1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফার-ফ্যাশন আর ছাপবে না এলে

৫ ডিসেম্বর ২০২১

পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন ম্যাগাজিন আর ফার লাগানো জামা-কাপড়ের কথা লিখবে না। পশু অধিকারের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত।

https://p.dw.com/p/43ltH
এলে ম্যাগাজিন
ছবি: Astrid Stawiarz/Getty Images

পোশাকে যে ফার ব্যবহার করা হয়, তা পশুদের শরীর থেকে সংগ্রহ করা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন পশুপ্রেমীরা। পোশাক থেকে ফার সরিয়ে দেওয়ার আবেদন তাদের। এবার তাদের সঙ্গে সহমত হলো ফ্যাশন পত্রিকা এলে। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তারা জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে আর ফারের কোনোরকম কনটেন্ট তারা ছাপবে না। অর্থাৎ, ফারের পোশাকের বিজ্ঞাপন, ফারের পোশাকের খবর কোনো কিছুই থাকবে না তাদের ম্যাগাজিনে। ছাপা ম্যাগাজিন এবং ডিজিটাল-- সব জায়গাতেই নতুন নিয়ম প্রযোজ্য।

বৃহস্পতিবার লন্ডনে একটি ফ্যাশন শোয়ের অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করে এলে। মনে করা হচ্ছে, এলের পদচিহ্ন অনুসরণ করে পৃথিবীর আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকাও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এলে জানিয়েছে, বর্তমান তরুণ প্রজন্ম আর জে ওয়াই প্রজন্ম নয়। তারা জেন জেট প্রজন্ম। ফ্যাশনের বিষয়েও তারা পরিবেশ এবং প্রকৃতি সচেতন। পশুর শরীর থেকে ফার সংগ্রহ করে তার পোশাকে ব্যবহার তাদের পছন্দ নয়। সে জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এর মধ্য দিয়ে একটি বার্তাও দেওয়া হলো বলে জানিয়েছে এলে।

বস্তুত, সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ইউরোপের অধিকাংশ মানুষ জামায় ফার ব্যবহারের বিরোধী। ফ্রান্সের ৯০ শতাংশ মানুষ এর বিরোধী। ইটালিতে সংখ্যা ৮৬ এবং জার্মানিতে ৮৪ শতাংশ। যে কারণে, অ্যামস্টারডম-সহ একাধিক দেশের ফ্যাশন শো-তে ফারের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বড় ফ্যাশন শো গুলিতে এখনো তা বন্ধ না হলেও ডিজাইনারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বেশ কিছু বড় ব্র্যান্ডও তাদের পোশাকে ফারের ব্যবহার বন্ধ করেছে। তারই মধ্যে এলের সিদ্ধান্ত ফ্যাশন জগতে বড়সড় ধাক্কা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে একাধিক পশু অধিকার সংস্থা। পেটার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা অন্য পত্রিকাগুলিকেও একই রাস্তা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)