1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের নিন্দায় জাতিসংঘ

১৪ জুন ২০১৮

গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘ৷ ইসরায়েলের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভোট দিয়েছে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদ৷

https://p.dw.com/p/2zXxH
USA, New York: Tag Drei:UN Wahl 2019-2020
ছবি: picture-alliance/dpa/Y. Jansens

যুক্তরাষ্ট্র হামাসের ওপর দায় চাপাতে চাইলেও জাতিসংঘের ভোটে তা বাতিল হয়েছে৷ আলজেরিয়া, তুরস্ক এবং ফিলিস্তিনের উত্থাপন করা এই প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের মধ্যে সাড়া দিয়েছে ১২০টি দেশ৷ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৮টি দেশ, ভোট দেয়ায় বিরত ছিল ৪৫ সদস্য৷

এ মাসের শুরুতেই ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের একটি প্রস্তাবে ভেটো দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ সাধারণ পরিষদের এই নিন্দা প্রস্তাবকে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটোর জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে৷

বিপক্ষে ভোটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাথে যোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া মার্শাল আইল্যান্ডস, মাইক্রোনেশিয়া, নাউড়ু, টোগো এবং সলোমন আইল্যান্ডস৷ ভোটদানে বিরত থাকে জার্মানি৷

মৃত্যুর মিছিল

মার্চের শেষে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১২০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি৷ ইসরায়েল অবশ্য বিক্ষোভ আর সহিংসতার জন্য হামাসকেই দায়ী করে আসছে৷ তবে এই বিক্ষোভে হামলায় কোনো ইসরায়েলের নাগরিক নিহত হননি৷

সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ইসরায়েল-দখলীকৃত ফিলিস্তিনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বানও জানানো হয়েছে৷

গত মাসে ইস্তানবুলে ইসলামী দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির বৈঠকে একটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়৷ তবে এমন বাহিনী গঠনে প্রয়োজন নিরাপত্তা পরিষদের, যেখানে এরই মধ্যে ভেটো দিয়ে রেখেছে ইসরায়েলের মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রতিক্রিয়া

সাধারণ পরিষদে ভোটের ঠিক আগে এক বক্তব্যে জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতিনিধি ড্যানি ডেন বলেন, এই প্রস্তাবে সমর্থনের মানে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে ‘উৎসাহিত' করা এবং হামাসকে আরো ‘শক্তিশালী' করে তোলা

যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব সংশোধনের দাবি তোলে৷ সহিংসতা উসকে দেয়ায় হামাসকে দায়ী করে দেশটি৷ যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি প্রস্তাবটিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাত বলেও মন্তব্য করেন৷

তিনি বলেন, ‘‘কারো কারো জন্য ইসরায়লকে আক্রমণ করা একটি রাজনৈতিক খেলায় পরিণত হয়েছে৷ আমি আশা করি, এই এক-পাক্ষিক প্রস্তাবের পক্ষে যাঁরা এগিয়ে আসছেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতেও ভূমিকা রাখবেন৷''

ফিলিস্তিনের কর্মকর্তা অবশ্য অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, মে মাসে জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে তারা আর ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিরপেক্ষ  আলোচনাকারী হিসেবে বিবেচনা করেন না৷

সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব মানতে বাধ্য নয় কোনো পক্ষই৷ তবে কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে৷

এডিকে/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)