ভারতে লাল কার্পেট অভ্যর্থনা ওবামাকে
৬ নভেম্বর ২০১০জনগণের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরো ঐকবদ্ধ৷ যারা এই ঘৃণ্য অপরাধ করেছে তাঁদের শাস্তি পেতেই হবে৷ পাকিস্তানের নাম না করেও সন্ত্রাসীদের কড়া বার্তা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, জনগণকে নিরাপদে রাখতে দুদেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, ভবিষ্যত হামলা প্রতিরোধের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ করা হচ্ছে৷ এবিষয়ে আরো আলোচনা হবে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং-এর সঙ্গে ৷
ওবামা ও তাঁর স্ত্রী মিশেল বিমান বন্দর থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে নামেন নৌ ঘাঁটি সিক্রিতে৷ সেখান থেকে সড়কপথে তাজমহল হোটেলে৷ সেখানে ২৬/১১-এর সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মৃতিবৃক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ওবামা মুম্বই মহানগরীর মনোবলের প্রশংসা করে বলেন,হামলাকারীরা মুম্বইর মনোবলে আঘাত হানতে চেয়েছিল,কিন্তু পারেনি৷
এরপর ওবামা সস্ত্রীক যান মহাত্মা গান্ধী মিউজিয়াম মনিভবনে৷ স্মারক পুস্তিকায় লেখেন, মহাত্মা গান্ধী শুধু ভারতের নয়, সারা বিশ্বের হিরো৷ মিশেল সেখান থেকে যান মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও যুবনেতাদের সঙ্গে মিলিত হতে৷ আর ওবামা যান ভারত-মার্কিন শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বৈঠকে যোগ দিতে৷ বক্তব্য রাখেন ভারত-মার্কিন বাণিজ্য পরিষদের শীর্ষ অধিবেশনে৷ বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উভয়দেশেই কর্মসংস্থান বাড়াবে৷ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এসেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনার, বাণিজ্যমন্ত্রী গ্যারি লক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শতাধিক শিল্প ও বাণিজ্য কর্মকর্তা৷
তিনদিনের এই সফরে ওবামার সঙ্গে এসেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টম ডনিলন৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা আগামীকাল অপরাহ্নে আসছেন নতুনদিল্লিতে৷ মুম্বই ও দিল্লিতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা৷ নিরাপত্তা জলে, স্থলে ও আকাশে৷ দুই মহানগরীর যানবাহন চলাচল বা সাধারণ জনজীবন আংশিক অচল৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম