1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া গঠনে কাজ শুরু করছে এনটিসি

৩ সেপ্টেম্বর ২০১১

পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে গাদ্দাফির সময়ের জব্দ করা অর্থ পেয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে বিদ্রোহীদের সংগঠন ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল এনটিসি৷

https://p.dw.com/p/12SaU
এনটিসি প্রধান মুস্তফা আবদেল জলিলছবি: picture alliance/landov

এদিকে বিদ্রোহীদের অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে এনটিসি৷

এনটিসির কাজের ফিরিস্তি

সংস্থার প্রধান মুস্তফা আবদেল জলিল প্যারিসে পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গতকাল শুক্রবার বেনগাজিতে ফিরেছেন৷ ঐ বৈঠকে আপাতত দেশ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থের যোগান পেয়েছেন তিনি৷ তাই দেশে ফিরেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন৷ আজ তিনি সমর্থকদের বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বেনগাজি থেকে তাদের সদর দপ্তর ত্রিপোলিতে নিয়ে যাওয়া হবে৷ কারণ তিনি মনে করছেন, ত্রিপোলিতে এখন শান্তি বিরাজ করছে৷ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেন কাজে ফিরে আসে সেই আহ্বানও জানিয়েছেন এনটিসি প্রধান৷ এদিকে সংস্থার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দারাদ বলেছেন, আজ শনিবার পুলিশ সহ নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য কাজে যোগ দেবে৷ তাই অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ারও জন্য বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

NO FLASH Libyenkonferenz Paris
লিবিয়া নিয়ে প্যারিসের বৈঠকছবি: AP

জাতিসংঘ প্রতিনিধি লিবিয়ায়

উদ্দেশ্য লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা৷ জাতিসংঘ কীভাবে লিবিয়াকে সহায়তা করতে পারে সেটা নিয়েই এনটিসির সঙ্গে আলোচনা করবেন জাতিসংঘের ঐ প্রতিনিধি৷ নিরাপত্তা বজায় রাখতে শান্তিরক্ষা মিশন পাঠানোর প্রয়োজন কীনা সেসব নিয়েও কথাবার্তা হবে৷ এছাড়া অন্যান্য সমস্যা, যেমন পানির স্বল্পতা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হবে৷ এদিকে আগামী ২০ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় আবারও লিবিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন ‘ফ্রেন্ডস অব লিবিয়া'র নেতারা৷ উল্লেখ্য এই নেতারাই মাত্র দুদিন আগে প্যারিসে আলোচনায় বসেছিলেন৷

গাদ্দাফির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সিআইএ'র?

গাদ্দাফি এবং তাঁর গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের কর্মকর্তাদের গভীর সম্পর্ক ছিল, এ ধরনের একটি খবর শোনা যাচ্ছে৷ লিবিয়ার সরকারি দপ্তরে পাওয়া গোপন দলিল থেকে এ ধরণের তথ্যই জানা যাচ্ছে৷ দুই দেশের পত্রিকায় এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে৷ তাতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে যখন প্রেসিডেন্ট বুশ ক্ষমতায় ছিলেন তখন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ আল কায়েদার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল৷ এসব ক্ষেত্রে লিবিয়ার মানবাধিকার লঙঘনের রেকর্ড থাকার পরও সিআইএ'র এমন সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশিত হওয়াটা অস্বস্তিকর বটে৷ ব্রিটিশ গোয়েন্দাদেরও লিবিয়ার সঙ্গে এ ধরণের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রিটেনের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ ঐ সময়কার ব্রিটিশ সরকারের উপর দায় চাপিয়ে দেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য