ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলদুর্ঘটনা: ১৬ জন নিহত
১২ নভেম্বর ২০১৯সোমবার রাত পৌনে তিনটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি শ্যামলকান্তি দাশ৷ এতে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন, হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও ছয়জন৷
আহত অর্ধশতাধিক যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে৷
দুর্ঘটনার সময় সিলেট থেকে ছেড়ে উদয়ন এক্সপ্রেস যাচ্ছিল চট্টগ্রামে৷ আর তূর্ণা নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে যাচ্ছিল ঢাকায়৷ রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘ট্রেনের নয়টি বগি লুপ লাইনে চলে যাওয়ার পর দশম বগিতে হিট করে তূর্ণা নিশীথা৷ ওই ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি৷’’
বিডিনিউজ জানিয়েছে, ‘‘সংঘর্ষের পর তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি উদয়নের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়৷ এর মধ্যে দুটি বগি ভীষণভাবে দুমড়ে মুচড়ে যায়৷ সেখানে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা৷’’
এদিকে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়৷ নিহতদের মরদেহ দাফনে সহযোগিতার জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক৷
এদিকে তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের চালকসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়৷ রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের লোকোমাস্টার তাহের উদ্দিন, সহকারী লোকো মাস্টার অপু দে ও গার্ড আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷
‘‘আমরা মনে করছি, ড্রাইভারের অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ তারপরও রেল মন্ত্রণালয় থেকে একটি রেলওয়ে থেকে তিনটি এবং জনপ্রশাসন থেকে একটিসহ মোট পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি৷’’
এফএস (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
৪ অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...