1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

মাক্রোঁর দলকে কড়া টক্কর বামপন্থিদের

১৩ জুন ২০২২

ফ্রান্সে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর দলকে কড়া টক্কর বামপন্থি জোটের। মাক্রোঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন।

https://p.dw.com/p/4CbSC
ভোট দিচ্ছেন মাক্রোঁ।
ভোট দিচ্ছেন মাক্রোঁ। ছবি: Ludovic Marin/AP Photo/picture alliance

মাক্রোঁর দলের নেতৃত্বাধীন জোটকে রীতিমতো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলে দিয়েছে বামপন্থি, সমাজবাদী ও গ্রিন পার্টির জোট। প্রথম পর্বের ভোটে তারা মাক্রোঁর দলের নেতৃত্বাধীন জোটের প্রায় সমান ভোট পেয়েছে। মাক্রোঁর দলের নেতৃত্বাধীন জোটের নাম এনসেম্বল। আর বামপন্থিদের নেতৃত্বাধীন জোটকে বলা হচ্ছে লেফট-গ্রিন জোট বা নুপেস জোট। এনসেম্বল প্রথম পর্বে পেয়েছে ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট এবং বাম জোট পেয়েছে ২৫ দশমিক ৬১ শতাংশ ভোট।

প্রথম পর্বে ভোট পড়েছে খুবই কম। ৪৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ। রোববারের আবহাওয়া ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। প্যারিসে তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি। ফলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে বেশি আসেনি।

বাম জোটের নেতা জ্যঁ লুক মেলাঞ্চ বলেছেন, প্রথম পর্বের ভোটের পর সত্যিটা হলো, প্রেসিডেন্টের পার্টি হেরে গেছে। তিনি ভোটদাতাদের কাছে আবেদন করেছেন, আগামী রোববার তারা যেন আরো বেশি করে ভোট দেন এবং মাক্রোঁর পার্টির হার নিশ্চিত করেন।

তবে সংবাদমাধ্যমের পূর্বাভাস হলো, মাক্রোঁর পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট শেষপর্যন্ত ২৫৫ থেকে ৩০৫-এর মধ্যে পাবে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে ২৮৯টি আসনে জেতা দরকার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে মাক্রোঁ তার সংস্কার পরিকল্পনা চালু করতে পারবেন না। তিনি অবসরের বয়স ৬৫ করতে চান। আর বামপন্থি জোট তা কমিয়ে ৬০ করতে চায়। তাছাড়া বামপন্থি জোট জিনিসের নাম কমানো এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

কিছুদিন আগেই মাক্রোঁ দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তারপরই তার দল যদি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে সেটা তার কাছে বড় ধাক্কা হবে। তিনি নিজের দলের নেতৃত্বাধীন জোটের সরকার যাতে হয়, তার জন্য প্রচার করছেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে ফ্রান্সে জিনিসের দাম অনেকটাই বেড়েছে। ফলে মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে।

মাক্রোঁর দল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রসঙ্গ তুলে বলছে, এই অবস্থায় ফ্রান্সের দরকার স্থায়ী সরকার। সরকার স্থায়ী না হলে তার প্রভাব ফ্রান্সের উপর পড়বে।

৭১ বছর বয়সি গিবোজ বলেছেন, তিনি মাক্রোঁর দলকে ভোট দেননি। তিনি মাক্রোঁর বিরোধীদের উপর ভরসা করেছেন। আবার ওয়ারেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো এবারও মাক্রোঁর পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।  প্রথম পর্বে যে দুই প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তারা ১৯ জুন দ্বিতীয় পর্বের ভোটে লড়বেন। সেদিন ঠিক হবে, কোন জোট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এগিয়ে থাকবে।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)