1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক শ্রমিকরা কম টাকায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন

১৪ জুলাই ২০২১

গতবছর করোনার শুরুতে পাকিস্তানের এক পোশাক কারখানায় কাজ করা আব্দুল ওয়াজিদের চাকরি চলে গিয়েছিল৷ তিনমাস পর আগের চেয়ে কম টাকায় বেশি ঘণ্টা কাজ করতে রাজি হয়ে আবারও চাকরিতে যোগ দেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3wTHy
কম্বোডিয়ার একটি পোশাক কারখানা
কম্বোডিয়ার একটি পোশাক কারখানাছবি: picture-alliance/ANN/The Phnom Penh Post

‘‘কয়েকমাস কোনো আয় না থাকায় আমি চাকরি পেতে মরিয়া ছিলাম৷ তাই তারা যা বলেছে, তাতেই রাজি হয়ে গেছি৷ এখন বেঁচে থাকতে আমাকে ঋণের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে,’’ থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে সম্প্রতি জানান ওয়াজিদ৷ তার নতুন চাকরির চুক্তি বলছে, তিনি যদি তার আগের পাওনা একমাসের বেতন না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন তাহলে চাকরি চলে যেতে পারে৷

শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা দুটি সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, করোনার ক্ষতি কাটাতে পশ্চিমা বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড পোশাক প্রস্তুতকারকদের উপর চাপ দিচ্ছে৷ আর সেই চাপ প্রস্তুতকারকদের মাধ্যমে গিয়ে পড়ছে শ্রমিকদের উপর৷

এছাড়া করোনার কারণে চাকরি হারানো বিশ্বের কয়েক লাখ পোশাক শ্রমিকের কয়েক মাসের বেতন, এবং চাকরিচ্যুত বা চাকরি ছাড়ার কারণে যে টাকা পাওয়ার কথা, তা এখনও বাকি আছে৷

পোশাক শ্রমিকদের সংগঠন ‘এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্স’ এএফডাব্লিউএর ইন্টারন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর অনন্যা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বেতন চুরি বিশ্বের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর একটি স্বাভাবিক ব্যবসায়িক মডেলে পরিণত হয়েছে, এবং মহামারির কারণে সেটা আরও বেড়েছে৷’’

ছয়টি দেশের ১৮৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে ‘অর্থ চুরি’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এএফডাব্লিউএ৷ এতে বলা হয় বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো তাদের ‘ব্যবসার ঝুঁকি’ পোশাক প্রস্তুতকারকদের উপর স্থানান্তর করছে৷ প্রতিবেদন বলছে, মহামারির সময়ে অনেক ব্র্যান্ড তাদের অর্ডার বাতিল করেছে৷ এর মধ্যে এমন সব অর্ডার ছিল যেগুলো তৈরির জন্য কাঁচামাল কেনা হয়ে গিয়েছিল৷ এমনকি পোশাক তৈরি শেষে ব্র্যান্ডগুলোর কাছে পাঠানো হয়ে গেছে এমন সব পোশাকের জন্যও অর্থ দিতে রাজি হয়নি অনেক ব্র্যান্ড৷ ফলে প্রস্তুতকারকরা টাকার অভাবে শ্রমিকদের বেতনভাতা দিতে পারেনি৷

এদিকে, ব্রিটেনের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার্কার্স রাইটস কনসোর্টিয়াম’ করোনার পর চাকরি পরিবর্তন করা ইথিওপিয়া, হন্ডুরাস, ভারত ও মিয়ানমারের প্রায় এক হাজার পোশাক শ্রমিকের উপর একটি গবেষণা করেছে৷ এতে দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ শ্রমিককে লিখিত বা মৌখক কোনো চুক্তিপত্র দেয়া হয়নি৷ আর ১৯ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছে, আগের চেয়ে কম বেতনে তারা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন৷

জেডএইচ/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)