1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেয়রের হুমকির পর কঠোর ইটালি সরকার

৩১ আগস্ট ২০২০

শিবিরের ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ অভিবাসনপ্রত্যাশী হয়ে যাওয়ার পরও সরকারের নীরবতায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন লাম্পেডুসার মেয়র৷ তবে তার ধর্মঘটের হুমকির পর ভূমধ্যসাগরে টহল নৌকা ও ফেরি বাড়িয়েছে ইটালি সরকার৷

https://p.dw.com/p/3hoBb
ছবি: picture-alliance/ANSA/E. Desiderio

ইটালির ছোট্ট দ্বীপ লাম্পেডুসায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ থামছেই না৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য মাত্র একটি আশ্রয় শিবির রয়েছে সেখানে৷ ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা এখন ১২০০ ছাড়িয়েছে৷

রবিবার জেলে নৌকায় চড়ে আরো ৪৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী লাম্পেডুসার দিকে এগিয়ে এলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করেন৷ পথে শুয়ে পড়ে ‘যথেষ্ট’, ‘যথেষ্ট’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তারা৷

ধর্মঘটের হুমকি

এদিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে বিনা বাধায় জেলে নৌকাটিকে এগিয়ে আসতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন লাম্পেডুসার মেয়র টোটো মার্টেলো৷ সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘‘এ পরিস্থিতি লাম্পেডুসা আর মেনে নেবে না৷ হয় সরকার তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেবে, নয়ত দ্বীপ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট শুরু হবে৷ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে৷’’

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রাখায় ইটালিতে প্রতিবাদ

মেয়রের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাম্পেডুসা থেকে ২০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ৯০ মিটার দীর্ঘ একটি কোস্টগার্ড জাহাজ এবং করোনা নেগেটিভ হওয়া আরো ১২৮জনকে সিসিলি দ্বীপে সরিয়ে নেয়ার জন্য কয়েকটি ছোট জাহাজ পাঠানোর কথা জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, আরো কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে কোয়ারান্টিনে রাখার জন্য সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ কয়েকটি ফেরি পাঠানো হবে৷

আগুনে নিহত ৩

এদিকে রোববার ইটালির কালাবারিয়া দ্বীপের দিকে আসার সময় নৌকায় আগুন লেগে গেলে কমপক্ষে তিনজন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা যান৷ এছাড়া সাগরে ডুবে যান ২১ জন ৷ ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে৷ জানা গেছে, ওই ডিঙি নৌকার অধিকাংশই শ্রীলঙ্কা, মিশর, সোমালিয়া এবং পাকিস্তানের নাগরিক৷

এসিবি/ কেএম (এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য