ফেসবুকে পাঠকবন্ধুদের কাছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ধারাবাহিক হামলার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিলো৷ তার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত উঠে এসেছে৷
বিএনপি এবং গণমাধ্যমের একাংশ এসব হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করলেও সরকার তা মানতে রাজি নয়৷ তবে পাঠকবন্ধুদের অনেকেই এজন্য সরকারকেই দায়ী করেছে৷
যেমন কামাল হোসেন লিখেছেন, ‘‘খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের লোক৷ নির্বাচনে বিএনপিকে ডাউন করতেই এই হামলা৷ বিএনপি-র জনপ্রিয়তা দেখে আওয়ামী লীগ পাগল হয়ে গেছে৷ হামলার মাধ্যমে খালেদাকে ভোট চাওয়া থেকে বাধা দিচ্ছে দরকার দলীয় লোক৷''
রাজীব হাসান মনে করছেন, ‘‘আওয়ামী লীগ এই হামলা করে বিএনপির জন্য ভালোই করেছে৷ জনগণ এখন জালাও পোড়াও ভুলে গিয়ে বিএনপির প্রতি আরোও সহানুভূতিশীল হয়ে পড়বে৷''
‘‘বাংলাদেশের একমাত্র সন্ত্রাসী দলের নাম সবাই জানেন এবং তারাই খালেদা জিয়ার উপর হামলা করেছে৷'' এই মন্তব্য জাহাঙ্গীর আলমের৷
মো.সালাউদ্দিন বলছেন, ‘‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপর এই নগ্ন হামলায় বিএনপি যেমন লাভবান হচ্ছে আওয়ামী লীগ তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ এই কথাটা আওয়ামী লীগ বুঝতে পারলেই তাদের মঙ্গল নচেৎ কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকশন করেও শেষ রক্ষা করতে পারবে বলে মনে হয় না৷''
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা যে কারা করেছে তা নাকি পাগলেও বোঝে – এই মন্তব্য পাঠক আবদুল্লাহ আল মামুনের৷
সাদেক হোসেন লিখেছেন, ‘‘একাজ আওয়ামী লীগ করেন আর জামাত করেন, হামলাকারীরা যে ছাত্রলীগের তা প্রমাণিত৷ উৎস: প্রথম আলো৷''
দিদার-ই-সাইমুম জানিয়েছেন সিটি নির্বাচনের ফলাফল নাকি ঠিক হয়েই আছে৷ এমনটাই জানিয়েছেন দিদার-ই-সাইমুম৷ তার ভাষায়, ‘‘এই নির্বাচনের ফলাফল তো নির্বাচন কমিশন রেডি করেই রেখেছে, ঢাকার দুইটাতে আওয়ামীলীগ আর চট্টগ্রামে বিএনপি জিতবে৷''
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ধারাবাহিক হামলার বিষয়টি সম্পর্কে জাকারিয়া পারভেজের মন্তব্য, এতে বিএনপির প্রচারণার কাজ ছাত্রলীগ করে দিচ্ছে৷ মনে রাখবেন বাংলার মানুষ উচ্ছৃঙ্খলতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিবে না৷
শাফায়াত খানের বিশ্বাস বাংলাদেশের জনগণ প্রতিশোধ পরায়ণ৷ তার মতে ‘‘ বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ মাইর খাইছে, আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি মাইর খাইতেছে৷
শাহীন ইসলাম ভিন্ন মত পোষণ করেন৷ তাঁর মতে ‘‘খালেদার গাড়িতে কারা হামলা করল তাতে কী আসে যায়? দেশের শত শত মানুষ মরছে এই হামলায়৷ তাই বলে কি শুধু ছাত্রলীগই খালেদার গাড়িতে হামলা করে? এই ঘটনায় কি শুধু তারাই জড়িত? অন্য কেউ জড়িত নয় কি? তাই আমি মনে করি, বিএনপি বা অন্য কোন দলও জড়িত আছে এই হামলায়৷''
এ বিষয়ে জসিম উদ্দিনের প্রতিক্রিয়া এরকম, ‘‘এটা হচ্ছে পাবলিককে ভয় দেখানো, যেন তারা নির্বাচনের দিনে ভোটকেন্দ্রে না আসে...পাবলিক না আসলে তো তারাই জয়ী!!!''''
মো.সালাউদ্দিন মনে করছেন খালেদা জিয়া গাড়িবহরে হামলা করে আওয়ামী লীগ নিজের ফাঁদে নিজেই পা দিচ্ছে৷ তার মন্তব্য ‘‘ হরতালে নাশকতার দায় নিয়ে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে যতটুকু দূরে সরে গিয়েছে, এই নির্জলা মিথ্যা কথা বলে আওয়ামী লীগ তার চেয়ে অনেক বেশি দূরে সরে যাচ্ছে৷ মানুষের কাছে ক্রমেই প্রতীয়মান হচ্ছে, আওয়ামী লীগ একটা মিথ্যাবাদীদের দল এবং তারা ক্রমাগতভাবেই এই মিথ্যাচার করে যাচ্ছে যা তাদের জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না৷''
পাঠক আপেল মাহমুদ কোনো দলের পক্ষ না নিয়ে বেশ মজা করে লিখেছেন, ‘‘মনে হয় হামলাকারীরা মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছিল! তাই তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না...৷''
রাজু আহমেদও আপেল মাহমুদের সাথে একমত৷''
রুমন সূর্য বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘আমি কোনো দল করি না৷ দেশের সাধারণ একজন পাবলিক সেই হিসাবে বলছি৷ বর্তমান দেশের বিরোধী দলের নেত্রীর উপর হামলা করা তাদের ঠিক না৷ দলের নেত্রী হিসাবে ভোট চাওয়ার অধিকার তাঁর আছে৷ তাঁর জীবনের উপর এমন হামলা করা ঠিক করছেনা বলে আমি মনে করি৷''
‘‘সরকার কী বলল আর বিএনপি কী বলল এটার চেয়ে বড় কথা এই হামলার ঘটনাগুলির রেকর্ড রয়েছে মিডিয়ায় ফুটেজে, সারা দেশের মানুষ দেখেছে সরাসরি টিভিতে, আমার মনে হয় সরকার আজে বাজে স্টেটমেন্ট দিয়ে জনগণের কাছে তুলে ধরেছে তাদের চরিত্র৷ দেশে যে আইনের শাসন একদমই নাই এটা তার নগ্ন উদাহরণ৷'' বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আরাফাত সাঈদ লিমনের মন্তব্য৷
মোহাম্মদ কাইয়ুম বর্তমান সরকারের ওপর খুব চটা৷ তার মন্তব্য, ‘‘এই সরকার একটা সন্ত্রাসী সরকার৷ এরা মিথ্যায় এতটা পারদর্শী যে দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানিয়ে দিতে পারে৷ আওয়ামী লীগ এর নির্লজ্জ রাজনীতিবিদরা গত ৩ দিন বলেছেন এই হামলা নাকি খালেদা জিয়ার নাটক আর এখন যখন তাদের সমস্ত মিথ্যা প্রকাশ হয়ে গেছে তখনই সাথে সাথে তার সুর পরিবর্তন করে কথা বলতে শুরু করেছে৷ এটা তো একটা বাচ্চাও বুঝে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কারা করেছে৷ সেই নোংরা রাজনীতি থেকে এরা আজও বের হতে পারল না৷ ধিক্কার জানাই এমন সহিংস রাজনীতিকে৷''
বিএনপির সমর্থক জাকির হোসেনের মন্তব্য, ‘‘সরকার মানল কি মানলোনা তাতে কী যায় আসে, জনগণ দেখলেই চলবে আর তার জবাব ভোটের মধ্যেমে দিলেই সরকার বুঝতে পারবে৷ তাই ২৮ তারিখে নীরব বিপ্লব ঘটাবে সংগ্রামী জনতা বিএনপির সমর্থনে ভোটের মাধ্যমে৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন