আজকের কিশোর-কিশোরীরা সারাদিন ইন্টারনেটে কী দেখে? বিষয়টি নিয়ে তৈরি ছবিঘরটি দেখে ফেসবুকে পাঠকদের জানানো মন্তব্য তুলে ধরা হলো এখানে৷
বাড়িতে বা মোবাইলে ‘ইন্টারনেট কানেকশন' নেই – এটা যেন আজকাল কেউ ভাবতেই পারেন না৷ তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারণ সবার এক নয়৷ ইন্টারনেটে কিশোর-কিশোরীরা কী দেখে? এ প্রশ্নই ছিল ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধুদের কাছে৷
এ বিষয়ে বন্ধু আবদুল্লাহেল ফরিদের মন্তব্য, ‘‘নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করছে তারা৷ যারা ইন্টারনেটের যত কাছে, তারা জীবন থেকে তত দূরে৷ হ্যাঁ, তারা যদি পত্রিকা পড়ে বা জ্ঞ্যানমূলক সাইট দেখে, তাতে লাভ আছে৷ কিন্তু ফেসবুকে সামাজিক হতে গেলেই অনেক সমস্যা, বিশেষ করে এটা ছাত্রজীবনে হয়৷ ইন্টারনেট আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে একটা সমতা থাকা দরকার৷''
অনেকের মতো পাঠক অসিত কুমার দাস মিন্টুর মত, ‘‘ইন্টারনেট হচ্ছে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম, তাই সবাই ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত থাকে৷''
আজকের যুগে হয়ত বা সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ ‘ফেসবুক'৷ আমাদের ফেসবুক বন্ধু নূর আলমের মতে বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরীরা ফেসবুক দেখে৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতার পাঠক আর জে রাতুল আরেক বন্ধু নূর আলমের সাথে একমত৷ তিনি বলছেন, ‘‘সমসা তো এখানে ওইটাই৷''
নাজমুল শাহও তাঁদের সাথে একই মত পোষণ করেন৷ তিনি নূর আলম এবং রাতুলকে লক্ষ্য করে লিখেছেন, ‘‘আমার মনের কথাগুলোই আপনারা বলেছেন, ধন্যবাদ৷''
মো. দিদারুল আলমের কটাক্ষ মন্তব্য: ‘‘দেখে কার বউ কোথায় চাকরি করে, নাকি কার বউ দেহ ব্যবসা করে সর্বস্বান্ত হইছে৷''
ডয়চে ভেলের পুরনো বন্ধু সোহেল রানা হৃদয় অবশ্য বলছেন, ‘‘দেখার দুয়ার তো অবারিত, যার যেটা প্রয়োজন সে সেটা দেখে৷''
বন্ধু রাকিব রাজিবের মন্তব্য কিশোর-কিশোরীরা ইন্টারনেটে পর্নো, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি দেখে৷
আর এম এ হান্নানের মন্তব্য, কিশোর-কিশোরীরা ইন্টারনেটে ‘‘যা দেখার নয়, তাই দেখে৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ