হত্যার বিচারের আকুতি৷ মেঘ কি পাবে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার?
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
ছোট্ট মেঘের হাতের কাজ
ডয়চে ভেলেতে কাজের সূত্রে মেঘকে নিয়ে সাগর-রুনির বসবাস ছিল জার্মানিতে৷ সে সময়ে স্কুলের জন্য তৈরি করা মেঘের একটি ছবির অ্যালবাম৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
সত্যি কি আমরা ভুলে যায়নি?
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশিত বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা৷ আর তার সামনে, দেয়ালে লেখা ‘Let’s Forget Sagar-Runi’ – ‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
হারিয়ে যাওয়া বোনের জন্য...
প্রদর্শনীতে মেহেরুন রুনির ছোটবেলার একটি ছবি বোর্ডে লাগাচ্ছেন ভাই নওশেদ আলম৷ চার ভাই-বোনের মধ্যে রুনি ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
দোষীদের খোঁজ পাওয়া যাবে তো?
রুনির আরেক ভাই নওশের রোমান৷ তিনি জানান, ‘‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন৷ এতে পুরো ঘটনার ভয়াবহতা ফুটে না উঠলেও, জঘন্যতম এই অপরাধের প্রতি মানুষের মধ্যে এক ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রয়াস রয়েছে৷’’
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
কোথায় গেল সাগরের ল্যাপটপ?
প্রদর্শনীতে সাগর সরওয়ারের ব্যবহৃত ল্যাপটপের পাশে তাঁরই লেখা একটি বই৷ মাঝে প্রতীক হিসেবে রাখা হয়েছে একটি খেলনার পিস্তল৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
চোখে চশমা, মুখে সেই অনবদ্য হাসি
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্তিতে আয়োজিত প্রদর্শনীতে মেহেরুন রুনি ও সাগর সরওয়ারের ব্যবহৃত চশমা৷ এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সাংবাদিক দম্পতির বিভিন্ন আলোকচিত্র ছাড়াও দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রও স্থান পেয়েছে৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
আজও কেমন জলজ্যান্ত!
প্রদর্শনীতে আলোকচিত্রের পাশাপাশি দেখানো হচ্ছে ভিডিও ক্লিপও৷ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর নানা ঘটনার ভিডিও-চিত্র দেখানো হচ্ছে প্রজেক্টরে৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
নৃশংসতার প্রতীক
নিহত এই সাংবাদিক দম্পতির প্রতি সম্মান জানাতে এবং একই সাথে পুরো রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন৷ ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে, অজ্ঞাত আততায়ীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তাঁরা৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
নীরবে-নিভৃতে কাঁদে...
মেহেরুন রুনির পুরনো ছবির সামনে অশ্রুসজল মা নুরন নাহার মির্জা৷ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে আজও নীরবে-নিভৃতে চোখের জল ফেলে চলছেন এই মা৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই
প্রদর্শনীতে সাগর-রুনি ও মেঘের ছবির সঙ্গে ‘সেলফি’ তুলছেন এক দর্শনার্থী৷ সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান পাওয়া সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি৷
লেখক: মুস্তাফিজ মামুন/ডিজি
যে দেশে হত্যারও বিচার হয় না, এরকম স্বাধীন দেশ কি কেউ চেয়েছিল? এমনই একটা প্রশ্ন করেছেন পাঠক ইয়াসমিন আলম৷ দুঃখ করে তিনি লিখেছেন, ‘‘কিছু বলার নাই, শুধু দেখে যেতে হচ্ছে৷ হায়রে দেশ! এই স্বাধিীনতাই কি আমরা চেয়েছিলাম ?
অন্যদিকে আশরাফের প্রশ্ন, ‘‘যে মোবাইলটা লাশের পাওয়া গেছে সেই মোবাইলটার সিম কার্ড কোথায়? গোয়েন্দা বিভাগই বা কী করছে?''
‘‘দেশে তনু হত্যা নিয়ে এত আন্দোলন হচ্ছে অথচ প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদম চুপ৷ এখন যদি খালেদা জিয়া কিছু বলেন, তখনই প্রধানমন্ত্রীর মুখ খোলা শুরু হবে৷'' – এ মন্তব্য শারমীন সুচিরের৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ৷ তার ওপর পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধের যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেটাও যথার্থ নয়৷ এছাড়া বিশ্বের মোট নারীর ৭ শতাংশ নাকি জীবনের যে কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
উন্নত বিশ্বের নারীরাও রেহাই পান না
ধর্ষণ শব্দটি শুনলেই মনে হয় এ ধরণের অপরাধ হয়ে থাকে শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই শতকরা ৩৩ জন মেয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়৷ এমনকি জার্মানির মতো উন্নত দেশের নারীরাও যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ধর্ষিতা নারীরা জানাতে ভয় পান
জার্মানিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত বা ধর্ষিত নারীদের সঠিক পদ্ধতিতে ‘মেডিকেল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত স্ত্রী বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া পিলস বলেন, ‘‘ধর্ষণের শিকার নারী লজ্জায় এবং আতঙ্কে থাকেন৷ তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে তথ্য জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ অনেকদিন লেগে যায় ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ধর্ষককে ধরার জন্য দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা
ধর্ষণের পর নারীদের কী করণীয় – এ বিষয়ে জার্মানির ধর্ষণ বিষয়ক নির্দেশিকায় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ যেমন ধর্ষণের পর একা না থেকে কারো সাথে কথা বলা৷ গোসল, খাওয়া, ধূমপান, বাথরুমে যাওয়ার আগে, অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে না যাবার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো৷ এ পরীক্ষা করালে ধর্ষক কোনো অসুখ বা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিল কিনা, তা জানা সম্ভব৷ নারীর শরীরে নখের আচড় বা খামচি থাকলে ধর্ষকের চিহ্ন সহজেই পাওয়া যায়৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
যাঁরা ধর্ষণের শিকার, তাঁদের জন্য জরুরি বিভাগ
ধর্ষক যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে, অর্থাৎ অন্তর্বাস, প্যাড এ সব তুলে রাখুন৷ ছবিও তুলে রাখতে পারেন৷ নিজেকে দোষী ভাববেন না, কারণ যে ধর্ষণের মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে – সেই অপরাধী, আপনি নন৷ জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরের হাসপাতালে যৌন নির্যাতন বিষয়ক আলাদা জরুরি বিভাগ রয়েছে৷ তাছাড়া ধর্ষণ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে রয়েছে ‘গেভাল্ট গেগেন ফ্রাউয়েন’, যেখানে ২৪ ঘণ্টাই টেলিফোন করা যায়৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
গ্রুপ থেরাপি
যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার নারীদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য জার্মানিতে রয়েছে গ্রুপ থেরাপি, যার সাহায্যে নারীরা আবার সমাজে সহজভাবে মিশতে পারেন এবং তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি সহজে ভুলে যেতে পারেন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
সবচেয়ে বেশি যৌন অপরাধ হয় বাড়িতেই
ভারতের কোথাও না কোথাও প্রতি ২২ মিনিটে একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে৷ তাই আদালতের নির্দেশে ভারতের পুলিশ বিভাগ এক সমীক্ষা চালিয়েছিল দিল্লির ৪৪টি এলাকায়৷ চলতি বছরের গত আট মাসে ২,২৭৮টি ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং যৌন অপরাধের তদন্তের ফলাফলে দেখে গেছে: ১,৩৮০টি ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা হলেন পরিবারের লোকজন এবং পরিচিতজনেরা৷ অর্থাৎ নিজের বাড়িতেও মেয়েরা নিরাপদ নয়!
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
সঠিক বিচার চাই
২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণধর্ষণ ঘটনার পর, ভারতে ঘটা করে বিচার বিভাগীয় কমিশন বসিয়ে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ দমনে আইন-কানুন ঢেলে সাজানো হয়৷ শাস্তির বিধান আরো কঠোর করা হয়৷ কিন্তু তাতে যৌন অপরাধের সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার
বাংলাদেশে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৬২০ জন, ২০১২ সালে ৮৩৬ জন, ২০১৩ সালে ৭১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ছ’মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি এবং এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮২ জন৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং পরে হত্যার ঘটনাও অনেক বেড়েছে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারীর পোশাকই কি ধর্ষণের জন্য দায়ী?
বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়াভাবে, বেপর্দায় চলাফেলার কারণে ধর্ষণের শিকার হন৷’’ পুলিশের কর্মকর্তার দাবি, ধর্ষণের দায় প্রধানত নারীদের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বখাটে ছেলেরা তো ঘোরাফেরা করবেই৷’’ এ কথা শুধু পুলিশ কর্মকর্তার নয়, ভারত-বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাই এরকম৷ ধর্ষণ বন্ধ করতে এই মধ্যযুগীয় চিন্তা, চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ছোট বেলা থেকে সচেতন করতে হবে
ধর্ষণ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে সঠিক ধারণা দিলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে৷ তাছাড়া পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ ধর্ষিতা নারীকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়, সে সম্পর্কেও সচেতনতা দরকার৷ অনেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷ গোটা সমাজও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকে৷ ডাক্তারি বা মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের বন্ধুবৎসল আচরণ৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
পাঠক জীবন লিখেছেন, ‘‘তনু হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীদের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ওঠে গেল৷''
আর ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু রতন বরুয়া নিশ্চিত যে চার বছর আগে সাংবাদিক সাগর আর রুনি হত্যার বিচারের মতোই তনু হত্যারও কোনো বিচার হবে না৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ