1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজেরিয়ায় গুলি করে বিমান নামালো জঙ্গিরা

২০ জুলাই ২০২১

গুলি করে এয়ারফোর্সের বিমান নামিয়েছে জঙ্গিরা। পাইলট সুরক্ষিত। বিবৃতি প্রকাশ করেছে সরকার।

https://p.dw.com/p/3wiQD
আলফা জেট
ছবি: Hansenn/Zoonar/picture alliance

একের পর এক জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত নাইজেরিয়া। কিছুদিন আগেই একটি স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের খোঁজ মেলার আগেই ফের বড়সড় অপারেশন চালালো জঙ্গিরা। গুলি করে নামিয়ে ফেলল দেশের এয়ারফোর্সের বিমান।

এয়ারফোর্স এবং সরকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সেনার আলফা জেট বিমানটি জামফারা ও কাদুনা অঞ্চলে টহল দিতে গিয়েছিল।  টহল দেওয়ার পর ফাইটার জেটটি যখন বেসের দিকে ফিরছিল তখনই নীচ থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। এমনকী, রকেট লঞ্চারও ব্যবহার করা হয়। পরিস্থিতি সুবিধার নয় বুঝে পাইলট ইজেক্ট করে প্রাণ বাঁচান। বিমানটি মাটিতে গিয়ে ধাক্কা মারে। পাইলট একটি গ্রামে গিয়ে ল্যান্ড করেন। বিকেল পর্যন্ত সেখানেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। সন্ধের পর স্থানীয় সেনা ঘাঁটিতে গিয়ে পৌঁছান তিনি।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে দেখা যায়, বোকো হারাম এই ঘটনার দায় স্বীকার করছে। পরে অবশ্য জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে আরো একটি এমনই ঘটনার পরে ওই ভিডিওটি প্রকাশ করেছিল বোকো হারাম। অর্থাৎ, ভিডিওটি পুরনো। নতুন করে সেই একই ভিডিও প্রচার করে এবারের ঘটনার দায়ও তারা নিচ্ছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে সেনার দাবি, বোকো হারাম এবং তাদের সহযোদ্ধা ইসলামিক স্টেট ছাড়া এ কাজ করার মতো অস্ত্র আর কারো কাছে নেই।

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বহুদিন ধরেই ক্রমশ ঘাঁটি জমিয়েছে বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেট। এখন তারা দেশের একটি বড় অংশ শাসন করতে চায়। তাদের শক্তি এতটাই যে, স্থলসেনা ওই অঞ্চলে সবসময় অপারেশন চালাতে পারে না। এয়ারফোর্স নিয়মিত সেখানে টহল দেয়।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, জঙ্গিদের অত্যাচারে ওই অঞ্চল থেকে কয়েকলাখ মানুষ অন্যত্র পালিয়ে গেছেন। কিন্তু নাইজেরিয়ার সরকার এ বিষয়ে ততটা উদ্বিগ্ন নয়। জঙ্গিদের সাধারণ ডাকাত বলেই সেখানে গণ্য করা হয় বলে অনেকের অভিযোগ। একের পর এক স্কুলছাত্রদের অপহরণের পরেও সরকার নিশ্চুপ বলে অভিযোগ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)