1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুপ্রিম কোর্টে কানিমোড়ির জামিনের আর্জি

১০ জুন ২০১১

টেলিকম কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত বর্তমানে জেলবন্দি ডিএমকে দলের সাংসদ কানিমোড়ির জামিনের আর্জি জানানো হয় আজ সুপ্রিম কোর্টে৷ পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বসে ডিএমকে দলের শীর্ষ বৈঠক৷

https://p.dw.com/p/11YCK
শেষ পর্যন্ত লড়ছেন কানিমোড়িছবি: UNI

টেলিকম দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত বর্তমানে জেলবন্দি ডিএমকে দলের সাংসদ কানিমোড়ি আজ জামিনের আর্জি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে৷ এরআগে, দিল্লি হাইকোর্ট ডিএমকে সাংসদ কানিমোড়ির জামিনের আবেদন খারিজ করে রায় দেন, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে দুর্নীতি নিয়ে যে তদন্ত করছে তাতে প্রাথমিকভাবে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, কানিমোড়ি এই দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত৷ কানিমোড়ি কার্যত কালাইনার টিভি কোম্পানির অন্যতম মালিক৷ তাঁকে জামিন দিলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সুযোগ থাকবে৷ দ্বিতীয়ত, তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি যথেষ্ট৷ ডিএমকে কেন্দ্রীয় সরকারের শরিক৷

কানিমোড়ি ও শারদ কুমারের আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তি নাকচ করে দেন বিচারপতি৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে তাঁরা বলেন যে, ২০০ কোটি টাকা তাঁরা কালাইনার টিভির জন্য পেয়েছিলেন আন্ত:কর্পোরেট আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে৷ এরমধ্যে বেআইনি কিছু ছিলনা৷ উল্লেখ্য, টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ নেয়া হয় তার মধ্যে থেকে ২০০ কোটি টাকা যায় কালাইনার টিভিতে এমনটাই অভিযোগ৷

টেলিকম কেলেঙ্কারির অভিযোগে আরো একজন ডিএমকে মন্ত্রীর ইস্তফার মেঘ ঘনাচ্ছে৷ ইনি হলেন, বস্ত্রমন্ত্রী করুণানিধির নাতি দয়ানিধি মারান৷ তাঁর বিরদ্ধে অভিযোগ, তিনি জি.শিবশঙ্করন নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এয়ারসেল মোবাইল পরিষেবা সংস্থা থেকে তাঁর বিনিয়োগ তুলে নিতে বাধ্য করেছিলেন৷ তাৎপর্যপূর্ণ হলো, এয়ারসেলের প্রমোটার কোম্পানি ম্যাক্সিস এরপরেই সান টিভিতে বিনিয়োগ করেছিল৷

Parteivorsitzender der DMK Muthuvel Karunanidhi
কন্যাকে বাঁচাতে মরিয়া করুণানিধিছবি: AP

অন্যদিকে, ডিএমকে দলের নির্বাচনী বিপর্যয় এবং টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো ডিএমকে পরিবারের ঘাড়ে ওপর যেভাবে নি:শ্বাস ফেলছে তাতে দলের প্রধান করুণানিধির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে৷ এর প্রেক্ষিতে আজ ডিএমকে দলের শীর্ষ বৈঠকে করুণানিধির সামনে খোলা দুটি পথ৷ কেন্দ্রে কংগ্রেস-জোট সরকারে থাকবে, না বেরিয়ে এসে বাইরে থেকে সমর্থন দেবে৷ দলের একাংশের মত, নির্বাচনী পরাজয়ে দল এমনিতেই দুর্বল, তাতে জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসাটা ঠিক হবেনা৷ আর যাঁরা কানিমোড়ির গ্রেপ্তারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করছে তাঁদের মত হলো, মনমোহন সিং মন্ত্রীসভা থেকে ডিএমকে দলের ৬জন মন্ত্রীর ইস্তফা দেয়া উচিত৷ উল্লেখ্য,সংসদে ডিএমকে দলের ১৮জন সাংসদ তাঁদের মধ্যে ৬জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য