‘ডিডাব্লিউ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে' | পাঠক ভাবনা | DW | 09.09.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘ডিডাব্লিউ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে'

‘আর্জেন্টিনায় গর্ভপাত – ট্যাবু ভাঙার নিরন্তর প্রয়াস' শীর্ষক ডয়চে ভেলের ছবিঘরটি ভীষণ ভালো লেগেছে৷ এ ধরনের প্রতিবেদন থেকে আমাদের, অর্থাৎ মুসলমানদের অনেক কিছু শেখার আছে৷ – এভাবেই লিখেছেন বন্ধু এম এ বারিক৷

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান না নিতে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই চলছে ভ্রূণ হত্যা৷ আর আর্জেন্টিনার মতো দেশে গর্ভপাত নিষিদ্ধ৷ জেনে খুশি হলাম৷ আমাদের দেশেও গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হলে খুব ভালো হতো৷ বিশেষ করে এ দেশের মুসলমানরা বড় ধরনের পাপ থেকে বেঁচে যেত৷ কারণ জোর করে গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে অনেকে প্রাণ হারাচ্ছেন, অনেকে আবার আর কোনোদিন মা হতেও পারছেন না৷ এ সব তথ্য আপনাদের পাঠকদের জানানোর জন্য সবার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷''

অন্য একটি ই-মেলে পুরনো এই বন্ধু লিখেছেন, ‘‘যক্ষ্মার সঙ্গে লড়তে ‘নায়ক ইঁদুর', ইউরোপের শ্রম বাজার অ্যামেরিকার চেয়ে বেশি পোক্ত, দীর্ঘজীবী হওয়ার কয়েকটি উপায়, জার্মানির ফ্রান্স ও স্পেনকে ছোঁয়ার মিশন শুরু, .....কর্মক্ষেত্রের মানসিক চাপ থেকে যা হতে পারে, অবশেষে শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারতকে স্বীকৃতি দিল অস্ট্রেলিয়া, বসফরাসের সুন্দর স্থাপত্য হাজিয়া সোফিয়া, শরীরী ভালোবাসা জাগাতে যৌনশিক্ষার উদ্যোগ – এ সব প্রতিবেদন থেকে অনেক তথ্য এবং তার সঙ্গে সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা আমার দারুণ লেগেছে৷ এম এ বারিক, ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া, বাংলাদেশ৷''

চুয়াডাঙা, বাংলাদেশ থেকে প্রফেসর আশরাফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘রুটিন চেকআপ করুন, দীর্ঘজীবী হোন – পাঠকদের জন্য এই ছবিঘরটি খুব উপকারি বলে আমি মনে করি৷ আমাদের দেশে অনেকেই জার্মানদের মতো অতটা স্বাস্থ্য সচেতন নন৷ তাছাড়া অনেকে আর্থিক খরচের ভয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা রুটিন চেকআপ করার বিষয়টি আদৌ গুরুত্ব দেন না৷ এর ফলে এক সময় নানা জটিল রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হয় আমাদের৷ একটু সচেতনতা বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে৷ ডয়চে ভেলের এ স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদনটি অবশ্যই আমাদেরকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করবে৷ এটিই আমার বিশ্বাস৷''

নতুন দিল্লি, ভারত থেকে পুরনো বন্ধু সুভাষ চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘‘অলিম্পিক আয়োজনের প্রশ্নে জার্মানিতে গণভোট – প্রতিবেদনটি পড়লাম৷ বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশই অলিম্পিকের মতো একটি বর্ণময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে সাধারণত আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে৷ সেই দিক দিয়ে দেখলে জার্মানির মতো শিল্পোন্নত একটি দেশ, যারা এর আগে দু'বার অলিম্পিকের আয়োজন সফলভাবেই করেছে, সেই দেশ এত সুদীর্ঘ সময় পর ২০২৪ অথবা ২০২৮ সালে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা আয়োজন নিয়ে গণভোট করতে যাচ্ছে কেন? অলিম্পিকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার ব্যয়ভার নিয়ে জার্মানির তো কোনো সংশয় থাকা উচিত নয়৷ তাছাড়া ইউরোপের সেরা স্টেডিয়ামগুলো তো জার্মানিতেই আছে৷ তাই আমরা জার্মান অলিম্পিক কমিটির সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রইলাম৷''

সংকলন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

নির্বাচিত প্রতিবেদন