মাহফুজ হকের মতে, পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ হওয়া ঠিক নয়৷ এর কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘‘পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ হলে সমাজের একটা কাঠামোগত পরিবর্তন চলে আসবে৷ তখন বেহায়াপনা আরো বেড়ে যাবে, পরিবারতান্ত্রিক হয়ে যাবে যৌনাচার, লোকচক্ষুর অন্তরালে যা মাদকের মতোই ভয়াবহ৷ পতিতাবৃত্তি আগে ছিল, এখনো আছে, এটা একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকবে, কারণ, ধর্মীয় চোখে এটা একটা ট্যাবু বিষয়৷''
এ সম্পর্কে পাঠক মাহমুদের মন্তব্য, ‘‘বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের অভাব সবচেয়ে বেশি, আমরা চরম গরিব একটি জাতি৷ আপনি গণিকালয়ের ব্যবস্যার কথা বলছেন, অথচ বাংলাদেশের এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে গ্রামের পর গ্রামযৌনপেশার সাথে জড়িত৷উদহারন, উত্তরবঙ্গ, কক্সবাজার, খুলনার সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা সমূহ৷ বিশেষ করে কয়রা নামক উপজেলায় আমি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করেছি, আমি প্রতক্ষ্য সাক্ষী৷''
তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মৌলবাদীরা গণিকালয় সমূহ উচ্ছেদের পক্ষে, কিন্তু সমাজিক ভারসাম্য রক্ষায় গণিকালয়ের দরকার আছে বলে সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন৷
-
যৌনপুতুলের পতিতালয়
নিভৃত পল্লী
দক্ষিণ ডর্টমুন্ডের এক নিভৃত পল্লীতে এই সেক্স ডল ব্রথেল৷ নাম বরডল৷ গত বছর থেকে চালু হয়েছে জার্মানির প্রথম এই পুতুল পতিতালয়৷
-
যৌনপুতুলের পতিতালয়
বিশ্বে প্রথম নয়
জাপানেও রয়েছে সেক্স ডলের পতিতালয়৷ বার্লিনে আছে, সেক্স ডল এসকর্ট সার্ভিস৷ পুতুলগুলো সিলিকন দিয়ে তৈরি৷
-
যৌনপুতুলের পতিতালয়
ঘন্টায় ৮০ ইউরো
এই পতিতালয়ে ১২টি সিলিকন ডল আছে৷ এর মধ্যে একটি পুরুষ৷ আর একটি পুতুলের স্তন ও পুরুষাঙ্গ দু’টিই আছে৷ ঘন্টায় ৮০ ইউরো খরচ করে এমন একটি ঘরে আগ্রহীরা তাঁদের যৌনাকাঙ্খা মেটাতে পারেন৷
-
যৌনপুতুলের পতিতালয়
এভিলিন শোয়ার্ৎসের বোরডল
বোরডলের প্রতিষ্ঠাতা ৩০ বছর বয়সি এভিলিন শোয়ার্ৎস৷ তিনি এখানে যখন একটি পতিতালয় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন তখন জার্মান ভাষাভাষী পতিতা জোগাড় করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল৷ পরে জাপানের একটি পতিতালয়ের মডেল দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন৷
-
যৌনপুতুলের পতিতালয়
চীন থেকে
চীন থেকে এসব পুতুল আনেন এভলিন শোয়ার্ৎস৷ একেকটিতে খরচ পড়ে এক থেকে দুই হাজার ইউরো৷ একেকটা পুতুল ৬ মাস পর্যন্ত সেবা দিতে পারে৷ এভলিনের একজন সহকারী আছেন, যিনি পুতুলগুলো পরিষ্কার করেন, যাতে কোনো রোগ না ছড়ায়৷
-
যৌনপুতুলের পতিতালয়
সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
প্রতিদিন ৫ থেকে ১২ জন খদ্দের আসেন বরডলে৷ শুধু এসব সিলিকন পুতুলই নয়, বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটের কথাও ভাবা হচ্ছে যৌনকাজে ব্যবহারের জন্য৷ তবে রোবোটিক্সের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো এর সময় আসেনি৷
আমার জানা মতে, সরকারের গাছ পাহাড়া দেয়া প্রকল্প ও নগর পরিস্কারে সামান্য কয়েকজনকে ইতিমধ্যে পুনর্বাসন করা হয়েছে৷''
পাঠক মাহমুদ এই মানবিক বিষয়টিতে আলোকপাত করার জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন৷ তিনি মনে করেন, ‘‘বিদেশি দাতা সংস্থা যদি দয়া করে সাহায্য করে,স্বাবলম্বী হতে কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়, তবে উনাদের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়তে পারে৷''
আর ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের ফেসবুক বন্ধু জোবায়ের হোসেন লিখেছেন, ‘‘পতিতাবৃওি যাঁরা করেন,তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই এটিকে পছন্দ করেন না৷ এটি কোনো পুঁজির ব্যবসা নয়, এটি একজন নারীর দেহকে বিলিয়ে দিয়ে সমাজকে বলে দিচ্ছে, এ সমাজ তাঁর ভোগের পণ্য৷ ''
আতিক ইসলামের প্রস্তাব, ‘‘যাঁরা স্বাভাবিক জীবনে আসতে চায়, তাঁদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷'' তিনি মনে করেন, ‘‘এই অসম্মানজনক, ঝুঁকিপূর্ণ জীবন থেকে মাত্র কয়েক হাজার মানুষের পুনর্বাসন অসম্ভব নয়৷''
আর পাঠক মোঃ নুরুজ্জামান ইসলাম ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় ছোট্ট করে তাঁর মত দিয়েছেন এভাবে, ‘‘দেহ ব্যবসা শত ভাগ নিষিদ্ধ করা উচিত৷''
সংকলন:নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
ছোটবেলা থেকেই প্রশিক্ষণ
চীনের দুই জমজ বোন লিউ বিংকুইং এবং লিউ ইউজির অনুশীলনের এই ছবিটি তুলেছেন আলোকচিত্রী ইউয়ান পেং৷ ছোটবেলা থেকেই প্রতিদিন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এই দুই বোন৷ ছবিটি সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড ২০১৭-র স্পোর্টস ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছে৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
নিশাচর হায়না
ব্রিটেনের আলোকচিত্রী উইল ব্যুরাড-লুকাস নিজস্ব পরিবেশে থাকা বিভিন্ন নিশাচর প্রাণীর ছবি তোলেন৷ হায়নার এই ছবিটি তোলা হয়েছে আফ্রিকায়৷ ‘নেচার’ ক্যাটাগরিতে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে এটি৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন পতিতালয়ের ছবি
জার্মান আলোকচিত্রী সন্ড্রা হাইন-এর একটি ফটো সিরিজে উঠে এসেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন এবং অন্যতম বড় পতিতালয়ের এই ছবিটি৷ কান্দাপাড়া পতিতালয়ে সাতশ’রও বেশি যৌনকর্মী বদ্ধ পরিবেশে কাজ করেন৷ অনেক শিশুও সেখানে বড় হয়৷ ‘ডেইলি লাইফ’ ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছে এটি৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
কলম্বিয়ার এক অন্ধকার দিক
কলম্বিয়ার আলোকচিত্রী হেনরি আগুডেলো তাঁর দেশের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়ের দিকে আলোকপাতের চেষ্টা করেছেন৷ গত পঞ্চাশ বছরে সে দেশের এক লাখ ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ ‘গায়েব’ হয়ে গেছে৷ অনেকের মরদেহ পাওয়া গেলেও তা সনাক্ত করা সম্ভব ছিল না৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে শরীরের নানা চিহ্ন (যেমন ছবির এই ট্যাটুটি) পরিচয় সনাক্তে সহায়ক হয়েছে৷ ‘স্টিল লাইফ’ ক্যাটাগরিতে সেরা পুরস্কার জিতেছে ছবিটি৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
যুদ্ধের মাঝে বিশ্রাম
আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাঝখানেই বিশ্রাম নিচ্ছেন লিবিয়ার এক সেনা৷ ইটালীয় আলোকচিত্রী আলিসিও রোমেনসি গত নভেম্বরে সির্ত শহরে এই ছবিটি তুলেছিলেন৷ ‘কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড নিউজ’ ক্যাটেগরিতে পুরস্কার জিতেছে এটি৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
শীতকালে বদলে যাওয়া পরিবেশ
আলবেনিয়ার কোনো এক জায়গার এই ছবিটি তুলেছেন ফ্রিডরিক বাইক্স৷ বেলজিয়ামের এই আলোকচিত্রী চেয়েছিলেন শীতকালের শুরুতে পরিবেশ কিভাবে বদলে যায় সেটা তুলে ধরতে৷ ল্যান্ডস্কেপ ক্যাটেগরিতে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে এটি৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
এক অন্দরমহলের ছবি
সৌদি আলোকচিত্রী তাসনিম আলসুলতান তাঁর দেশের ইসলামি সমাজের অন্দরমহলের এই ছবিটি তুলেছেন৷ ছবিতে একজন তালাকপ্রাপ্ত একক মা এবং তাঁর সন্তানকে দেখা যাচ্ছে৷ সৌদি আরবে তালাক বিরল ব্যাপার, তবে কোনো নারী তালাকের শিকার হলে তাঁকে অনেকটা একঘরে করে দেয়া হয়৷ ‘কারেন্ট টপিকস’ ক্যাটাগরিতে সেরার পুরস্কার জিতেছে ছবিটি৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
শহরের নানা রূপ
চীনের ফটোগ্রাফার ডঙ্গির উদ্দেশ্য হচ্ছে শহরের বিভিন্ন স্থাপনার প্রকৃত দৃশ্য তুলে ধরা৷ এভাবে তিনি বিভিন্ন শহরকে ছবিতে নতুনভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন৷ ‘আর্কিটেকচার’ ক্যাটেগরিতে সেরার পুরস্কার জিতেছে ছবিটি৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
‘পার্ফেক্ট নারী’ বলে কি কিছু আছে?
রুশ ফটোগ্রাফার জর্জ মেয়ার ভিন্নধারার পোর্টেট তুলতে বিশেষ পারদর্শী৷ লাইট এবং শ্যাডো নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন তিনি৷ ফলে তাঁর ছবির মডেলদের দেখতে অনেক সময় অবাস্তব মনে হতে পারে৷ সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড ২০১৭-র ‘পোর্টেট’ ক্যাটেগরিতে পুরস্কার জয় করেছেন তিনি৷
-
বিশ্বজয় করল বাংলাদেশের যৌনকর্মীর ছবি
সহায়তা নিয়ে আত্মহত্যা
সুইস ফটোগ্রাফার সাবিনা কাটানিও এক স্পর্শকাতর বিষয় তাঁর ছবিতে তুলে ধরতে চেয়েছেন৷ সেটা হচ্ছে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে আত্মহত্যা৷ সুইজারল্যান্ডে এমন আত্মহত্যার সুযোগ রয়েছে৷ ছবিতে যে গাড়িটি দেখা যাচ্ছে, তাতে ২০০৭ সালে চিকিৎসকের সহায়তায় আত্মহত্যা করেছিলেন দুই জার্মান৷