‘বাঁশেরকেল্লা’-র অ্যাডমিন রাসেল বিন সাত্তারের গ্রেপ্তার নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা চলছে৷ অনেকেই একে ‘সরকারের নাটক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷
আব্দুর রব চৌধুরী ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, গ্রেপ্তারকৃত রাসেল নাকি স্বীকারোক্তি দিয়েছে৷ এটা দেখে এক বন্ধুর বলা একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেল৷ গল্পটা এই রকম – একবার এক জমিদার-পত্নী সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তাঁর হিরার আংটিটা না পেয়ে স্বামীকে অনুযোগ করলেন৷ জমিদার মহাশায় সাথে সাথে থানার ওসিকে ফোন করলেন৷ বিকাল বেলা জমিদার-পত্নী আংটিটা খুঁজে পেয়ে স্বামীকে জানালেন৷ জমিদার ওসিকে পুণরায় ফোন করা মাত্রই ঐ প্রান্ত থেকে তিনি বলে উঠলেন, ‘‘আমরা ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি, এর মধ্যে একজন অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে৷''
এটা আওয়ামী লীগের সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন আবুল বাশার খান৷ লিখেছেন, ‘‘তারা চাইলে ওসামা বিন লাদেনকেও বাংলাদেশের কোনো প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে আনতে পারে৷ বিশ্ব বিশ্বাস করুক আর নাই করুক, তারা যাকে সাজিয়ে মিডিয়ার সামনে ধরবে সে অনায়াসে স্বীকার করবে যে সেই হলো আসল লাদেন আর অ্যামেরিকা যাকে হত্যা করেছে সে হলো তার ‘লুক এলাইক'৷''
মিজান খান প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘হায়রে দেশ! তাহলে মানুষ কি আর ফেসবুক ব্যবহার করবে না?''
পাভেল কামাল লিখেছেন, ‘‘বাঁশেরকেল্লা কি বাঁশ দিলো না বাঁশ খেলো – কিছু্ই বুঝতে পারছি না৷''
আবেদ আল শিহাব, বেলাল আর মহিউদ্দীন লিখেছেন যে, এটা সরকারের সাজানো নাটক৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ