1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টায় মাক্রোঁ

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ সে কারণেও এমানুয়েল মাক্রোঁর জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখা বড় এক চ্যালেঞ্জ৷ সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই রাশিয়ায় যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট৷

https://p.dw.com/p/46chP
২০১৯ সালে ফ্রান্স সফর করেছিলেন পুটিনছবি: Alexei Druhzhinin/AFP/Getty Images

এমানুয়েল মাক্রোঁ মস্কো যাচ্ছেন আজ (সোমবার)৷ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে আলোচনা করে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আশঙ্কা কমানো৷ আলোচনা যে সাময়িকভাবে ফলপ্রসূ হবে সে বিষয়ে মাক্রোঁ যথেষ্ট আশাবাদী, কারণ, তিনি মনে করেন, আলোচনার আরেক অর্থ ‘সময় কেনা’, কেননা, আলোচনার সময় স্বাভাবিকভাবে কোনো পক্ষ যুদ্ধে জড়ায় না৷ তাছাড়া পুটিন যে এখন ইউরোপীয় দেশগুলোরসঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় আগের মতো অত অনাগ্রহী নন, সেই বিষয়টিও আশাবাদী করেছে মাক্রোঁকে৷ কয়েকদিন আগেও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কার্যত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেই স্বীকার করছিলেন পুটিন৷ এখন তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনায় রাজি৷

এ কারণে সোমবার ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-ইয়েভস লা দ্রিয়ান এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক যাচ্ছেন কিয়েভে৷ তাদের এ সফরের উদ্দেশ্য ইউক্রেনকে আবার আশ্বস্ত করা যে, চলমান সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাশে আছে৷ তারা সফর শেষ করলেই কিয়েভে যাবেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ নবনির্বাচিত জার্মান চ্যান্সেলর কিয়েভে যাবেন আগামী সপ্তাহে৷ কিয়েভ থেকে মস্কোতেও যাবেন তিনি৷ ফরাসি প্রেসিডেন্টের মতো তার মস্কো সফরের মূল উদ্দেশ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রশমনে ভূমিকা রাখা৷

আগামী এপ্রিলে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ অন্যদিকে কাউন্সিল অব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি ফ্রান্স৷ তাই আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ইউক্রেন ইস্যুকেও খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন এমানুয়েল মাক্রোঁ৷

বারবারা ভেসেল/ এসিবি