1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সফিকুলের মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা

৭ জুলাই ২০২০

আরামবাগ টিভির কার্যনির্বাহী সম্পাদক সফিকুল ইসলাম এবং তাঁর সহযোগী সাংবাদিক সুরজ আলি মন্ডলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল।

https://p.dw.com/p/3euGi
ছবি: Getty Images/C. McGrath

আরও তিনদিন পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে ইউটিউব চ্যানেল আরামবাগ টিভির দুই সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম এবং সুরজ আলি মন্ডলকে। সফিকুলের স্ত্রীকে তিনদিন জেলে থাকতে হবে। এর আগে তিনজনকেই সাতদিন পুলিশ হেফাজতে থাকতে হয়েছে।

তবে সফিকুলদের হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন আইনজীবী এবং সিপিএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি এই মামলা খারিজ করার দাবি জানিয়েছেন। সফিকুলের টিভিতে দেখানো হয়েছিল, করোনাকালে থানা থেকে স্থানীয় ৫৭টি ক্লাবের কর্তাকে এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট তখন জানিয়েছিল, এই খবরের ভিত্তিতে সফিকুলকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এ বার আবার তাঁর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ খারিজ করার দাবি নিয়ে হাইকোর্টে গেলেন বিকাশ রঞ্জন।

কংগ্রেস নেতা ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''বিকাশবাবু যে মামলাটা করেছেন, তা মঙ্গলবার উঠতে পারে। আর হাইকোর্টের রায় এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'' সন্ময় আগেই দাবি করেছেন, সফিকুলের দেখানো খবরে শাসক দল ও পুলিশ অস্বস্তিতে পড়েছে। তাই তাঁকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। ভোর চারটে নাগাদ পুলিশ সফিকুলের বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁকে ধরে। 

পুলিশের দাবি, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সফিকুল যদি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা না করে তো পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। সফিকুল সহযোগিতা করেনি। তবে হাইকোর্টে যে বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছিল, তাতে নয়, পুলিশ অন্য অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। আর সফিকুল বিভিন্ন নামে সংবাদপত্র চালায়, কিন্তু তার কোনও অনুমোদন নেই। আরামবাগ টিভি-র কোনও লাইসেন্স নেই। তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়ার কথা। সেটাও সফিকুল নেননি। 

জিএইচ/এসজি (বাংলার বার্তা)