1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশের নাগরিকদের চীনে ঢোকা নিষিদ্ধ

৬ নভেম্বর ২০২০

করোনার জন্য বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের আপাতত চীনে ঢোকা নিষিদ্ধ করল শি জিনপিং সরকার। তার মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশও আছে।

https://p.dw.com/p/3kwJx
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Han Guan

বৃহস্পতিবার চীন একটি নতুন নোটিস জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে করোনার কারণে আপাতত বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের চীনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৈধ ভিসা থাকলেও তাঁরা ঢুকতে পারবেন না। যার মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশও আছে। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, ফ্রান্সের মতো দেশগুলিকেও তালিকায় রাখা হয়েছে।

ভারত এবং বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ নোটিসটি আপলোড করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৩ নভেম্বরের আগে যে সমস্ত নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হয়েছিল, আপাতত তা বৈধ বলে ধরা হবে না। তাঁরা এখন চীনে যেতে পারবেন না। ৩ নভেম্বরের পরে যদি কাউকে ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে, তা হলে তিনি চীনে যেতে পারবেন। আরো একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই নোটিসে। কূটনৈতিক কারণে, দুই দেশের সম্পর্কজনিত কারণে অথবা বিশেষ কোনো বিষয়ে যদি কাউকে চীনের ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে, তা হলে তিনিও সংশ্লিষ্ট দেশে চীনের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে যাত্রা করতে পারেন।

গত জুন মাস থেকে ভারতের সঙ্গে চীনের তীব্র বিরোধ চলছে। লাদাখে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। এরপর বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো দেশই সমাধানসূত্রে পৌঁছতে পারেনি। অন্য দিকে সীমান্তে একের পর এক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও কোনো দেশই অন্য দেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। ফলে বৃহস্পতিবার চীনের দূতাবাসের নোটিস দেখে বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে দেয়, এর সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ভারত নয়, একাধিক দেশের ক্ষেত্রেই নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন এবং তা কেবলমাত্র করোনার কারণেই। চীনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক। দূতাবাসের ওয়েবসাইটেই পরবর্তী নোটিস দেওয়া হবে।

ইউরোপ এবং অ্যামেরিকায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ইউরোপে রেকর্ড মাত্রায় সংক্রমণ বাড়ছে। অ্যামেরিকাতেও করোনার প্রকোপ বেড়েছে। তুলনায় ভারতের সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দুই সপ্তাহ আগেও ভারতের দৈনিক সংক্রমণ ৯০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। গত এক সপ্তাহে তা কমে দৈনিক ৫০ হাজারের আশপাশে এসে ঠেকেছে। সুস্থ হয়ে ওঠার হারও আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

চীনে সেই অর্থে দ্বিতীয় ঢেউ এখনো সে ভাবে পৌঁছয়নি। কোনো কোনো এলাকায় নতুন করে করোনার সংক্রমণ ঘটলেও তা আগের মতো নয়। তবুও ঝুঁকি নিতে চাইছে না চীন। সে কারণেই নতুন এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারত এবং বাংলাদেশের বহু কর্মী চীনে কাজ করেন। এই নিষেধাজ্ঞার জন্য তাঁদের কাজ করতে যেতে অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চীন জানিয়েছে, যাঁদের রেসিডেন্ট পারমিট রয়েছে, তাঁরাও এই সময়ে যাত্রা করতে পারবেন না। এর ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের অনেকেই সমস্যায় পড়তে পারেন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)