শিশুদের নিয়ে ভাবতে বাধ্য হলো অস্ট্রেলিয়া
১ নভেম্বর ২০১৮অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক বেতার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই শিশুদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে৷
উন্নত জীবনের আশায় যাঁরা সাগর পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেন, তাঁদের মাঝপথেই আটক করে নাউরুতে বন্দি করে রাখে অস্ট্রেলিয়া৷
এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যেন অস্ট্রেলিয়ার উপকূল পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে, সেজন্য নাউরু ও মানাউসে বন্দি শিবির খুলেছিল অস্ট্রেলিয়া৷
কিন্তু ঐসব বন্দি শিবিরে আটকদের দুরবস্থার উল্লেখ করে সেগুলো বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন৷
এই সমালোচনার মুখে গত বছরের অক্টোবরে মানাউসের শিবির বন্ধ করে দেয়া হয়৷
তবে নাউরুর শিবির এখনো চালু আছে এবং সেখানে এখনো প্রায় ১,১০০ আশ্রয়প্রার্থী আছেন৷ ২০১২ সাল থেকে সেখানে মোট ৪৬ জন শিশু জন্ম নিয়েছে৷
সব মিলিয়ে একসময় নাউরুতে ২৪০ জনের বেশি শিশু ছিল৷ এখনো প্রায় ৪০ জন শিশু আছে সেখানে৷ তাদের মধ্যে কয়েক জনের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ‘অ্যাসাইলাম সিকার রিসোর্স সেন্টার’৷ এছাড়া অনেকের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে৷
নাউরুর শিশুদের অস্ট্রেলিয়ায় এনে চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে দেশটির সরকারের উপর চাপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ এছাড়া সংসদের নিম্নকক্ষে অবস্থান মজবুত করতে প্রধানমন্ত্রী মরিসনের দল লিবারেল পার্টির কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন প্রয়োজন৷ এই প্রার্থীরা সমর্থন দেয়ার আগে নাউরুর বিষয়ে একটি সমাধান চান৷
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন বলেছেন, সরকার নাউরু থেকে শিশুদের এমন উপায়ে সরাবে যেন ‘(অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে) নৌকাযাত্রা পুনরায় শুরু না হয়৷’
তিনি বলেন, সরকার এটা আগেই পরিষ্কার করেছে যে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চিকিৎসা শেষে তাঁদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া হবে এবং তাঁদের অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে দেয়া হবে না৷
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসনও একই কথা জানিয়েছেন৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)