1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুন্দরবনে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আশঙ্কা

৩১ জানুয়ারি ২০১২

বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হলো রবিবার৷ কিন্তু সুন্দরবন রক্ষার্থে রামপালে সেটা না করে অন্য কোনো জায়গায় করতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশের ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিক৷

https://p.dw.com/p/13tEi
হুমকির মুখে সুন্দরবনছবি: Fotolia/lamio

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য রামপাল উপজেলাকে নির্বাচিত করায় তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন৷ কেননা এতে বিশ্ব ঐতিহ্যের ধারক পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং এর আশেপাশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হবে৷ টিআইবি কর্মকর্তা বলেন, সরকারের বন বিভাগও লিখিতভাবে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

Umweltverschmutzung in Indien
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা অমূলক নয়ছবি: PA/dpa

কিন্তু চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে৷ ফলে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷ এ প্রসঙ্গে ড. ইফতেখার বলেন, ‘‘অর্থমন্ত্রী যে প্রযুক্তির কথা বলছেন সেটা ব্যবহার করে কীভাবে এবং কতটুকু দূষণ কমানো সম্ভব, সেই তথ্য জনগণকে জানাতে হবে৷ এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই, সরকারের কাছেও নেই৷ তিনি একটা রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়েছেন৷''

বিশিষ্টজনদের বিবৃতি প্রসঙ্গে সরকার কী বলছে? টিআইবি কর্মকর্তা বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় নি৷ তবে গণমাধ্যমের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, তারা আমাদের বক্তব্য যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছে৷ কিন্তু সরকার কিসের ভিত্তিতে এমন বক্তব্য দিল সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়৷''

সব বিরোধিতা উপেক্ষা করে সরকার যদি এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ভবিষ্যতে আরও কীভাবে প্রতিবাদ জানানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে বলে জানান এই টিআইবি কর্মকর্তা৷

প্রতিবাদ: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান