কম্পিউটার ‘দ্য ড্যাশ'
১২ নভেম্বর ২০১৫নিকোলাই ভিড নিজেই আগে ছিলেন অ্যাথলিট৷ ‘দ্য ড্যাশ' যন্ত্রটি তাঁরই আবিষ্কার৷ এমন একটি ‘ইন-ইয়ার', মানে কানের ভিতর বসানো তারবিহীন ইয়ারফোন, যা ফিটনেস কম্পিউটার হিসেবেও কাজ করবে৷ বিভিন্ন সেন্সরের মাধ্যমে ‘দ্য ড্যাশ' যন্ত্রটি হৃৎস্পন্দন পর্যন্ত মাপতে পারে৷
নিকোলাই ভিড ও মিউনিখে তাঁর চল্লিশজন সহকর্মী এখনও ‘দ্য ড্যাশ' যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ তৈরির কাজ নিয়ে ব্যস্ত৷ ব্রাজি কোম্পানির সিইও নিকোলাই শোনালেন, ‘‘দ্য ড্যাশ তৈরি করাটা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ আমরা এখনো সেই কাজে লেগে রয়েছি৷ এটা আসলে একটা অতি ছোট কম্পিউটার, যার ক্ষমতা বছর পনেরো আগের ল্যাপটপের মতো৷ কিন্তু যন্ত্রটা এতো ছোট যে, তা কানের ওপরে না লাগিয়ে, কানের ভেতরেই রাখা যায়৷ সেখান থেকে যন্ত্রটা যে শুধু আপনার মনোরঞ্জন করবে শুধু তা নয়, আপনি যা করছেন, তাতে সাহায্য করবে, এমনকি আপনার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবে৷''
নিকোলাই ভিড আগে ছিলেন একটি ডিজাইন সংস্থার প্রধান৷ দু'বছর ধরে তিনি তাঁর ইন-ইয়ার ইয়ারফোনের ধারণাটি নিয়ে পাঁচদোর ঘুরেছেন কিন্তু কোনো বিনিয়োগকারী খুঁজে পাননি৷ শেষমেষ তিনি একটি ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের দ্বারস্থ হন৷ সেই প্ল্যাটফর্মের কল্যাণেই তিনি তাঁর আইডিয়াটি বাস্তবে পরীক্ষা করার সুযোগ পান, গ্রাহকরা যন্ত্রটি পছন্দ করবে কিনা৷ সাড়া পান বিপুল৷ সাত সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ষোলো হাজার মানুষ পঁচিশ লাখ ইউরোর বেশি বিনিয়োগ করেন৷ তাও আবার নিকোলাই-এর পণ্যটি একবারও হাতেকলমে পরখ না করে৷
গ্রাহক অর্থাৎ খদ্দের, যারা বিভিন্ন পণ্যের উদ্ভাবন সম্ভব করেন, পণ্যের বিকাশে অংশগ্রহণ করেন৷ ডিজাইনার আর্নে ল্যোরমান-এর কাছে সেটাই হল আসল প্রেরণা৷ হিয়ারিং এইড নির্মাতাদের কাছ থেকে তিনি সাহায্য পেয়েছেন৷ শেষমেষ এমন একটি পণ্য তৈরি হয়েছে, যা তিনটি সাইজে পাওয়া যাবে, ফলে সব ধরনের কানে বসানো যাবে৷