1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এভারেস্টে আবর্জনার পাহাড়

২ মে ২০১৯

কয়েক দশক ধরে বাণিজ্যিক আরোহণের ফলে মাউন্ট এভারেস্ট পরিণত হয়েছে আবর্জনার পাহাড়ে৷ এর পরিমাণ এতটাই বেশি যে, এভারেস্টকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভাগাড়ও বলা হয়ে থাকে৷ দু্র্নাম ঘুচাতে দায়িত্ব নিয়েছে বিশেষ একটি দল৷

https://p.dw.com/p/3HnQx
ছবি: Getty Images/AFP/Doma Sherpa

নেপালের সরকার ১৪ সদস্যের এ দলটি গঠন করেছে৷ এরই মধ্যে টিনের ক্যান, প্লাস্টিক ও ফেলে দেয়া পর্বতারোহণের যন্ত্রপাতি মিলিয়ে তিন টন অবর্জনা সংগ্রহ করেছেন দলের সদস্যরা৷

নেপালের পর্যটন বিভাগের প্রধান ডান্ডু রাজ ঘিমিরে জানান, ‘‘বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ পরিষ্কার করতে আসছে মৌসুমেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে৷ এটি আমাদের দায়িত্ব৷’’

দশকের পর দশক ধরে মাউন্ট এভারেস্ট নানা ধরনের দূষণের শিকার হয়েছে৷ মানববর্জ্য তো রয়েছেই, পর্বতারোহীরা নানা ধরনের আবর্জনা, এমনকি ফ্লুরোসেন্ট তাঁবু, গ্যাসের ক্যানও ফেলে যান৷

পরিবেশ বিপর্যয়

এপ্রিলের ১৪ তারিখ শুরু হয়েছে এই ‘এভারেস্ট পরিষ্কার অভিযান’৷ ভারতের পত্রিকা দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এ অভিযান ৪৫ দিন ধরে চলবে৷ প্রাথমিকভাবে ১০ টন আবর্জনা সংগ্রহের লক্ষ্য বিশেষ দলটির৷

বর্জ্য সংগ্রহে ক্যাম্প ৪ পর্যন্ত যাবে দলটি৷ এই ক্যাম্পটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭,৯৫০ মিটার বা ২৬ হাজার ৮০ ফুট ওপরে অবস্থিত৷

বসন্তকালীন আরোহণ মৌসুমের শুরুতেই এ অভিযান শুরু হলো৷ ৮,২৪৮ মিটার উচ্চতার এই পর্বতশৃঙ্গে শত শত আরোহী চূড়ায় পোঁছানোর চেষ্টা করবেন৷ তাঁদের সঙ্গে থাকবেন আরো হাজারখানেক সাহায্যকারী৷ গত বছর রেকর্ড ৮০৭ জন আরোহী চূড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হন৷ ১৯৫৩ সালে প্রথম এভারেস্ট জয় করেছিলেন নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে এবং নিউজিল্যান্ডের এডমুন্ড হিলারি৷

আবর্জনার দূষণেই শুধু এভারেস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিও এর চেহারা ধীরে ধীরে পালটে দিচ্ছে৷ নেপালের দিকে অবস্থিত খুম্বু আইসফল কয়েক দশকের মধ্যে হারিয়ে যাবে৷

হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে দশকের পর দশক ধরে বরফের নীচে চাপা পড়ে থাকা আবর্জনা, এমনকি মৃত পর্বতারোহীদের দেহও বের হয়ে আসতে পারে৷

এডিকে/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

২০১৫ সালের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য