1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাষ্ট্রপতি ভবন, সবজি বাজারেও করোনা

২২ এপ্রিল ২০২০

রাষ্ট্রপতি ভবনেও পৌঁছে গেলো করোনা। রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরে থাকা এক কর্মীর আত্মীয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লির বড় পাইকারি সবজির বাজার আজাদপুরে এক বিক্রেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

https://p.dw.com/p/3bF7t
ছবি: picture alliance/Photoshot/Bi Xiaoyang

রাজধানী দিল্লির অবস্থা রীতিমতো উদ্বেগজনক। শহরে হট স্পটের সংখ্যা এখন ৮৪। অর্থাৎ, ওই ৮৪ টি এলাকায় একাধিক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা এ বার ঢুকে পড়লো বিশাল রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরেও। সেখানে এক সাফাই কর্মীর পরিবারের একজনের করোনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মধ্য দিল্লির একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যান। তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মী নন, সেখানে থাকতেনও না। মৃতের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ হয়েছিল তা খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের এক কর্মীর পরিবারের এক সদস্যর সঙ্গে মৃতের দেখা হয়েছিল। তারপর সেই পরিবারের সকলকে মন্দির মার্গে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়। তাঁদের ও রাষ্ট্রপতি ভবনের সব কর্মীর করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই দেখা যায়, আইসোলেশনে থাকা পরিবারের একজন করোনায় আক্রান্ত।

এরপর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরে ১১৫টি বাড়ির লোকেদের কোয়ারান্টিন করা হয়েছে। তার মধ্যে যে বাড়িতে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন, তার আশপাশের ২৫টি বাড়িতে কঠোরভাবে কোয়ারান্টিন চালু করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানানো হয়েছে, সচিবালয়ের কোনও কর্মীর করোনা হয়নি। সেখানে যাবতীয় বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। ৩২০ একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা রাষ্ট্রপতি ভবনের ভিতর কর্মীরাও থাকেন। রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী, সচিবালয়ের কর্মী, সাফাই কর্মীদের নিয়ে প্রায় একটা ছোট শহর। সেখানে স্কুল থেকে শুরু করে সব কিছু আছে। দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবন চত্বরেও করোনার থাবা রীতিমতো উদ্বেগজনক বিষয়।

এই উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে দিল্লিতে সবজি ও ফলের পাইকারি বাজার আজাদপুরের এক ব্যবসায়ীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। আজাদপুর থেকে দিল্লির একটা বড় অংশের খুচরো বিক্রেতারা সবজি কিনে আনেন। ফলে ওই দোকানদারের কাছ থেকে যাঁরা সবজি কিনেছেন, তাঁরা ও তাঁদের মাধ্যমে একটা বড় অংশের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এই জন্যই বিশেষজ্ঞরা বারবার করে বলছেন, সবজি, দুধ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যাঁরা বিক্রি করছেন, তাঁদের নিয়মিত করোনাপরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। 

এমনিতে দিল্লি সহ ভারতের অবস্থাও উদ্বেগজনক। প্রায় ২০ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ৬৪০। বিভিন্ন রাজ্যে এখন করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা বাড়ার ফলে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। দ্বিতীয় দফার লকডাউন চলার সময়েও প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে আগামী ৩ মে দেশের সব জায়গা থেকে লকডাউন উঠবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এরই মধ্যে বিহারে বিজেপি-র এক বিধায়ককে প্রশাসন থেকে পাস দেওয়া হয়েছিলো। তিনি সোজা রাজস্থানের কোটায় এসে ছেলেকে নিয়ে আবার বিহারে ফিরে গিয়েছেন। তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক দেখা দেওয়ার পর যে অফিসার এই পাস দিয়েছিলেন, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)