1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাওয়া পাওয়ায় দোদুল্যমান ওবামার আসন্ন ভারত সফর

৫ নভেম্বর ২০১০

আগামীকাল ভারত পৌঁছচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ এই সফরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে পারস্পরিক আশা প্রত্যাশা, সম্ভাবনা ও সংশয়৷ তবে সকলেই একমত ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগের তুলনায় এখন অনেক কাছাকাছি এসেছে৷

https://p.dw.com/p/Pzh4
ছবি: UNI

বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, ভারতের অবস্থান বিশ্বের আর্থ-সামাজিক মানচিত্রে ঠিক কোথায়, ওবামার ভারত সফরে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ সেদিক থেকে প্রাধান্য পাবে ভারতের সঙ্গে ব্যাবসা বাণিজ্য বাড়িয়ে সেদেশে কর্মসংস্থান বাড়ানো৷তাই ওবামার প্রথম গন্তব্য দিল্লি নয়, বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই৷

সঙ্গে থাকছেন ২৫০জন শীর্ষ মার্কিন শিল্পপতি৷মুম্বাই-এ মূল কর্মসূচি ভারতীয় শিল্প ও বাণিজ্যের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে৷ এই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও বলেন, সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের বিনিয়োগ ও মার্কিন কোম্পানি অধিগ্রহণ আমেরিকায় হাজার হাজার কাজের সুযোগ গড়ে তুলেছে৷ এটা আমরা বৈঠকে তুলে ধরবো৷পাশাপাশি দাবি থাকবে আউটসোর্সিং-এর ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করার৷

NO FLASH Asienreise Obama Indien
ওবামাকে স্বাগত জানাতে তাঁরই একটি প্রতিকৃতি আঁকছেন এক ভারতীয় শিল্পীছবি: AP

অসামরিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার্য দ্বৈত প্রযুক্তি রপ্তানি না করার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নমনীয় করতে ভারত আলোচনা চালাচ্ছে৷ অনেকটা সফলও হয়েছে৷ অসামরিক পরমাণু চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, পরমাণু বাণিজ্য ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানিগুলিকে আসতে বলেছি, পরমাণু দায়বদ্ধতা আইনের বিভিন্ন শর্ত খোলসা করতে এবং তাদের সমস্যা থাকলে তার বিহিত কীভাবে করা যায়৷ তারপর আলোচনা হবে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে৷ জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ীপদ লাভে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতটা সমর্থন করবে সেবিষয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে৷

অপরদিকে ভারতের কাছে যুক্তরাষ্ট্র কী চাইতে পারে সেসম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ি ডয়েচে ভেলেকে বল্লেন, চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার দূরত্ব বেড়েছে৷ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের যে অবস্থান তাতে চীনকে রুখতে অ্যামেরিকার দরকার ভারতকে৷ কৃষি,আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও অ্যামেরিকার চাই ভারতকে৷ আফগানিস্তান তথা সন্ত্রাস মোকাবিলায় একে অপরকে পাশে চাইবে৷ আফগানিস্তানে বৃহত্তর ভূমিকা নিতে যেমন আগ্রহী ভারত তেমনি আফগানিস্তানে শান্তি ও সুস্থিতি আনতে ভারতের সহযোগিতা পেতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

ওবামার এই সফরের নীট ফল নিয়ে কিন্তু আশাবাদী নন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড: অমল মুখোপাধ্যায়৷ ডয়েচে ভেলেকে বললেন, জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদই বলুন বা আউটসোর্সিঁই বলুন, কোন বিষয়েই ওবামা স্পষ্ট কোন আশ্বাস দেবেন বলে মনে হয়না৷ দেখবেন হয়ত পর্বতের মূষিক প্রসব৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক