1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ওরা কেমন মানুষ?’ 

৯ এপ্রিল ২০২১

মৃত্যু নিয়েও গুজব ছড়ানো? নায়ক ফারুক এখনো জীবিত, অথচ তিনি মারা গেছেন বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে৷ প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামান, আব্দুল কাদেরসহ অনেকেই এর আগে এমন গুজবের শিকার হয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3rlvR
ফাইল ফটোছবি: DW/M. Mamun

চিত্র নায়ক ফারুক দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ অথচ ফারুক মারা গেছেন বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়৷ ফারুকের মৃত্যুর গুজবে স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন৷ ফারুকের ছেলে রোশান হোসেন পাঠান ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তার বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতির খবর জানানোর পাশাপাশি সবাইকে কোনো ধরনের গুজব না ছড়ানোর অনুরোধও করেছেন৷

এক শ্রেণির মানুষ স্যোশাল মিডিয়ায় শুধুমাত্র সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায় জীবিত মানুষকে মেরে ফেলতে কার্পণ্য করে না৷ তারা সব সময় ‘ক্লিক', ‘লাইক', ‘ভিউ' পেতেই ব্যস্ত৷ মৃত্যুর গুজব পরিবারের জন্য যে কতটা বেদনাদায়ক, তা কি তারা ভেবে দেখেন? বাঙালি নাকি আবেগপ্রবণ জাতি ৷ অথচ মানুষের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়াতে মানুষের স্বাভাবিক আবেগ গুরুত্ব পায় কিনা সন্দেহ৷ ঠুনকো জনপ্রিয়তা পেতে যারা এমন করতে পারে আসলে কেমন মানুষ ওরা ?

ফারুকের ছেলের গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ ‘ক্লিক', ‘লাইক' লোভী মানুষদের হয়ত স্পর্শ করতে পারেনি৷ শেষ পর্যন্ত এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য হওয়া ফারুকের স্ত্রী ফারজানা বাধ্য হয়ে সিঙ্গাপুর থেকে লাইভে আসেন৷ তিনি  দুই হাত জোড় করে সকলকে তার স্বামীর মৃত্যুর গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করলেন৷

কে শোনে কার অনুরোধ! মনে নেই, অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি লুবাবার কথা? লাইভে এসে কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি কিভাবে ওর প্রাণপ্রিয় দাদার মৃত্যুর গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেছিল! মৃত্যুর গুজব ছড়ানো যে কতটা অমানবিক কাজ তা শিশু লুবাবা ভালো করেই জানে৷

অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন সেটাও খুব বেশিদিন আগের ঘটনা নয়৷ তবে মৃত্যুর বেশ কিছুদিন আগে জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে একাধিকবার মেরে ফেলা হয় ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে৷

নায়ক ফারুকের স্ত্রী সিঙ্গারপুরে অসুস্থ স্বামীর পাশে আছেন৷ তাদের সন্তানেরা ঢাকায় অপেক্ষা করছেন বাবা সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন বলে৷ এ অবস্থায় বাবার মারা যাওয়ার গুজবে তাদের মনের অবস্থা কেমন হতে পারে?

Nurunnahar Sattar, DW-Mitarbeiterin Bengali Programm
নুরুননাহার সাত্তার, ডয়চে ভেলেছবি: DW/A. Islam

এ তো গেল মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানো মাত্র তিনজনের কথা৷ কিন্তু  বাংলাদেশে এমন ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে৷ সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষদের তো এমন অমানবিক কাজ করার কথা নয়! কারা ছড়াচ্ছে এসব গুজব? স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, গুজব ছড়ানো এই মানুষেরা আসলে কেমন মানুষ? 

সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলে অনেক সময় ডিজিটাল আইনে মামলা করা হয়৷ কিন্তু অসুস্থ মানুষদের মৃত্যুর আগেই মারা গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে তাদের পরিবারের মানুষদের মানসিক যন্ত্রণা দেয়া কি ডিজিটাল আইনের কোনো ধারায়ই পড়ে না?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান