1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জাতীয় লজ্জা'র জন্য ক্ষমা চাইলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

২২ অক্টোবর ২০১৮

রাষ্ট্রের দিক থেকে গাফিলতি রয়েছে স্বীকার করে যৌন হেনস্থার শিকার শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/36vyV
Australien Parlament Scott Morrison Entschuldigung Missbrauchsopfer
ছবি: Getty Images/AFP/S. Davey

সংসদে দেয়া বক্তব্যের মাধ্যমে অনন্য এক নজির গড়েছেন  অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন৷ দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভেতরে শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন তিনি৷

সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত তাঁর এই বক্তব্য শুনতে রাজধানী ক্যানবেরায় জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ৷ সেই ভিড়ে ছোটবেলায় যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া অনেক মানুষ এবং তাদের বাবা-মায়েরাও ছিলেন৷

প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় এই সমস্যাকে এতদিন দেখেও না দেখার ভান করে এসেছি আমরা৷ একটি জাতি হিসাবে আমরা তাই আজ আমাদের ত্রুটিগুলির সম্মুখীন৷ আমরা দুঃখিত, শিশুদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি৷ আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, সেই সব বাবা-মায়েদের কাছে, যাঁদের বিশ্বাস আমরা হারিয়েছি৷ একটি জাতি হিসাবে এটা আমাদের লজ্জা৷''

অস্টেলিয়ায় দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে চলছিল বিভিন্নধর্মীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাড়তে থাকা শিশু যৌন হয়রানির ঘটনার তদন্ত৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির চার্চ বা অনাথ আশ্রমের ক্ষমতাশালী পুরুষদের দিকে৷

অন্তত ৯০ বছর ধরে হাজার হাজার শিশু নির্যাতিত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে, এমনই তথ্য জানা গেছে চলমান এই তদন্ত থেকে৷

অন্তত আট হাজার মানুষের সাক্ষ্যদানের মাধ্যমে উঠে এসেছে পনেরো হাজারশিশুর যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঘটনা৷

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাথলিক চার্চ ও স্কাউটসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই শিশুদের যৌন হয়রানি থেকে বাঁচাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে৷

সোমবার ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মরিসন কথা দেন,শিশু যৌন নিপীড়ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি জাদুঘর চালু করা হবে৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স/এএফপি/ডিপিএ)