সঠিক উত্তর – বেস্ট অফ ব্রিটিশ বইয়ের লেখকের নাম হর্স্ট এ ফ্রিডরিশস৷ সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এবারের বিজয়ী হয়েছেন রাসেল রাকিব৷ প্রিয় রাসেল, আপনাকে অভিনন্দন! দয়া করে আপনার বিস্তারিত ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর এবং ই-মেল অ্যাড্রেস ডয়চে ভেলে বাংলার ই-মেল ঠিকানায় (bengali@dw.com) পাঠিয়ে দিন, তবে দু'সপ্তাহের মধ্যে৷ তা না হলে পরে সেই পুরস্কারের জন্য বিজয়ী বন্ধুর আর কোনো দাবি থাকবে না৷
বিজয়ী বন্ধুদের কাছে বিশেষ অনুরোধ: পুরস্কার পেতে দেরি হচ্ছে বা পুরস্কার হাতে না পাওয়ার অভিযোগ যাঁদের, তাঁরা সবসময় নামের সাথে নিজেদের পোস্টাল অ্যাড্রেসটিও লিখবেন, কেমন?
-
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
সবসময় ম্যাচিং
রানি এলিজাবেথের সাজগোজ প্রায় কিংবদন্তি৷ ড্রেস-এর সঙ্গে ম্যাচ করা হ্যাট বা টুপি, গাউনের হেমলাইন ওজন দিয়ে ভারি করা, যা-তে বাতাসে কোনোরকম লজ্জাকর পরিস্থিতি না সৃষ্টি হয়৷ তারপর হাতের বটুয়াটি: হ্যান্ডব্যাগের আকার সবসময় এক; রং, কালো; সাইজ এমন যে, তা-তে রানির লিপস্টিক, চশমা, মিন্ট লজেন্স আর হাতরুমাল ধরে৷ দুনিয়া রানি এলিজাবেথকে এভাবেই গত ষাট বছর ধরে দেখে আসছে৷
-
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
উর্দিধারী রাজকন্যা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এলিজাবেথ উইন্ডসর ছিলেন অক্সিলিয়ারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসের সদস্য৷ ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর মহিলা ডিভিশন ছিল এই এটিএস৷ এলিজাবেথ মেকানিকের কাজ শেখেন, ট্রাক চালাতে শেখেন৷ ছবিটি ১৯৪৫ সালের – এখানেও মাথায় টুপি!
-
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
বিয়ের ‘বেনারসি’
যুদ্ধ শেষ হবার দু’বছর পরে এলিজাবেথ তাঁর ছেলেবেলার প্রেম প্রিন্স ফিলিপ অফ গ্রিস অ্যান্ড ডেনমার্ককে বিয়ে করেন৷ যুদ্ধের পর তখন ব্রিটেনে রেশন ব্যবস্থা চলেছে৷ রাজকন্যার বিয়ের পোশাকের জন্য সেরকম ভালো মালমশলা পাওয়াই কঠিন৷ তা সত্ত্বেও স্যাটিন ড্রেসটিতে দশ হাজার মুক্তো আর অন্যান্য ক্রিস্টাল বা পাথর বসানো ছিল, লেসের ‘ট্রেন’ বা ঝালরের দৈর্ঘ ছিল পাক্কা ১৩ ফুট৷
-
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
করোনেশন গাউন
১৯৫৩ সালের ২রা জুন প্রিন্সেস এলিজাবেথের অভিষেক৷ অনুষ্ঠানে তিনি একটি সাদা সিল্কের ড্রেস পরেছিলেন, তার ওপর কমনওয়েল্থ-এর এমব্লেম এমব্রয়ডারি করা ছিল৷ ১৬ ফুট লম্বা মখমলের কেপটি বহন করার দায়িত্ব ছিল ছ’জন ‘মেইড অফ অনার’-এর ওপর৷
-
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
পশ্চিম জার্মানিতে প্রথম সফর
সাংবাদিকরা নাম দিয়েছিলেন ‘শতাব্দীর সফর’৷ পশ্চিম জার্মানি পরম উচ্ছ্বাসে স্বাগত জানায় ইংল্যান্ডের রানিকে – সময়টা ছিল ১৯৬৫ সালের মে মাস৷ ৫৬ বছর এবং দু’টি বিশ্বযুদ্ধের পর আবার ব্রিটেনের একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির জার্মানিতে পদার্পণ৷ রানি এলিজাবেথ তাঁর ১১ দিনের সফরে ১৮টি শহর পরিদর্শন করেন৷
-
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
দ্বিতীয় সফর
রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানিতে আসেন ১৯৭৮ সালে৷ এবার তাঁর সফর যেন সহজ, স্বাভাবিক বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যা-তে তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট ভাল্টার শেল-এর অবদানও কিছু কম ছিল না৷
-
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
আটপৌরে
রানি যখন রাষ্ট্রীয় সফরে যান না কিংবা ব্রিটিশ সংসদের অধিবেশন উদ্বোধন করেন না, তখন তিনি হ্যাটের পরিবর্তে মাথায় রুমাল বাঁধাই পছন্দ করেন৷ রানি যেন হঠাৎ খোশমেজাজের দাদিতে পরিণত হন! ছবিটি তোলা ২০১২ সালে৷
লেখক: সিলকে ভ্যুনশ/এসি
কুইজ প্রতিযোগিতায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷ আর বন্ধুদের সবার কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনাদের বন্ধুদেরও এই প্রতিযোগিতার কথা জানাবেন৷ জানাবেন ডয়চে ভেলের টেলিভিশন অনুষ্ঠান অন্বেষণ এবং ওয়েবসাইটের কথা৷ অন্বেষণ অনুষ্ঠানের হ্যাশট্যাগও রয়েছে৷ বাংলায় #অন্বেষণ আর ইংরেজিতে #onneshon লিখে ফেসবুক, টুইটারে মন্তব্য করা যাবে৷
ডয়চে ভেলের সকল বন্ধুদের জন্য রইলো শুভেচ্ছা৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ