1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুকরের মাংস বিতর্কে জার্মানির ডেকেয়ার সেন্টার

২৫ জুলাই ২০১৯

জার্মানির লাইপজিগের দুটি ডে-কেয়ার সেন্টারে মুসলিম শিশু থাকায় শুকরের মাংসসহ জেলাটিন জাতীয় খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ৷ ব্যাপক সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/3MioJ
Kein Schweinefleisch an Leipziger Kitas
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Willnow

জার্মানির লাইপজিগের দুটি ডে-কেয়ার সেন্টারে মুসলিম শিশু থাকায় শুকরের মাংসসহ জেলাটিন জাতীয় খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ৷ ব্যাপক সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তাঁরা৷ এমনকি নিরাপত্তার কথা ভেবে ডে-কেয়ার সেন্টারের সামনে বসাতে হয়েছে পুলিশ পাহারাও৷

লাইপজিগ শহরের এ দুই ডে-কেয়ার সেন্টারে দুজন মুসলিম শিশু রয়েছে৷ তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৫ জুলাই থেকে শুকরের মাংসসহ জেলাটিনজাতীয় খাবার সরবরাহ বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ৷ এ বিষয়ে জার্মানির প্রভাবশালী পত্রিকা দ্যা বিল্ড-এ গত মঙ্গলবার সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে অভিবাককদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি প্রদান করে ডে-কেয়ার কর্তৃপক্ষ৷ চিঠিতে বলা হয় যে, মুসলিম শিশুদের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ শুকরের মাংস বা চর্বি রয়েছে এমন খাবার সরবরাহ বন্ধ রাখবে৷

এদিকে গত মঙ্গলবার বিল্ড পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে টুইটারসহ সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়৷ এমনকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ডে-কেয়ার সেন্টার কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পত্রিকা লাইপজিগ ভোল্কসস্টিমে৷বিতর্কের মুখে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডে-কেয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনা এতটাই তীব্র ছিল যে, নিরাপত্তার কথা ভেবে ডে-কেয়ার সেন্টারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়ে সংবাদ সংস্থাগুলো৷

ডে-কেয়ার সেন্টার দুটির প্রধান ভোল্ফগাং শায়েফার বার্তা সংস্থা ডিপিএকে জানান, তাঁরা প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন৷ আগামী মাসে তাঁরা অভিবাবকদের সাথে এ বিষয়ে মতবিনিময় করবেন ৷ 

টুইটারে বিতর্ক  

বিল্ড পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়৷ এমনকি টুইটার ব্যবহারকারীদের মাঝে সেদিন আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল এটি৷ এদিকে জার্মানির কট্টরপন্থী দল অল্টানেটিভ ফর ডেমোক্রেসির সাংসদ বেট্রিক্স ভন স্টর্ক এটিকে ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন' বলে মন্তব্য করেন৷ তবে বিষয়টিকে রাজনীতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন সোশ্যাল ডেমোক্রেট দলের রাজনীতিবিদ স্যসান চেবলি৷ ফিলিস্তিন বংশোদ্ভুত এ রাজনীতিবিদ টুইটারে দেয়া এক মন্তব্যে বলেন,‘‘ ডে-কেয়ার সেন্টার যদি শুধু সবজি সরবরাহ করতো তাহলে সেটিকে নিরেপেক্ষ আচরণ বলা যেত৷ আর তাই, যদি বলা হয় মুসলিমদের সম্মান দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে তাহলে আমি তাঁদের সাথে একমত নই৷'' 

কি বলছেন অভিবাবকেরা?

জার্মানদের অনেক খাবারেই শুকরের মাংস বা জেলাটিনের মিশ্রন থাকে৷ কোন শিশু যদি ধর্মীয় কারণে বা শারীরিক সমস্যাজনিত কারণে বিশেষ ধরনের মাংস খেতে না চায় তাহলে অধিকাংশ ডে-কেয়ার কর্তৃপক্ষই  তাদেরকে বিকল্প খাবার সরবরাহ করে থাকে৷ তবে লাইপজিগের এ দুটি ডে-কেয়ার সেন্টারের অনেক অভিবাবকই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেছেন৷  এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে একজন মা অভিবাবক ডিপিএকে বলেন যে, ‘‘খাবারের এ বিষয়টি নিয়ে তর্ক করা অযৌক্তিক৷''      

আরআর/কেএম (ডিপিএ, ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান