এতে উত্তর দিয়েছেন মোট ৫২৩ জন৷ ‘মাইওন' সঠিক উত্তর৷ উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এবারের বিজয়ী হয়েছেন আবেদা ফারজানা লিজা, আপনাকে অভিনন্দন৷ আপনার কাছে বিশেষ অনুরোধ পুরস্কার পাঠানোর সুবিধার্থে আপনার ঠিকানাটি আমাদের ফেসবুকে মেসেজ বক্স বা ই-মেলে (bengali@dw.de) পাঠিয়ে দিন৷ যাঁরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
এটা পুরনো মারাকানা – ১৯৭৩
এই স্টেডিয়ামটি দেখলেই ব্রাজিলিয়ানদের পুরনো মারাকনার কথা মনে পড়ে যায়, ৯০-এর দশকে যা কিনা সব সামাজিক কর্মকাণ্ডের মিলনস্থল ছিল৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের জন্য এটা নতুন করে নির্মাণ করা হয়৷ এতে খরচ হয় ৪০০ মিলিয়ন, যা অনেক ব্রাজিলিয়ানের কাছেই জনগণের সম্পদ নষ্ট করার প্রতীক৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
সাঁও পাওলো – অ্যারেনা দে সাঁও পাওলো ‘ইটাকুয়েরাও’
এটা ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম, যেখানে ২০তম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার উদ্বোধন হয়েছে ১২ই জুন৷ ইটাকুয়েরাও নামটি কিন্তু শ্রমিকদের বসবাস এলাকার নামেই নামকরণ হয়েছে৷ স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজের সময় দু-দু’টি দুর্ঘটায় তিনজন শ্রমিক মারা গেছেন৷ স্টেডিয়ামটি নতুন করে নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৩১০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে খেলা দেখতে পারেন মোট ৬৫,৮০৭ জন ফুটবলপ্রেমী৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
সালভাদোর দা বাইয়া – অ্যারেনা ফন্টে নোভা
১৩ই জুনের প্রথম শীর্ষ খেলাটি হয়েছে এই স্টেডিয়ামে৷ বিশ্বকাপ ফুটবলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন এবং রানার্স আপ হল্যান্ডের মধ্যে ৷ সোমবারে এখানেই খেলা হবে জার্মানির সাথে পর্তুগালের৷ বিশ্বকাপের পরেও এই স্টেডিয়ামে খেলা হবে প্রথম বিভাগের একটি স্থানীয় দলের, যারা আন্তর্জাতিক খেলাতেও অংশগ্রহণ করে৷ স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ২৩০ মিলিয়ন ইউরো৷ স্টেডিয়ামটিতে মোট ৪৮,৭৪৭ জন ফুটবলভক্তের জন্য জায়গা রয়েছে৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
ফর্টালেজা – এস্টাডিও কাস্তেলাঁও
২,৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই মেট্রোপলিটান শহরে দুটো ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব রয়েছে৷ এই ক্লাবগুলো সেরকম সফল না হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওদের খেলা দেখতে বিশাল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়৷ এবারের বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে জার্মানির গ্রুপ পর্যায়ের দ্বিতীয় খেলাটি হবে এখানে৷ স্টেডিয়ামটির নতুন করে নির্মাণ কাজ করতে মোট খরচ পড়েছে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো৷ এর ধারণ ক্ষমতা ৬৪,৮৪৬৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
কুইয়াবা – অ্যারেনা পান্টানাল
বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিযোগিতা যেসব শহরে হবে, সেগুলোর মধ্যে কুইয়াবাই হচ্ছে সবচেয়ে ছোট, যার জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ লাখ৷ এটা জলাভূমি পান্টাল এলাকার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত আর এ কারণেই এই নামকরণ৷ এখানে সেরকম কোনো শীর্ষস্থানীয় ক্লাব নেই৷ তবে ২০১৬ সালে রিও ডি জানেরোতে যে অলিম্পিকের আসর বসবে, তার কিছু অনুশীলন অনুষ্ঠিত হবে এখানে৷ স্টেডিয়ামটির জন্য খরচ পড়েছে মোট ১৯০ মিলিয়ন ইউরো আর এর ধারণ ক্ষমতা ৪২,৯৬৮৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
রেসিফে – অ্যারেনা প্যারনামবুকো
এই স্টেডিয়ামের নামকরণ এ রাজ্যের নামের সাথে মিল রেখে করা হয়েছে৷ শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্টেডিয়াম, যার নির্মাণ খরচ আনুমানিক ২৫০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে মোট ৪২,৮৪৯ জন ফুটবলপ্রেমী এক সাথে খেলা উপভোগ করতে পারেন৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
মানাউস – অ্যারেনা দা আমাজনিয়া
বিশ্বকাপের শুরুতেই ইংল্যান্ড ও ইটালি – এই দুটি শক্তিশালী দলের মধ্যে খেলা হবে এই স্টেডিয়ামে৷ এখানে অনেকদিন হয়ত আর কোনো খেলাই হবে না, কারণ মানাউস-এর কোনো ক্লাবই জাতীয় লীগে খেলে না৷ ক্লাবটির নির্মাণ কাজের সময় চারজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল৷ স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতা ৪২,৩৭৪৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
ব্রাজিলিয়া – এস্টাডিও ন্যাশনাল
এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য সবচেয়ে ব্যায়বহুল ও মর্যাদাপূর্ণ স্টেডিয়াম, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়৷ তাছাড়া এখানে তেমন কোনো ফুটবল ক্লাবও নেই৷ ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাজিলিয়ার এই স্টেডিয়ামটি শহর থেকে বেশ দূরে অবস্থিত, যার নির্মাণ কাজে খরচ পড়েছে মোট ৬৩০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে মোট ৬৮,০০৯ জন মানুষ এক সাথে খেলা দেখতে পারেন৷
-
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
রিও ডি জানেরো – এস্টাডিও ডো মারাকানা
সাবেক জাতীয় মনুমেন্টটি এখন অনেক ভক্তের চোখে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়৷ ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা হয়েছিল এখানে, যে খেলায় দর্শকের সংখ্যা ছিল ১৭০,০০০৷ তবে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে হয়ত এর অর্ধেক দর্শকও হবে না৷ তা সত্ত্বেও এটাই বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, যার নির্মাণ কাজে খরচ হয়েছে ৪,০০০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে ৭৩,৫৩১ দর্শকের এক সঙ্গে খেলা উপভোগ করার জন্য জায়গা রয়েছে৷
লেখক: ইয়ান ডে ভাল্টার / এনএস
বন্ধুদের সবার কাছে আমাদের বিশেষ অনুরোধ, আপনাদের বন্ধুদেরও এই প্রতিযোগিতার কথা জানাবেন৷ জানাবেন ডয়চে ভেলের টেলিভিশন অনুষ্ঠান অন্বেষণ এবং ওয়েবসাইটের কথা৷ উল্লেখ্য, অন্বেষণ অনুষ্ঠানের হ্যাশট্যাগও রয়েছে৷ বাংলায় অন্বেষণ আর ইংরেজিতে #onneshon লিখে ফেসবুক, টুইটারে মন্তব্য করা যাবে৷
বিশেষ টপ গেম কুইজের ফলাফল:
বিশেষ কুইজ প্রতিযোগিতায় ১২ তারিখের প্রশ্ন ছিলো, ‘‘বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত দুটোয় ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল৷ কে জিতবে এই খেলায় ?''
সঠিক উত্তর ব্রাজিল৷ লটারিতে বিজয়ী হয়েছেন: রিনা পারভীন, সুজা নগর কলেজ, সুজানগর, পাবনা৷
১৩ তারিখের প্রশ্ন ছিলো, ‘‘শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৪টায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইটালি৷ বলতে হবে কে জিতবে এই খেলায়?
খেলায় জিতেছেন নেদারল্যান্ডস৷ লটারিতে বিজয়ী হয়েছেন: প্রীতম মাহমুদ৷ আপনাকে অনুরোধ করছি পোস্টাল অ্যাড্রেসটি ফেসবুক অথবা ই-মেলে পাঠিয়ে দেবেন৷
-
জীবন বাঁচাবে বাংলাদেশের রোবট
আগুন নেভাবে রোবট
তৈরি পোশাক কারখানা সহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা প্রায় ঘটে৷ এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে৷ আগুন নেভাতে ছুটে যান দমকল বাহিনীর কর্মীরা৷ ভবিষ্যতে হয়ত তাদের সঙ্গে যোগ দেবে রোবট৷ বাংলাদেশেই এ ধরনের রোবট তৈরির কাজ চলছে বলে জানান শিবলী ইশতিয়াক৷ রোবট তৈরির উপকরণ পাওয়া যায় এমন একটি ওয়েবসাইট রোবটিক্সবিডি ডটকমের অ্যাডমিন তিনি৷
-
জীবন বাঁচাবে বাংলাদেশের রোবট
স্বয়ংক্রিয় বা রিমোট কন্ট্রোল
ইশতিয়াক বলেন, ‘‘বাংলাদেশে অনেক ফ্যাক্টরি আছে যেগুলো অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ততটা ভালো না৷ তাই কিছু কিছু রোবট ডেভেলপ করার চেষ্টা চলছে যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভানোর কাজ করবে৷ অথবা সেগুলো রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে চালানো যেতে পারে৷'' এ ধরনের রোবটকে কোথায়, কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলে জানান তিনি৷
-
জীবন বাঁচাবে বাংলাদেশের রোবট
কোয়াডকপ্টার
ইশতিয়াক বলেন, বর্তমানে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল তাদের অনুষ্ঠান নির্মাণকাজে কিংবা সরাসরি কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে বাংলাদেশে তৈরি কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করছে৷
-
জীবন বাঁচাবে বাংলাদেশের রোবট
সাগরে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা
কোয়াডকপ্টারের আরেকটি সম্ভাব্য ব্যবহারের কথাও জানান ইশতিয়াক৷ সাগরে ডুবে যাচ্ছে এমন কোনো ব্যক্তির কাছে কোয়াডকপ্টারের মাধ্যমে লাইফ জ্যাকেট ও ভেস্ট পাঠিয়ে তাঁর প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে৷
-
জীবন বাঁচাবে বাংলাদেশের রোবট
ঘরের কাজে রোবট
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার সহ ঘরের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন সব রোবট ডেভেলপ করতে গবেষণা করছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা৷
-
জীবন বাঁচাবে বাংলাদেশের রোবট
অনলাইনে রোবট তৈরির যন্ত্রপাতি
রোবটিক্সবিডি ডটকমে (http://store.roboticsbd.com/) গেলে রোবট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো পাওয়া যাবে৷ আগে এসব বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো৷
-
জীবন বাঁচাবে বাংলাদেশের রোবট
শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে
ইশতিয়াক জানান, সাইট চালুর শুরুর দিকে অর্থাৎ ২০১২ সালে তেমন একটা ব্যবসা করতে না পারলেও পরের দুই বছরে বিক্রি বেড়েছে প্রায় দুইশো শতাংশ৷ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘আজকাল শিক্ষার্থীরা ইউটিউব সহ অন্যান্য মাধ্যমে বিদেশে রোবট নিয়ে যেসব কাজ হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছে৷ ফলে তারাও এ বিষয়টির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে৷’’
-
জীবন বাঁচাবে বাংলাদেশের রোবট
প্রশিক্ষণ
যারা রোবট বানানোর চেষ্টা করছেন তাদের আরেকটু সহায়তা করতে রোবটিক্সবিডি বেশ কিছু কোর্সও পরিচালনা করে থাকে৷
লেখক: জাহিদুল হক
১৪ তারিখ শনিবার প্রশ্ন ছিল, ‘‘বাংলাদেশ সময় রাত ৪টায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইটালি৷ বলতে হবে কে জিতবে এই খেলায়?''
সঠিক উত্তর ইটালি৷ এই কুইজে বিজয়ী হয়েছেন: জাভেদ পারভেজ৷ আপনাকে অনুরোধ করছি পোস্টাল অ্যাড্রেসটি ফেসবুক অথবা ই-মেলে পাঠিয়ে দেবেন৷
আবারো ধন্যবাদ সকলকে৷ ডয়চে ভেলের সকল বন্ধুদের জন্য রইলো শুভেচ্ছা৷ একটা ব্যাপার আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করে থাকি যে এই কুইজে অংশগ্রহণ করার পরে আর অনেকেই ফেসবুকে বা ওয়েবসাইটে ঢোকেন না৷ কারণ দেখা যায় প্রতি সোমবার বিজয়ী বন্ধুর নাম জানানোর পরও কেউ কেউ তাঁদের পোস্টাল অ্যাড্রেস আমাদের কাছে পাঠান না৷ এতে আমাদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়৷ আমাদের বিশেষ অনুরোধ যাঁরা অন্বেষণ কুইজ বা ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের বিশেষ কুইজে অংশ নিয়ে থাকেন তাঁরা অন্তত একবার হলেও প্রতিদিন ফেসবুকে এবং ওয়েয়েবসাইটের পাঠক ভাবনা-তে দেখবেন কে বিজয়ী হয়েছেন৷ তা না হলে পুরস্কার পাঠানো সম্ভব নয় অর্থাৎ বিজয়ী হয়েও পুরস্কার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন৷
ডয়চে ভেলেকে সাথে নিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করুন -এই প্রত্যাশায়,
- ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ