1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অমর্ত্য সেন নোবেল পাননি, দাবি উপাচার্যের

২৭ জানুয়ারি ২০২৩

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ যে পুরস্কার পেয়েছেন তা নোবেল নয়, অন্য পুরস্কার বলে দাবি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের।

https://p.dw.com/p/4MlVH
অমর্ত্য সেন
ছবি: Sandip Saha/Pacific Press Agency/imago images

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে আবার চিঠি পাঠালো বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি অমর্ত্য সেনকে অবিলম্বে ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিতে হবে।‌উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি এই জমি বেআইনিভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। এই জমি নিয়ে আগেও অমর্ত্য সেনকে নোটিস দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী তার জবাবও দিয়েছেন। তারপর আবার তার কাছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের চিঠি গেল।

উপাচার্য এদিন অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, তিনি যে পুরস্কার পেয়েছেন সেটা আদতে নোবেল পুরস্কার নয়। বিদ্যুৎ বলেছেন, নোবেল পুরস্কারের যে ডিড তৈরি হয়েছিল তাতে পাঁচটি বিষয়ে নোবেল দেবার কথা ছিল। পরে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাংক নোবেলের সম্মানার্থে অর্থনীতিতে একটি পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। সেটার আনুষ্ঠানিক নাম হলো, সুইডেন প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্স ইন মেমরি অফ আলফ্রেড নোবেল। বিদ্যুতের দাবি অমর্ত্য এই পুরস্কারটাই পেয়েছিলেন এবং সেটাকে কিছুতেই নোবেল পুরস্কার বলে গণ্য করা যায় না।

‘মোদী সরকারের নীতি ভারতকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে’

এই বিতর্ক আগে হয়েছে। তবে নোবেলের ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে অমর্ত্য সেনের নাম। তারপর এই ধরনের বিতর্ক অর্থহীন বলেই মনে করেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ।

তবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এখনো জমির ব্যাপারে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছেন। তিনি বলেছেন যদি অমর্ত্য সেনের এত আপত্তি থাকে তাহলে তিনি কেন এই জমি বিতর্কে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না। আদালতে গেলেই তিনি হেরে যাবেন।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনো আদালতের দ্বারস্থ হয়নি।

অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, আমি ওকে বলতে পারতাম যে বাড়িতে উনি বসবাস করছেন সেখানে আমার পিতামহ খিতিমোহন সেন থাকতেন। আমিও যদি এখন কিছু লোককে এনে জমি মাপতে চাই তাহলে কি হবে?

অমর্ত্য সেনের বক্তব্য, ৫০ বছর পরে এই বিতর্ক কেন হচ্ছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তার বাবা জমিটি কিনেছিলেন। সেই কেনা জমির উপর বাড়ি তৈরি হয়েছে। যে ব্যবহার বর্তমান উপাচার্য তার সঙ্গে করছেন তা আর কেউ করবেন বলে অমর্ত্য সেন মনে করেন না।

জি এইচ/ এস জি (আনন্দবাজার)