ফেসবুকবন্ধু মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক লিখেছেন, ‘‘বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর সিকদারের সাথে এমন জঘন্য আচরণ জাতির জন্য চরম লজ্জাজনক....দেশের সাধারণ মানুষ এর তীব্র নিন্দা জানায় এবং প্রবীর সিকদারের মুক্তি দাবি করে৷''
বন্ধু নিয়ামুল ইসলামের মন্তব্য, ‘‘আসলেই, সামান্য ব্যাপার নিয়ে প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতার করে ইস্যুটা বড় করে দিলো৷ ক্ষমতার দম্ভে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে এরা৷''
তবে প্রবীর সিকদার (বানানভেদে শিকদার) ইস্যুতে ভিন্ন মত পোষন করেছেন আইয়ার মুহাম্মদ৷ তিনি মনে করেন, ‘‘প্রবীর সিকদার সত্যিই শাস্তি পাবার যোগ্য৷ প্রবীর সিকদার নাকি একটি দলকে বগোলে রেখে বাকিদের গালিগালাজ করতো৷ এ সব সভ্য লোকদের বৈশিষ্ট্য নয়৷'' ফজলে রাব্বীও অনেকটা সেরকমই মনে করেন, অর্থাৎ তিনি আইয়ার মুদাম্মদের সাথে একমত৷
ওদিকে আবু বকরের সরাসরি প্রশ্ন, ‘‘একই আইনের আওতায় যখন বিরোধী দল সমর্থক মিডিয়া একের পর এক বন্ধ করা হলো, সাংবাদিকদের জেল-জুলুম-নির্যাতন করা হলো, তখন প্রবীর সিকদারের মতো চেতনাপন্থি সাংবাদিকরা কি সামান্যতম নিন্দা জানিয়েছিলেন? নাকি নীরবে অথবা সরবে সমর্থন জুগিয়েছিলেন?''
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগ তুলে একটি মামলা হয়েছে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে৷ এ বিষয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুকে দেয়া পোস্টে পাঠক জহিরুল আলমের মন্তব্য, ‘‘এই রকম হাজারো প্রবীর সিকদারকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করছে৷''
-
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
মধ্য এশিয়ার পরিস্থিতি
ফ্রিডম হাউস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৯৯৭টি দেশের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে, যার ফলাফলে দেখা গেছে, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সবচেয়ে কম৷ অন্যদিকে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে নেদারল্যান্ডস, সুইডেন এবং নরওয়েতে৷
-
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
সাংবাদিকদের ওপর হামলা
তুরস্কে অনেক সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে৷ সাংবাদিক গ্যোকহান বিচিচি-কে প্রেপ্তার করা হয় গেজি পার্কে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে৷ সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষা কমিটির মতে গত ডিসেম্বরের শুরুতে তুরস্কে ৪০জন সাংবাদিকদের আটক করা হয়৷
-
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
অপ্রিয় রিপোর্ট
ইউক্রেনেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়৷ বিশেষ করে কিয়েভের ময়দান স্কোয়ারে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময়৷ সরকারের সমালোচক সাংবাদিক টেটিয়ানা চর্নোভোল ঐ হামলার শিকার হন৷ তিনি পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ বিলাসী জীবনযাত্রার ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন৷ হাজারো মানুষ এই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন৷
-
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
মিথ্যা বলা বন্ধ করুন!
চীন এবং রাশিয়াতেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমালোচনার মুখে৷ দুই দেশের সরকারই মিডিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে এবং সরকারের মতামত মিডিয়াকে জানানোর জন্য একটি আইনও প্রণয়ন করে৷ এমনকি রাশিয়ায় সংবাদ সংস্থা ‘রিয়া নভোস্তি’ বন্ধ করে সেটা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব করা হয়৷ অনেক রুশ নাগরিকের তা পছন্দ না হওয়ায় তারা ‘মিথ্যা বলা বন্ধ করুন’ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়৷
-
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
মার্কিন সরকারের আড়িপাতা
অ্যামেরিকায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রয়েছে৷ কিন্তু মার্কিন তথ্যনীতি ক্রমঃশই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে৷ সমীক্ষা অনুযায়ী, সরকার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে৷ শুধু তাই নয়, এমনকি সরকার সাংবাদিকদের কাছে তথ্য সূত্রও জানতে চায়৷ এছাড়া, মার্কিন সরকার সংবাদ সংস্থা এপি-র সাংবাদিকদের টেলিফোনেও আড়ি পেতেছে৷
-
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
মুবারক জমানায় প্রত্যাবর্তন
মিশরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে৷ প্রেসিডেন্ট মুরসির পতনের পর সেখানকার পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে৷ সমীক্ষা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস-এর মতে, ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে সামরিক অভ্যুথ্যানের পর থেকে বেশ কিছু সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয় হয় এবং পাঁচজন মারা যান৷
-
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
মালিতে পরিস্থিতির উন্নতি
মালিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইসলামি বিদ্রোহীদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিতাড়নের পর মালির আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়৷ ২০১২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বেশ কিছু মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো৷ সেগুলো এখন আবার কাজ করছে৷
-
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
কিরগিজিস্তান ও নেপালে ইতিবাচক প্রবণতা
যে সব দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাড়ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কিরগিজিস্তান৷ সেখানকার সাংবাদিকরা ২০১৩ সালে খুব কম আক্রমণের শিকার হয়েছেন৷ নেপালেও মিডিয়ার ওপর রাজনৈতিক প্রভাব কমেছে, যদিও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া বন্ধ হয় নি৷ সমীক্ষা অনুযায়ী ইসরায়েলেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উন্নতি হয়েছে এবং এখন তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন৷
লেখক: জেনিফার ফ্রাৎসেক / এনএস
শামসুল হকও তাঁর মতামত জানিয়েছেন বেশ পরিষ্কারভাবে, ‘‘শেখ হাসিনা নিজেই নিজের দলটাকে ধ্বংস করছে৷ কারণ ওনার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে এই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মতো কোনো যোগ্য লোক এখনো আওয়ামী লীগে তৈরি হয়নি৷ তাই আমার মনে হয়, এই বিষয়টা উপলব্ধি করেই তিনি দলের বারটা বাজাচ্ছেন৷ আর সেই কারণেই আজ এত নোংরা রাজনীতি আমাদের দেখতে হচ্ছে৷ তাই আমিও বলবো, ধিক্কার এই নোংরা রাজনীতিকে...৷''
বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতির ধিক্কার জানিয়েছেন অতনু কুমার সেনও৷ অন্যদিকে কাজি ইসমাইল বাংলাদেশিদের আবার জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘বাংলার মানুষ তোমাদের ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করো ৷ এই দেশ আবার স্বাধীন করো৷''
অন্যদের মন্তব্য পড়ার পর পাঠক রাজভাই লিখেছেন, র্বতমানে এই দেশে উচিত কথা বলা দণ্ডনীয় অপরাধ'৷ তিনি ঠাট্টা করেছেন এভাবে, ‘‘তাই আমি চুপচাপ বসে বসে ফেসবুক চালাই৷''
সাংবাদিক প্রবীর সিকদার গ্রেপ্তার হওয়ায় ডয়চে ভেলের ফেসবুকে উত্তম জুরিয়ার মন্তব্য, ‘‘আমরা জানতাম সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, এখন দেখছি বিপক্ষেও৷'
বর্তমান সরকারকে কোনো কথা বলে কোনো লাভ নেই – এ কথাটাই তৌফিক ওমর শামীম বোঝাতে চেয়েছেন ‘‘কামারের দোকানে কোরআন পড়লে কোনো লাভ হবে না'' – এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে৷'
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
হামলার শিকার সাংবাদিক
বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনা আগেও ঘটেছে৷ এখনো সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি৷ তবে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে সাংবাদিকের আহত হওয়ার ঘটনা চলমান আন্দোলনেই প্রথম ঘটছে৷ এ বছর হেফাজত-এ-ইসলামের সমাবেশে প্রহৃত হন সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন৷ গত দুই সপ্তাহে হরতাল এবং অবরোধের সময় ককটেল হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক৷ ছবিতে নাদিয়া শারমিনের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতেচ্ছেন নারী সংগঠন কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
যানবাহনে আগুন, রেললাইন উপড়ানো
হরতাল-অবরোধ মানেই রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ৷ কর্মসূচির এ লক্ষ্য পূরণের পথে বাধা হলে গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো বাংলাদেশে অনেক দিন ধরেই স্বাভাবিক ঘটনা৷ তবে গত এক বছরে জ্বালাও-পোড়াওয়ের এই ধ্বংসলীলা অন্য মাত্রা পেয়েছে৷ হরতালের আগের রাতেই শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ৷ তাই বিরোধী দল ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন শুরুর আগেই জনমনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক৷ ছবিতে মোটর সাইকেলে পেট্রোল ঢালছেন জামায়াত কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
শিশুরাও অসহায়, নিরাপত্তাহীন
যানবাহনে ঘুমন্ত চালক, হেল্পার বা চালকের সন্তানের আগুনে ঝলসে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে৷ ঢাকা শহর দেখতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে কাভার্ডভ্যান চালকের সন্তান মুনির৷ এমন হতভাগ্যদের তালিকায় আরো নাম যোগ হয়েছে৷ স্কুলে, রাস্তায়, এমনকি বাড়িতেও শিশুদের জীবন সংকটাপন্ন দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ৷ছবিতে সর্বশেষ অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে স্লোগানরত জামায়াত কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
নিরাপত্তা কর্মীদেরও নিরাপত্তার অভাব
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের কারণে রায় ঘোষণার পর নেতাদের শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবিতে জামায়াত-ই-ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে৷ হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী৷ রাজশাহীতে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যের মাথা ইটের আঘাতে থেতলে দেয়া হয়৷ বিরোধী দলের সর্বশেষ অবরোধ কর্মসূচিতেও কর্মরত পুলিশ ও বিজিবি সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন দায়িত্বরত অবস্থায়৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
সংখ্যালঘুদের বাড়ি-মন্দিরে আগুন
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অনেক সময়৷ তবে শীর্ষ নেতাদের শাস্তি ঘোষণার পর জামায়াত ও শিবিরের কর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর-মন্দির-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালায়৷ ছবিতে নিজের শিশুসন্তান কোলে সাতক্ষিরার অমিয় দাশ৷ ঘরবাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সময় শিশুটিকে আগুনে ছুড়ে মারতে চেয়েছিল শিবির কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
কবে হবে অবসান!
প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে অগ্রাহ্য করে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের শরিক কয়েকটি দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেছে৷ ফলে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা বেড়েছে৷ ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ তারপর থেকে বিরোধী দলের হরতাল, অবরোধ চলছে প্রায় বিরামহীনভাবে৷
লেখক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
নীল আকাশের চাঁদনী ডয়চে ভেলের ফেসবুকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলছি, ক্ষমতার জোর তো আর কম দেখালেন না৷ এবার একটু থামুন!''
আরো কয়েকজন ফেসবুক বন্ধু বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নিয়ে তাঁদের হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ টি. আই. জনির ভাষায়, ‘‘থানায় জিডি নেয় না, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া যাবে না তো যাবে কোথায়, আর মুখ খুললেই রিমান্ডে৷ এ জন্যই কি দেশ স্বাধীন হয়েছে?''
এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অনিকের প্রশ্ন, ‘‘এর নামই কি গণতন্ত্র? আপনি কি আসলেই কোনো গনতন্ত্রের দেশে বাস করছেন?''
নুরুন নবীর মন্তব্য, ‘‘এই দেশে তো মানুষ নাই৷ আমরা সবাই আসবাবপত্র হয়ে গেছি৷''
দেশের পরিস্থিতি নিয়ে এত সহজে ভীত নন শ্রাবণ৷ ফেসবুকে তাঁর সাহসী মন্তব্য, ‘‘প্রবীর সিকদারের মতো প্রয়োজনে রক্ত দেবো!
ডয়চে ভেলের ফেসবুকে প্রবীর সিকদারের গ্রেপ্তার সম্পর্কিত এই পোস্টটিতে বেশিরভাগ ফেসবুকবন্ধুই সরকারের সমালোচনা করেছেন৷ পুলকেশ মন্ডলের মন্তব্য, ‘‘আওয়ামী লীগের এই অতি বাড়ানি খুব একটা ভালো হচ্ছে না৷ তবে মুসা সাব্বির বলছেন ‘‘চুপচাপ থাকাই ভালো৷''
কাজি মকসুদুল হাসান, আবদুল মতিন, রিয়াদ খন্দকার, সুজা তানভির, কাজি জাকারিয়া, দিপু ধরসহ অনেকেই এ ধরনের মন্তব্য করেছেন৷ তাঁরা সকলেই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত৷
‘‘ক্ষমতার স্বাদ কেউ একবার পেলে তা কি আর ছাড়তে চায়? ক্ষমতা ছাড়ার জন্যই কি জনসমর্থন না নিয়ে ক্ষমতায় আছে৷'' বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সম্পর্কে এই মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু কাদির মিথুর৷ সোহাগ রাজ্জাক একেবারেই হতাশ হয়ে কাদির মিথুনকে সমর্থন করে নিজে লিখেছেন, ‘‘ঠিকই বলেছেন, আর ভালো লাগে না৷''
মো. এস. আলীও অন্যান্যদের মতো বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে সরকারের উপর বিরক্ত৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘দেশটাকে কি সরকার মগের মুলুক পাইছে যে, যেভাবে চলাবে আমরা সাধারণ মানুষ সেভাবে চলবো?'' তাঁর কথায়, ‘‘এর একটা বিচার অচিরেই আল্লাহ দেখাবে৷''
প্রসঙ্গত, রিমান্ডের ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বুধবার জামিনে মুক্ত হন তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক প্রবীর সিকদার৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ