এই মন্তব্য পাবনার পাঠক-বন্ধু ডা. এস এম এ হান্নানের৷ ডা. হান্নানের প্রস্তাব, আমাদের টিভি অনুষ্ঠানে যেন ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে, সৃষ্টির বিস্ময়, শিশুর বিকাশধারা, সংবাদ বিচিত্রা, বিশেষ নিবন্ধ – এগুলি ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করা হয়৷ সব শেষে তিনি অনুরোধ করেছেন, ‘‘আমি সংক্ষিপ্তভাবে দুই জার্মানির একত্রীকরণের ইতিহাস জানতে চাই৷''
- ধন্যবাদ ভাই হান্নান, আমাদের টিভি অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ' দেখার জন্য৷ আপনি জানেন যে, অন্বেষণ হচ্ছে বিজ্ঞান বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান৷ ‘অন্বেষণ', এ নামই অনেকটা সেকথা জানিয়ে দেয়৷ আর হ্যাঁ, দুই জার্মানির একত্রীকরণ সম্পর্কিত অনেক তথ্য রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে, সময় সুযোগমতো পড়ে নেবেন, কেমন?
পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন ঢাকা থেকে আহসান ভাবনা৷ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘তোমাকে আমরা কিনেছি, সুতরাং অভিযোগ করবে না' – এই শিরোনামের প্রতিবেদনটি পড়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবাই মিলে কৈফিয়ত চান এ জন্য যে, সৌদি আরবের সরকার নারী শ্রমিক চেয়েছিল৷
-
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
মাসিক বেতন ৫১০ টাকা
পশ্চিমা বিশ্ব এখন ঘরের কাজে রোবট ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে৷ এই নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা৷ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন৷ সেদেশে ঘরের কাজের জন্য অধিকাংশ বাড়িতে রয়েছেন গৃহকর্মী৷ যাঁদের মাসিক গড় বেতন ৫১০ টাকা৷ আর দিনে কাজ করতে হয় কমপক্ষে দশ ঘণ্টা৷
-
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
৮৩ শতাংশ নারী
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন বা আইটিইউসি ২০১২ সালে বাংলাদেশের গৃহকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে গৃহকর্মীর সংখ্যা বিশ লাখের মতো৷ এঁদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ নারী, যাঁদের অনেকে বয়সে শিশু কিংবা তরুণী৷
-
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
মেঝেতে ঘুমানো
আইটিইউসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ রাতে রান্নাঘরে ঘুমান৷ এছাড়া বসার এবং শোয়ার ঘরের মেঝেতে ঘুমান গড়ে ২০ শতাংশ করে গৃহকর্মী৷ কারো কারো আবার ঘুমাতে হয় স্টোর রুমে৷ (প্রতীকী ছবি)
-
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
অন্যায়, নির্যাতন
অধিকাংশ গৃহকর্মী বা কাজের মেয়ে পড়ালেখার সুযোগ পান না৷ বিনোদনেরও অভাব রয়েছে৷ কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ গৃহকর্মীর সঙ্গে বাজে ভাষায় কথা বলা হয়৷ কাজ হারানোর আতঙ্কও কাজ করে তাঁদের মধ্যে৷ যৌন নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মীর সংখ্যা ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ৷ (প্রতীকী ছবি)
-
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
প্রাণহানি
২০০১ থেকে ২০১০ সাল সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে কমপক্ষে ৩৯৮ গৃহকর্মী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ বা বিলস৷ এছাড়া নির্যাতনে আহত গৃহকর্মীর সংখ্যা ২৯৯৷ আইটিইউসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাংলাদেশ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যের উৎস বিলস এবং ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’৷ (প্রতীকী ছবি)
-
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
জনসচেতনতা সৃষ্টি
গৃহকর্মীদের অধিকারের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগও রয়েছে বাংলাদেশে৷ ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’ এক্ষেত্রে সক্রিয়৷ এই নেটওয়ার্ক ১৪ বছরের কম বয়সিদের গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷
-
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
ঘরে আটকে রাখা নয়
বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলো অনেক সময় গৃহকর্মীদের ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে বাড়িতে তালা দিয়ে রাখা হয়৷ ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’ এই কাজের তীব্র বিরোধীতা করেছে৷ গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নীতির আওতায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে নেটওয়ার্কটি৷ (প্রতীকী ছবি)
-
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি
গৃহকর্মী বা গৃহশ্রমিকদের ‘শ্রমিক হিসেবে’ স্বীকৃতি ও শ্রম আইনে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’৷ ‘বাংলাদেশ লেবার অ্যাক্ট-২০০৬’-এ গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
আর বাংলাদেশের সরকার বলছে সৌদি গেল নারীরা শারীরিক ভাবে নির্যাতন হবে৷ ডুবাইতে গেলে কি নির্যাতন হবে না? ডুবাইতে আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হয় নারীরা৷ তাই সব মা ও বোনকে বলছি, বিদেশে গিয়ে পোলাও-কোরমা খাওয়ার চাইতে দেশে ডাল-ভাত খেতে চেষ্টা করুন৷ সেটা অনেক সুখের, সংসারে শান্তি দেবে৷ তাই দেশের ইজ্জত বাইরে বিক্রি করে দেবেন না৷ সবাই মিলে একটু চেষ্টা করলেই যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে৷''
এবারের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন ভারতের নতুন দিল্লি থেকে আমাদের নিয়মিত পাঠক সুভাষ চক্রবতী৷ তিনি ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটের প্রশংসা করেছেন ঠিক এভাবে, ‘‘ওয়েবসাইটে তুলে ধরা ‘জীববৈচিত্রের অসাধারণ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি' – এ নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়া ১১টি অসাধারণ ছবির উপস্থাপনা ভীষণ ভালো লাগলো৷ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে নানা প্রতিবেদনের পাশাপাশি ছবিঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উচ্চ মানের ছবি প্রদর্শনী ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটকে নিঃসন্দেহে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সহায়তা করছে৷''
- সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাদের সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য৷ আগামীতেও এভাবেই সাথে থাকবেন, কেমন?
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ