1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাদ্যযন্ত্রের দাম যখন কোটি টাকা!

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

একটি বাদ্যযন্ত্রের দাম কত বেশি হতে পারে? ব্রিটেনের এক ব্যক্তি ঐতিহাসিক ও দুর্লভ বাদ্যযন্ত্র তরুণ প্রতিভাবান সংগীতশিল্পীদের হাতে তুলে দিয়ে সংস্কৃতি জগত সমৃদ্ধ করছেন৷ এমন বাদ্যযন্ত্রের কল্যাণে অপূর্ব সুরও সৃষ্টি হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/47Cy2
ছবি: Fotolia/Sandra Thiele

এমন এক চেলো, যার ধ্বনিই শুধু মুগ্ধ করে না, বাদ্যযন্ত্র হিসেবে সেটির দামও চমকে দেবার মতো – প্রায় তিন কোটি ইউরো! ২২ বছর বয়সি ব্রিটিশ তারকা শেকু কানে মেসন আজ ৩২০ বছরেরও বেশি পুরানো এই চেলোটি বাজান৷ তার মতে, ‘‘এর ধ্বনি বেশ ভরাট, একেবারেই ফিকে নয়৷ গভীরতাও রয়েছে৷ সব সময় একটা ভরাট ভাব থাকে৷ মনে হয় একেবারেই চিকন সুর নয়৷ নীচের দিকে কত অন্ধকার৷ একই ধ্বনির যে কত মাত্রা থাকে৷ এমন বাদ্যযন্ত্র হাতে পেয়ে বাজানোর সুযোগ সত্যি অসাধারণ৷’’

তরুণ এই সংগীতশিল্পীর এমন বাদ্যযন্ত্র কেনার সামর্থ্য ছিলো না৷ ছয় জন স্পনসর মিলে সেটি কিনে আজীবন তাকে ধার দিয়েছেন৷ রেনেসাঁর সময় থেকেই এমন পৃষ্ঠপোষক সংগীতশিল্পীদের সহায়তা করে আসছেন৷ নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে মেসন বলেন, ‘‘প্রথমবার এই বাদ্যযন্ত্র বাজানোর সময় আমি অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম৷ নানা পরীক্ষিনিরীক্ষা করতে উদ্ধুদ্ধ হয়েছিলাম৷ প্রাথমিক ধারণা পেয়ে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম৷ বাজাতে বাজাতে আরও সম্ভাবনা আবিষ্কার করলাম৷ এই বাদ্যযন্ত্রের কল্যাণে আমার বাজানোর হাতও আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে৷’’

তরুণদের হাতে দুর্লভ বাদ্যযন্ত্র তুলে দেন ফ্লোরিয়ান

জার্মান বংশোদ্ভূত বেহালা বিশেষজ্ঞ ফ্লোরিয়ান লেওনহার্ড সেই সংযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনি অসাধারণ বাদ্যযন্ত্রগুলিকে তরুণ প্রতিভাবান সংগীতশিল্পীদের নাগালে আনার চেষ্টা করেন৷ লন্ডনে তার দফতরে অত্যন্ত মূল্যবান বাদ্যযন্ত্রগুলি উপযুক্ত সংগীতশিল্পীদের অপেক্ষায় থাকে৷ ফ্লোরিয়ান সেগুলিরই কয়েকটি বর্ণবা করে বলেন, ‘‘এখানে স্ট্রাডিভারিস কোম্পানির দুটি বেহালা রয়েছে৷ একটি পরবর্তী পর্যায়ের, অন্যটি স্বর্ণযুগের৷ এখানে কার্লো বারগনৎসি নামের বিখ্যাত ক্রেমোনিজ বেহালা প্রস্তুতকারীর সৃষ্টি রয়েছে৷ প্রতিটি বাদ্যযন্ত্রের দাম ১০ লাখ ইউরোর বেশি৷ স্ট্রাডিভারিস কোম্পানি হলে দাম আজকাল এক কোটিরও বেশি হতে পারে৷ বিশ্বব্যাপী চাহিদার তুলনায় অনেক কম বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয় বলেই এমন কদর৷’’

শেকু কানে মেসন যেখানেই বাজাতে যান, সঙ্গে ৩০ লাখ ইউরো মূল্যের বাদ্যযন্ত্রটি থাকে৷ ফলে মনের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে বৈকি৷ এমন চাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘হাঁটার সময় আমি খুব সতর্ক থাকি৷ তখন সেটি কাছেই থাকে৷ তবে আসলে কিন্তু সেটির মূল্য নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই না৷’’

বড় প্রতিভার সঙ্গে প্রথম সারির বাদ্যযন্ত্রের মেলবন্ধন অসাধারণ এক ঐকতান রচনা করে৷

ইয়ানা ওর্টেল/এসবি

গত সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য