‘পাপে বাপেরেও ছাড়ে না’ | পাঠক ভাবনা | DW | 25.11.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘পাপে বাপেরেও ছাড়ে না’

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির পর তাঁকে নিয়ে করা ডয়চে ভেলের ছবিঘর দেখে রিপোর্টটি পড়ে ফেসবুকে পাঠকদের করা নানা মন্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো৷

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়৷ ৯টির মধ্যে চারটি অপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিশেষ আদালত৷ তবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন৷ আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় গত শনিবার তাঁর ফাঁসি হয়৷

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির পর ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু জাহির হকের মন্তব্য ‘‘পাপে বাপেরেও ছাড়ে না৷''

অতৃপ্ত বলছেন ‘‘পাপীদের শাস্তি এমনটাই হওয়া উচিত৷''

শরীফ হাদি অবশ্য অন্য কথা বলছেন৷ তাঁর মতে, সাকা নাকি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না, এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ৷

আয়ান মাহমুদ অবশ্য একটু ভিন্ন কথা বলছেন, তাঁর মতে সকল অপরাধীরই বিচার হওয়া উচিত

তাঁর মন্তব্য, ‘‘বর্তমান শাসক দলের সমর্থকরা সাকা চৌধুরী অথবা জামায়াতের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে পারলে .... আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি অথবা বাম দলগুলোতে বসবাস করা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইবেন না কেনো? না চাইলে কি আমরা ধরে নেবো যে, এই বিচার হয়েছে প্রক্রিয়া কেবলই প্রতিপক্ষ দমন করতে?''

আয়ান মাহমুদ আরো একটি কথা ডয়চে ভেলেকে লক্ষ্য করে লিখেছেন ঠিক এভাবে, ‘‘আপনাদের রিপোর্ট পড়ে কারো মনে হতে পারে, বাংলাদেশে নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে৷''

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘বাম দলগুলো আর শাসক দলের নেতা কর্মীরা আনন্দ করছে, রাজপথে তাদের সংখ্যা মাত্র কয়েকশ'! কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের গায়েবানা জানাযায় লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছে! যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি মানুষের এতো অনুরাগ?

আর ডয়চে ভেলের রিপোর্ট সম্পর্কে মুহাম্মদ মুহিদুল ইসলামের বক্তব্য এরকম, ‘‘খেয়াল করুন আপনারা যখন সত্য খবর প্রচার করছেন তখনই জামায়াত-বিএনপি আপনাদেরকে আওয়ামী লীগের দালাল, চামচা বলে গালিগালাজ করছে৷''

অন্যদিকে পাঠক সোহেল লিখেছেন, ‘‘প্রাচীন মিশরীয়, ইউরোপীয় শাসকদের আমরা বর্বর বলি তাদের নির্মম শাস্তি প্রক্রিয়ার জন্য৷ আর সভ্য বলি তারা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য৷ কিন্তু কয়েকশ বছর পরের প্রজন্মও ফাঁসি দিয়ে হত্যার জন্য আমাদের বর্বর বলবে৷''

আর পাঠক মোস্তাক বাংলাদেশের রাজনীতিকদের ওপর খুবই চটে আছেন বলে মন হচ্ছে৷

ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর নিশ্চিন্ত হয়ে পাঠক ফুয়াদ বলছেন, আলহামদুলিল্লাহ! যদিও তিনি মনে করেন, মৃত্যুটা আরো কষ্ট করে দিলে ভালো হতো৷

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি সম্পর্কে ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ফজলে মনির চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘আমাদের ভাবনা বড় হলেও অনুভূতি কম৷ আমাদের চাতুর্যের চেয়ে মানবতা বেশি প্রয়োজন, প্রয়োজন দয়া-মায়া আর সভ্যতা৷ এই গুণগুলো ছাড়া জীবন হবে হিংসাত্মক৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

নির্বাচিত প্রতিবেদন