আল্পসের কোলে ইটালির সুন্দর শহর ব্যার্গেমো
২৩ জুন ২০১৭শহরের নাম এসেছে জার্মানিক-কেল্টিক উৎস থেকে, যার অর্থ ‘পাহাড়ে বাড়ি'৷ শহরের উঁচু অংশ গেলে সেখান থেকে আশেপাশের সুন্দর সব প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়৷
ব্যার্গামোতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে৷ ব্যার্গামো শহরের নকশা বেশ অনন্য৷ টুর গাইড বারবারা সাভা জানান, ‘‘শহরের নীচু অংশটা আধুনিক৷ পর্যটকরা প্রথমে সেখানেই আসেন৷ উঁচু অংশটা ঐতিহাসিক৷ এছাড়া আছে পাহাড়৷ এই তিন অংশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য আছে দুটি কেবল কার৷ ব্যার্গামোর বাসিন্দা ও পর্যটকরা এগুলো ব্যবহার করেন৷''
ব্যার্গামোর ঐতিহাসিক অংশের মূল আকর্ষণ পিয়াৎসা ভ্যাককিয়া, আর মধ্যযুগে নির্মিত টোররে চিভিকা৷ সেই সময় বেল বাজিয়ে সন্ধ্যার সময় বাসিন্দাদের শহরে ঢোকার আহ্বান জানানো হতো৷
শহরের ধর্মীয় এলাকা বলে পরিচিত ক্যাথেড্রাল চত্বরের ইতিহাস আরও বেশি সমৃদ্ধ৷ সেখানে আছে ১২ শতকে নির্মিত ব্যাসিলিকা সান্তা মারিয়া মাজোরে এবং ১৫ শতকে তৈরি হওয়া কোলিওনি চ্যাপল৷
ব্যাসিলিকার দেয়াল পুরনো ট্যাপিস্ট্রি আর সিলিং স্টকো ফিগার্স দিয়ে সজ্জিত৷ ব্যার্গামোর সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষ কম্পোজার গায়েটেনো ডোনেৎসিটির সমাধিও আছে সেখানে৷ ১৮৪৮ সালে মারা যাওয়া ডোনেৎসিটি ইটালির অন্যতম সেরা কম্পোজার ছিলেন৷
ডোনেৎসিটি মিউজিয়ামের কাছে আছে প্রাচীন শহরের দেয়াল, যেটি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ৷ মানুষজন এখন সেখানে হাঁটতে যেতে পছন্দ করেন৷
আইসক্রিম খেতে চাইলে যেতে হবে ‘লা মারিয়ানা'-য়৷ এখানেই ষাটের দশকে স্ট্রাচিয়াতেল্লা আইসক্রিম উদ্ভাবিত হয়৷
ব্যার্গামোতে আরও অনেক সুস্বাদু খাবার আছে৷ শহরের শপিং এলাকা ও থিয়েটারও দেখার মতো৷
সুসানে ডাউস/জেডএইচ