ভারতের নতুন দিল্লির এই পাঠক লিখেছেন, ‘‘খেলার পাতায় গ্লাসগোয় চলমানরত কমনওয়েলথ গেম্স নিয়ে একটিমাত্র পরিবেশনা ছাড়া আর কোনো পরিবেশনা এখনো দেখতে পাইনি৷ ‘আবিষ্কার করুন জার্মানি' লিংকে নতুন কিছু পরিবেশনা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করছি৷''
অন্য আরেকটি ইমেলে বন্ধু সুভাষ লিখেছেন, ‘‘আগস্ট মাসে আমি ইউরোপ যাচ্ছি, প্রথম গন্তব্য ইতালি, সেখান থেকে ইচ্ছা আছে জার্মানি গিয়ে রাইনের বুকে ভেসে বেড়ানোর আর ব্ল্যাক ফরেস্ট দেখার৷ তারপর মিউনিখ হয়ে অস্ট্রিয়া৷ সম্ভব হলে অবশ্যই আবার দেখা হবে আপনাদের সাথে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগে৷ বিস্তারিত পরে জানাবো৷ প্রথম পাতায় জার্মানির এক নন্দনকাননের কথা নিয়ে ছবিঘর দেখে এই অনন্য সুন্দর নন্দনকানন দেখার ভীষণ ইচ্ছা জাগলো মনে৷''
পরের ইমেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউক্রেন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপের অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম৷ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ রাশিয়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত কৌশলের দিক থেকে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি থেকে বেশ পিছিয়ে৷ ফলে রাশিয়াকে এই বিষয়ে পশ্চিম ইউরোপের প্রতি অনেকটাই নির্ভর করতে হয়৷ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে রাশিয়া যে বেশ খানিকটা চাপে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ রাশিয়াকে চাপে ফেলতে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেওয়া এই পদক্ষেপের খুবই প্রয়োজন ছিল৷ যদিও এর ফলে ইউরোপের দেশগুলির নিজস্ব অর্থনীতির ওপর যথেষ্ট নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেবে৷''
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
‘লাইফলাইন’ এবং চোরাচালানের পথ
ফিলিস্তিনিরা টানেল বা সুড়ঙ্গগুলোকে তাদের লাইফলাইন মনে করে, যদিও ইসরায়েল এগুলোকে বিবেচনা করে অস্ত্র চোরাচালান এবং চোরাগোপ্তা হামলার পথ হিসেবে৷ চারপাশ থেকে আবদ্ধ গাজার সঙ্গে বিশ্বের সংযোগের অন্যতম পথ এসব টানেল৷ এগুলো ব্যবহার করে এমনকি পশুও গাজায় নেয়া হয়৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
নিজেদের ভূমিতে কারাবন্দি
গাজায় প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের বাস৷ প্রতিবেশী দেশ ইসরায়েল এবং মিশর থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে উঁচু দেয়াল দিয়ে৷ সীমান্ত চেকপোস্টগুলোতে রয়েছে কড়া পাহারা৷ একসময় মিশরের রাফা সীমান্ত ব্যবহার করে গাজার বাইরে যেতে পারতো ফিলিস্তিনিরা৷ কিন্তু ২০০৭ সালের জুনে হামাস গাজার ক্ষমতা নেয়ার পর বন্ধ হয়ে গেছে সেই সীমান্তও৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণকাজ
আর তখন থেকে গাজাবাসী বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে একমাত্র টানেল বা সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে৷ এগুলো অধিকাংশক্ষেত্রে তৈরি করা হয় অনিরাপদ এবং সাধাসিধে উপায়ে৷ নির্মাণকাজে ব্যবহার হয় বেলচা এবং কাঠ৷ তরুণ ফিলিস্তিনিদের জন্য অর্থ উপায়ের অল্প কিছু মাধ্যমের একটি এই সুড়ঙ্গ খনন৷ তবে এই কাজে মৃত্যু ঝুঁকিও আছে৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
গোপন প্রবেশপথ
টানেলে প্রবেশের পথ অধিকাংশক্ষেত্রে সাধারণ বাসাবাড়ির মধ্যে থাকে৷ মূলত বাইরে থেকে যাতে বোঝা না যায়, সেজন্য এই ব্যবস্থা৷ যারা এসব টানেল ব্যবহার করতে চান, তাদের এজন্য টাকা খরচ করতে হয়৷ ইসরায়েল মনে করে, গাজাবাসী টানেল ব্যবহারের জন্য যে টাকা খরচ করেন, তা অন্যান্য চাহিদা মেটাতে আরো ভালো কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র আনার পথ
ফিলিস্তিনিরা এসব টানেল ব্যবহার করে নির্মাণকাজের জন্য সিমেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান গাজায় আনেন৷ ঘরবাড়ি তৈরি কিংবা সংস্কারে এগুলো দরকার হয়৷ এছাড়া ভোগ্যপণ্য, কাপড় এমনকি রকেট এবং বিস্ফোরকও টানেল দিয়েই গাজায় আসে৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে
গত ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় টানেল রয়েছে৷ ১৯৭৯ সালে ইসরায়েল এবং মিশরের মধ্যে শান্তি চুক্তির পর রাফা শহরটি বিভক্ত হয়ে যায়৷ এর অর্ধেক চলে যায় মিশরের দখলে বাকিটা গাজার৷ তখন থেকেই শহরটির দুই অংশের মধ্যে যোগাযোগ এবং মালামাল পরিবহণের উপায় হয়ে ওঠে সুড়ঙ্গ পথ৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
মিসাইল থেকে বাঁচার উপায়
এখন অনেক সাধারণ টানেলেও যোগাযোগের আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে৷ বিশেষ করে বিদ্যুৎ এবং টেলিফোনের কথা বলা যায়৷ সুড়ঙ্গ খননের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা মাটির উপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন টেলিফোনের মাধ্যমে৷ আর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী যখন আক্রমণ করে, তখন অনেক ফিলিস্তিনি জীবন বাঁচাতে বা লুকিয়ে থাকতে টানেলে আশ্রয় নেন৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
মিশরও ধ্বংস করছে সুড়ঙ্গ
শুধুমাত্র ইসরায়েলই গাজার সুরক্ষা নেটওয়ার্ক ধ্বংসের চেষ্টা করছে না৷ মিশরও এগুলোর বিরোধী৷ সেদেশের সিনাই উপত্যকায়ও হামাসের হামলার অভিযোগ রয়েছে৷ তাই মিশরের সেনারাও বছরের পর বছর তাদের ভূখণ্ডের নীচে থাকা টানেল ধ্বংসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
মাটির নীচে বিপদ
শুধুমাত্র ইসরায়েলি সেনাদের হত্যার উদ্দেশ্যেও অনেক সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে৷ ২০০৪ সালে হামাসের প্রকাশিত এই ছবিতে কিছু বিস্ফোরক দেখানো হয়েছে যা ব্যবহার করে সেবছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েলের একটি সেনা ঘাঁটির নীচে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল৷ এতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং দশজন আহত হন৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
সুড়ঙ্গে মন্ত্রী
গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশের জন্য তৈরি এই সুড়ঙ্গটি ২০১৩ সালে প্রদর্শন করেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোসা ইয়ালন৷ ইসরায়েলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হামেস এই টানেল দিয়ে ইসরায়েলে হামলা এবং ইসরায়েলিদের অপহরণ করেছে৷
-
গাজাবাসীর ‘লাইফলাইন’ টানেল নেটওয়ার্ক
আক্রমণ চলছেই
ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজায় কয়েক ডজন টানেল ধ্বংসে সক্ষম হয়েছে তাদের সেনাবাহিনী৷ গত আট জুলাই থেকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল৷ এতে বুধবার (৩০.০৭.১৪) পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে বারোশ’র বেশি মানুষ, যাদের অধিকাংশই নিরীহ ফিলিস্তিনি৷
লেখক: মার্কুস ল্যুটিকে / এআই
পরের ইমেল পাঠিয়েছেন বগুড়ার পাঠক বারিক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘মনুষ্যসৃষ্ট দূষণেই বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু – একথাটা কিন্তু সত্য৷ বরফে ছাওয়া অ্যান্টার্কটিকা থেকে প্রতিবছর ১৬ হাজার কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে৷ কি অবাক করার মতো খবর তাইনা? হ্যাঁ ডয়চে ভেলে থেকে এরকমই খবর পাওয়া যায়৷ এটা ডয়চে ভেলের একটি বিশেষ গুণ৷ সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে বরফ গলার হার চার বছর আগের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে৷ এসব খবর বেশ গুরুত্বের সাথে লেখা হয়েছে ডিডাব্লিউর ওয়েবসাইটে৷ কারণ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কিন্তু আমরাই এবং আমাদেরকেই এ থেকে মুক্তির উপায় বের করতে হবে৷''
তাঁর পরে ইমেল, ‘‘সম্প্রতি পাখি ড্রেস নিয়ে প্রতিবেদন প্রমাণ করে সব খবরই ডয়চে ভেলেতে গুরুত্বপূর্ণ৷ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করা প্রতিবেদনটি ছিল তথ্যবহুল এবং সময়োপযোগী৷''
– ধন্যবাদ বন্ধুদের৷ সবাই ভালো থাকবেন, সাথে থাকবেন৷ আমরা আপনাদের আরো বেশি বেশি মতামতের অপেক্ষায় রইলাম৷ সপ্তাহান্ত সবার ভালো কাটুক আর আমাদের ফেসবুক সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা অন্বেষণ কুইজ-এ অংশ নিন, এই প্রত্যাশা থাকলো৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: জাহিদুল হক