‘সমাজের মূল ধারায় যুক্ত হোক যৌনকর্মীরা’ | পাঠক ভাবনা | DW | 27.01.2017
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

মতামত

‘সমাজের মূল ধারায় যুক্ত হোক যৌনকর্মীরা’

সমাজে যাদের স্বীকৃতি নেই, তাঁরা নিজের শরীর দিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন৷ হ্যাঁ, ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় সেই যৌনকর্মীদেরই স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত ও নানা মন্তব্য তুলে ধরেছেন পাঠকদের অনেকে৷

ডয়চে ভেলের পাঠক শামীম রানা চান যে, সমাজের মূল ধারার সাথে যুক্ত করা হোক যৌনকর্মীদের৷ আর সেকথাই তিনি ফেসবুকে লিখেছেন এভাবে: ‘‘দিন শেষে আমাদের তথাকথিত ভদ্র সমাজের মানুষই এঁদের কাছে হাত পাতে৷ আর দিনে বেলায় এঁরাই হয়ে যান তাদের কাছে বেশ্যা৷ ভেবে দেখুন এঁরা কাদের টাকায় গহনা পরে ঘুরে বেড়ান? কারা এঁদের যোগানদাতা? আমার মতে, এঁদের এখান থেকে তুলে সমাজের মূল ধারার সাথে যুক্ত করা হোক৷'' 

আলমগীর হোসেনের মতে, ‘‘যৌনতাই যদি তাঁদের পেশা হয়, তাহলে অবশ্যই তাদের যৌনকর্মী বলতে হবে৷''

তবে পাঠক অতন্দ্রের পরামর্শ, যৌনকর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে৷ অতন্দ্রের কথায়, ‘‘সরকারের উচিত ‘ওনাদের' সম্মানের সাথে বাঁচার ব্যবস্থা করে দেওয়া...৷''

বাংলাদেশে যৌনকর্মীদের একদিকে যেমন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতন সহ্য করতে হয়, অন্যদিকে তারা তাঁদের সাথে সেক্সও করে৷ সাবেক যৌনকর্মী শাহনাজ মনে করেন, ‘‘এ অবস্থার অবসান হওয়া উচিত৷'' এ সম্পর্কে পাঠক  মুহিব বিন হাবিব লিখেছেন, ‘‘এ সব ক্ষেত্রে আগে পুলিশের মুখোশ উদঘটন করা উচিত৷''

পাঠক ফরহাদ আহমেদ অবশ্য এ পেশার বিপক্ষে৷  ‘‘যৌনকর্মীরা যদি পেশা হিসেবে তাঁদের পরিচয়টা যৌনকর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে আগ্রহী হন, তাহলে পাঠক শামীম ওমরের কোনো সমস্যা নেই৷ তাঁর মতে, ‘‘যৌনকর্মীরাও সবার মতোই মানুষ৷''

‘‘নারী মায়ের জাত৷ কারো বোন, স্ত্রী, কন্যা৷ সকলেই স্ব স্ব স্থানে সম্মানীয়৷ তাই তাঁদের যৌনকর্মী বলে উল্লেখ করা ঠিক নয়৷'' – এই মন্তব্য এমদাদুল ইসলামের৷

সালেক মোহাম্মদ মনে করেন, ‘‘আল্লাহ স্বর্গীয় সুখের সামান্য নমুনা দিয়েছেন এই যৌনতার মধ্যে৷''

‘‘নারীদের অধিকার নিয়ে যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, বাস্তবে তাঁরাই নারীদের পণ্য ভাবেন৷'' – এ মন্তব্য ডয়চে ভেলের পাঠক রাসেল ইমরানের৷

‘‘ভণ্ডামি করার চেয়ে যাঁর যা পরিচয়, তা প্রকাশিত হওয়াই ভালো৷'' – মনে করেন ফেসবুক-বন্ধু টিটু খান৷

পাঠক তাসফিনের কথায়, ‘‘বাংলাদেশের মতো দেশে তাঁদের ‘ওয়ার্কার' বলাটাই নিরাপদ৷''

ওদিকে পুরোপুরি ভিন্ন কথা বলছেন বন্ধু রানা৷ তাঁর ধারণা, ‘‘এ ধরনের উদ্যোগে যৌনকর্মীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন৷ কারণ এতে সমাজে তাঁরা চিহ্নিত হয়ে হেয় প্রতিপন্ন হবেন৷ আর এতে তাঁদের প্রতি নিপীড়ন আরো বাড়বে৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

 

নির্বাচিত প্রতিবেদন