1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া

১৭ জুন ২০১২

সিরিয়ায় সশস্ত্র শান্তিরক্ষী পাঠাতে জাতিসংঘ’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেদেশের বিরোধী পক্ষ৷ সহিংসতার কারণে সিরিয়ায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা পরিদর্শন কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিলে এই আহ্বান জানায় বিরোধীরা৷

https://p.dw.com/p/15Gjg
In this picture taken during a UN observer-organized tour, UN observers don body armor upon their arrival in Hama city, central Syria, on Thursday May 3, 2012. Syrian security forces stormed dorms at a northwestern university to break up anti-government protests there, killing at least four students and wounding several others with tear gas and live ammunition, activists and opposition groups said Thursday. (Foto:Muzaffar Salman/AP/dapd)
ছবি: dapd

সিরিয়ার নির্বাসিত জাতীয় পরিষদ (এসনসি), যেটিকে সেদেশের প্রধান বিরোধী পক্ষ হিসেবে গণ্য করা হয়, এক বিবৃতিতে সিরিয়ায় সশস্ত্র পর্যবেক্ষক পাঠাতে আহ্বান জানিয়েছে৷ এজন্য জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আর্জি জানিয়েছে তারা৷

এসএনসি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে যখন সেদেশের শাসকগোষ্ঠী সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধ করছে, তখন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে আমরা বিস্মিত হয়েছি৷ বিশেষ করে যখন সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পরও পর্যবেক্ষকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷''

বলাবাহুল্য, সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় সিরিয়ায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ মিশন (ইউএনএসএমআইএস) স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে৷ তিন মাসের জন্য এই পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হলেও ঠিক দুই মাসের মাথায় তা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে৷

A Free Syrian Army fighter fires his weapon during clashes near Idlib, Syria, Friday, June 15, 2012. (Foto:AP/dapd)
আসাদ বিরোধী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির এক সেনাছবি: dapd

এই কার্যক্রম স্থগিত করে প্রকারান্তরে সিরিয়ার শাসক গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে এবং সিরিয়ার সাধারণ মানুষ যেটুকু সুরক্ষা পেয়েছিল সেটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে, মনে করছে এসএনসি৷

চলমান সহিংসতার প্রেক্ষিতে এসএনসি'র প্রস্তাব হচ্ছে, সিরিয়ায় নিযুক্ত শান্তিরক্ষীদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করা হোক, যাতে করে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে৷

এদিকে, সিরিয়ায় সহিংসতায় শনিবার প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৬৯ ব্যক্তি৷ রবিবার সেদেশের হোম্স শহরে গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে৷ হোম্সের শহরতলীতে অবস্থানরত অ্যাক্টিভিস্ট আবু বিল্লাল জানিয়েছেন, ‘‘তারা সারাক্ষণ আমাদের উপর গোলাবর্ষণ করছে৷ আমাদের এখানে খুব কমই পানি এবং খাবার আছে৷ এছাড়া ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে৷''

সিরিয়ায় পর্যবেক্ষণ মিশন স্থগিতের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পর্যবেক্ষক দলের প্রধান মেজর জেনারেল রবার্ট মুড কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেন৷ এগুলো হচ্ছে প্রথমত দুইপক্ষের মধ্যকার লড়াই আগের চেয়ে বেড়ে গেছে এবং এরফলে ৩০০ সদস্যের শক্তিশালী জাতিসংঘ দলের উপর ঝুঁকি বাড়ছে৷ আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে যুদ্ধরত দলগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সদিচ্ছার অভাব রয়েছে৷ এক বিবৃতিতে মুড বলেন, ‘গত দশদিনে সিরিয়ায় সশস্ত্র সহিংসতা অনেক বেড়ে গেছে'৷

এআই / আরআই (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য