1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দুর্নীতি পাকিস্তানের বন্যার ভয়াবহতা বাড়িয়ে তুলেছে’

১৫ আগস্ট ২০১০

পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যা জার্মানভাষী সংবাদ মাধ্যমে যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে৷ বন্যাপীড়িত এলাকার চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সংবাদপত্রগুলিতে পরিস্থিতির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Oo3D
Pakistan, flood, UN, পাকিস্তান, বন্যা,
পাকিস্তানের বন্যা দুর্গত মানুষের ভোগান্তিছবি: AP

‘প্রেসিডেন্ট শুধু নিজের কথাই ভাবেন' এই শিরোনাম দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘স্যুডডয়চে সাইটুং'৷ পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় বন্যার ধ্বংসলীলার বর্ণনা দিতে গিয়ে এমন এক অসহায় মানুষের জীবনকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে, যিনি সব হারিয়েছেন৷ তবে রাষ্ট্রীয় সাহায্যের উপর তাঁর কোন ভরসা নেই৷ সন্ত্রাসবাদের পর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলার ক্ষেত্রেও চরম ব্যর্থতার ফলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি দেশের মানুষের প্রবল বিতৃষ্ণা ফুটে উঠছে৷ এই ক্ষোভের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি৷ দেশের চরম বিপদের সময় তিনি যেভাবে ইউরোপ সফরে বিঘ্ন ঘটতে দেন নি, তার ফলে সেই জনরোষ আরও বেড়ে গেছে৷ রাজনৈতিক নেতৃত্বের এমন ঔদ্ধত্যের ফলে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ করতে এগিয়ে আসছে চরমপন্থী সংগঠনগুলি৷ এমনকি তালেবান বিদ্রোহীরা সরকারকে মার্কিন ত্রাণসাহায্য গ্রহণ করতে নিষেধ করে নিজেরাই সেই উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলছে৷ অন্যদিকে পাকিস্তানের নেতিবাচক ভাবমূর্তির কারণে জার্মানি সহ অনেক দেশেই মানুষ বন্যার্তদের জন্য দান করতে তেমন প্রস্তুত নয়, লিখেছে ‘স্যুডডয়চে সাইটুং'৷

পাকিস্তানের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের বিশাল মাত্রা এবং সেদেশের জন্য প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংগ্রহ করা জাতিসংঘের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ‘ফ্রাঙ্কফু্র্টার রুন্ডশাউ'৷ প্রায় ৩৫ কোটি ইউরো সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও কুয়েত'এর মতো দেশ বেশ বড়ো অঙ্কের আর্থিক সহায়তার অঙ্গীকার করলেও দাতাদের তালিকায় বাকি আরব দেশগুলির স্থান অনেক নিচে৷ পাকিস্তানের চিরশত্রু ভারতের তরফ থেকেও সহায়তা করার তেমন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না৷

প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও এর পেছনে মানুষের ব্যর্থতার ভূমিকার একটা প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং'৷ পাকিস্তানে বহু দশকের দুর্নীতির ফলেই পরিস্থিতি আজ এমন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ উঠছে৷ বন্যা প্রতিরোধ করতে বাঁধ তৈরি ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তার একটা বড় অংশ দুর্নীতিপরায়ন রাজনীতিক ও আমলাদের পকেটে চালিত হয়েছে৷ এমনকি দুর্নীতির কারণে ত্রাণসাহায্যও বন্যার্তদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না৷ ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল'এর দাবি, বন্যা প্রতিরোধের জন্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থ তছরুপ করা হয়েছে৷ দুর্নীতির সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিক ও আমলাদের অক্ষমতা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাত্রা ভয়াবহ করে তুলেছে, লিখেছে ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং'৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য