1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজরাশিয়া

মাক্রোঁর প্রস্তাব বাস্তবসম্মত: পুটিন

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সোমবার মস্কোয় বৈঠক হয়েছে ফরাসি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের। বৈঠক ফলপ্রসূ বলে জানিয়েছে দুই পক্ষই।

https://p.dw.com/p/46euR
পুটিন-মাক্রোঁ
ছবি: Sputnik Kremlin/AP/picture alliance

ইউক্রেন সংকট নিয়ে সোমবার বৈঠক হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের। রাশিয়ার 'আগ্রাসন' বন্ধ করতে একের পর এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলি। সে জন্যই সোমবার মস্কোয় যান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ বৈঠকের পর মাক্রোঁ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মতবিরোধ থাকলেও বেশ কিছু বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে রাশিয়া একমত হয়েছে। আরো শান্তিপূর্ণ বৈঠকের রাস্তা তৈরি হয়েছে। পুটিন জানিয়েছেন, মাঁক্রোর কিছু কিছু প্রস্তাব বাস্তবসম্মত। তবে এদিনও ন্যাটোর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

মাক্রোঁর বক্তব্য

মাক্রোঁ জানিয়েছেন, পুটিনের সঙ্গে বৈঠক শান্তিপূর্ণ আলোচনার রাস্তা খুলে দিয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকসপ্তাহ আগে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছিল, তাদের দাবি না মানলে ন্যাটো বা তার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে তারা আরো কোনো আলোচনায় যাবে না। এদিন ফের আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন পুটিন। ইউক্রেন নিয়ে দীর্ঘ কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ফ্রান্স জানিয়েছে, যে কোনো স্বাধীন দেশের ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার অধিকার আছে। এ বিষয়েও প্রথম থেকে দ্বিমত রয়েছে ক্রেমলিনের। মস্কোর বক্তব্য, ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।

মাক্রোঁদাবি, পুটিনও যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আলোচনার মাধ্যমে যাতে যুদ্ধের সম্ভাবনা বন্ধ করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। আরো আলোচনার রাস্তা খুলে দিয়েছেন। তবে একইসঙ্গে মাক্রোঁ জানিয়েছেন, সব বিষয়ে পুটিনের সঙ্গে তিনি সহমত হননি। ন্যাটোর অবস্থানও পুটিনের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

পুটিনের বক্তব্য

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও। তিনিও জানিয়েছএন, মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। মাক্রোঁর বেশ কিছু প্রস্তাব বাস্তবসম্মত। রাশিয়া যুদ্ধের বিরোধী। ফলে উত্তেজনা কমানোর জন্য আরো আলোচনায় রাজি ক্রেমলিন। কিন্তু কয়েকটি বিষয় ন্যাটোকে মাথায় রাখতে হবে। ইউক্রেন যদি এই সুযোগে ক্রাইমিয়া দখলের চেষ্টা করে তাহলে রাশিয়ার সামনে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না। পুটিনের অভিযোগ, ন্যাটো ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশ নিয়ে বার বার চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা একবারও বলছে না, রাশিয়া আত্মরক্ষার জন্য নিজের দেশের ভিতর সেনা সমাবেশ করেছে। অন্য দেশে নয়। উল্টোদিকে ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্ত জুড়ে একাধিক দেশে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। এ নিয়ে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।

পুটিনের অভিযোগ, গোটা ঘটনায় রাশিয়াকে ভিলেন প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে। রাশিয়া যা মেনে নেবে না। পুটিনের দাবি, ন্যাটো একটি ডিফেন্স ফোর্স। আগ্রাসনের কোনো অধিকার তাদের নেই। কিন্তু বাস্তবে তারা যা করছে, তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন ছাড়া আর কিছু নয়। এদিন ফের রাশিয়া জানিয়েছে, আলোচনার রাস্তা খুলতে হলে তাদের স্বার্থের দিকটিও সকলকে মাথায় রাখতে হবে।

বাস্তব পরিস্থিতি

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা এখনো আগের মতোই আছে। যুদ্ধের ফ্রমেশন তৈরি করে রেখেছে রাশিয়া। ন্যাটো এবং মার্কিন বাহিনীও স্ট্রেটিজিক অঞ্চলে নিজেদের বেস তৈরি করেছে। একের পর এক আলোচনা হলেও যুদ্ধ পরিস্থিতির এখনো পর্যন্ত কোনো বদল ঘটেনি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)