পাকিস্তানে এখন বন্যা দুর্গতের সংখ্যা দুই কোটি
১৪ আগস্ট ২০১০প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি এক টেলিভিশনে বক্তব্যে বন্যায় ২০ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন৷ এর আগে এই সংখ্যাটা ছিল ১৪ মিলিয়ন৷ তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে জমিতে থাকা ফসলের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমন গুদামে থাকা কোটি কোটি টাকার খাদ্যও নষ্ট হয়ে গেছে৷
এদিকে এখন পর্যন্ত অন্তত একজন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানাচ্ছে জাতিসংঘ৷ তবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও বহু লোক মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছে সাহায্য সংস্থাগুলো৷ কারণ বিশুদ্ধ পানির অভাব৷ বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা কী দাঁড়ায় সেটা নিয়ে ভয়ে আছে রেডক্রস৷
আন্তর্জাতিক সাহায্য
এখন পর্যন্ত শুধু সাহায্যের অঙ্গীকার পাওয়া যাচ্ছে৷ কিন্তু সাহায্যটা আসলে এখনই দরকার৷ কারণ বিশ লক্ষ মানুষের এখনই আশ্রয়ের দরকার৷ আর ৬০ লক্ষ মানুষের জন্য দরকার খাবার আর বিশুদ্ধ পানি৷ সঙ্গে রয়েছে চিকিৎসা৷
এদিকে, সাহায্যের অঙ্গীকারের ক্ষেত্রেও কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে৷ কারণ সাহায্যের অর্থ যে ঠিক কাজে ব্যয় হবে সেই আস্থাটা অনেকের মধ্যে নেই৷ এরই মধ্যে ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এ সংক্রান্ত এক খবর বেরিয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে পাকিস্তানে ভূমিকম্পের পর প্রায় ৪৭০ মিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল৷ যার একটা বড় অংশই নাকি সরকার অন্য কাজে ব্যয় করা হয়েছে৷ পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই বলেছেন এসব কথা৷
এদিকে পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত পাঁচ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দিতে চেয়েছে৷ তবে পাকিস্তান সেটা নেবে কি না সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি৷
জাতিসংঘের মহাসচিবের সফর
আজই তাঁর পাকিস্তানে পৌঁছার কথা রয়েছে৷ সেখানে তিনি বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় যাবেন৷ সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে তিনি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন৷
এদিকে বন্যার কারণে এবার স্বাধীনতা দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি৷ দুর্গতদের কাছে পৌঁছানো আর তাদেরকে সহায়তা করাই হবে এবারের স্বাধীনতা দিবস পালনের সবচেয়ে ভাল উপায় হবে বলে বলছেন তিনি৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার